ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২

স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়ক অ্যাসিটোকোলিন, সচল রাখতে মেনে চলুন এই ৫টি গোগন উপায়

প্রকাশিত: ১৭:১৩, ২৬ জুন ২০২৫; আপডেট: ১৭:১৫, ২৬ জুন ২০২৫

স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়ক অ্যাসিটোকোলিন, সচল রাখতে মেনে চলুন এই ৫টি গোগন উপায়

ছবি: সংগৃহীত।

বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর জীবনে মানুষের একাগ্রতা ও স্মৃতিশক্তি ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে। সমীক্ষা বলছে, আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি তথ্য মস্তিষ্কে প্রবেশ করছে, যার ফলে বাড়ছে মানসিক চাপ, ভুলে যাওয়ার প্রবণতা এবং মনঃসংযোগের সমস্যা। তবে সুখবর হচ্ছে—দৈনন্দিন জীবনে কিছু সহজ পরিবর্তন আনলেই স্মৃতিশক্তি উন্নত করা সম্ভব। আর এই প্রক্রিয়ার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে একটি গুরুত্বপূর্ণ নিউরোট্রান্সমিটার—অ্যাসিটোকোলিন।

কী এই অ্যাসিটোকোলিন?

অ্যাসিটোকোলিন হলো মস্তিষ্কে উৎপন্ন একটি নিউরোট্রান্সমিটার, যা স্মৃতি, মনোযোগ, শেখার ক্ষমতা এবং উদ্দীপনা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গবেষণা বলছে, অ্যাসিটোকোলিনের মাত্রা হ্রাস পেলে অ্যালঝাইমার্স বা স্মৃতিভ্রংশের ঝুঁকি বাড়ে। তাই স্মৃতিশক্তি বাড়াতে অ্যাসিটোকোলিনের কার্যকারিতা ধরে রাখা অত্যন্ত জরুরি।অ্যাসিটোকোলিন সচল রাখতে যা করবেন:

১. পর্যাপ্ত ঘুম
প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা গাঢ় ঘুম মস্তিষ্কে অ্যাসিটোকোলিন নিঃসরণে সহায়তা করে। ঘুমের ঘাটতি নিউরোট্রান্সমিটার কার্যকলাপ ব্যাহত করে স্মৃতিশক্তিকে দুর্বল করে দেয়।

২. মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখা
দাবা খেলা, ধাঁধার সমাধান, বই পড়া বা নতুন কিছু শেখা—এসব মানসিক কার্যকলাপ স্মৃতিশক্তিকে শাণিত করে এবং অ্যাসিটোকোলিন উৎপাদন বাড়ায়।

৩. চাপমুক্ত জীবনধারা
অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও অবসাদ অ্যাসিটোকোলিনের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়। যোগব্যায়াম, মেডিটেশন ও নিয়মিত ব্যায়াম মানসিক প্রশান্তি এনে নিউরোট্রান্সমিটারের কার্যকারিতা বাড়ায়।

৪. কোলিনসমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ
ডিম, বাদাম, চর্বিযুক্ত মাছ (যেমন সালমন), পালং শাক—এসব খাবারে থাকা কোলিন উপাদান অ্যাসিটোকোলিন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তাই খাদ্যাভ্যাসে এসব যোগ করা উচিত।

৫. অপকারী খাদ্য এড়িয়ে চলা
প্রক্রিয়াজাত খাবার, অতিরিক্ত চিনি ও মদ্যপান অ্যাসিটোকোলিন উৎপাদনে বাধা দেয়। তাই এ ধরনের খাবার ও অভ্যাস এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।

স্মৃতিশক্তি প্রখর রাখা শুধু পড়ুয়াদের নয়, সব বয়সের মানুষেরই প্রয়োজন। আর এক্ষেত্রে অ্যাসিটোকোলিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই নিয়মিত ঘুম, মানসিক অনুশীলন, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও চাপমুক্ত জীবনধারা মেনে চললে মস্তিষ্ক থাকবে সচল, স্মৃতি থাকবে প্রখর।
 

সায়মা ইসলাম

×