
চোখ শরীরের সবচেয়ে সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। তাই চোখের খেয়াল রাখা জরুরি। তবে বিশেষ কিছু সময়ে আমরা চোখে ব্যথা বা জ্বালাপোড়া অনুভব করি। যা সাধারণ সমস্যা হলেও, এটিকে উপেক্ষা করা উচিত নয়।
চোখে ব্যথা বা জ্বালাপোড়া অনেক কারণেই হতে পারে, যেমন- দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা, ধুলাবালি বা দূষণের সংস্পর্শে আসা বা চোখের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো সমস্যা। চোখে ক্রমাগত জ্বালাপোড়া বা ব্যথা অনুভব করলে তার পেছনে কয়েকটি কারণ থাকতে পারে-
চোখের সংক্রমণ
চোখের ব্যথা ও জ্বালা বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যার মধ্যে চোখের সংক্রমণও অন্তর্ভুক্ত। কনজাংটিভাইটিস ও ইউভাইটিসের মতো সমস্যাগুলোর কারণে লালভাব, পানি পড়া ও ঝাপসা দৃষ্টির মতো সমস্যা হতে পারে। কনজাংটিভাইটিস সাধারণত চোখ লাল ও ফোলা দেখায়।
ড্রাই আই
চোখে আর্দ্রতার অভাব অর্থাৎ ড্রাই আই, একটি সাধারণ সমস্যা। যখন পর্যাপ্ত পরিমাণে অশ্রু তৈরি হয় না বা খুব দ্রুত শুকিয়ে যায়, তখন তারা চোখের পৃষ্ঠে ব্যথা, জ্বালা ও ঝাপসা দৃষ্টি সৃষ্টি করে।
অ্যালার্জি
ধুলাবালি, ফুলের রেণু বা ধোঁয়ার কারণে অনেক সময় চোখে অ্যালার্জি হতে পারে। এর ফলে চোখ চুলকানো, লাল হওয়া এবং ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা
বর্তমান প্রযুক্তি নির্ভর জীবনে কম্পিউটার, মোবাইল বা টেলিভিশনের পর্দার দিকে দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে থাকলে চোখে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া অনুভূত হয়। এ সময় চোখের পেশি ক্লান্ত হয়ে যায়, যা দৃষ্টি সমস্যার কারণ হতে পারে।
প্রতিরোধ ও যত্ন
-
বিশ্রাম: চোখের স্বাভাবিক বিশ্রাম নিশ্চিত করুন। প্রতি ২০ মিনিট পর স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে ২০ সেকেন্ড দূরের কোনো বস্তুর দিকে তাকান।
-
পরিষ্কার রাখা: চোখে ময়লা বা ধুলাবালি ঢুকলে ঠান্ডা পানিতে চোখ ধুয়ে ফেলুন।
-
সানগ্লাস ব্যবহার: বাইরে গেলে সূর্যের আলো ও ধুলাবালি থেকে চোখ রক্ষায় সানগ্লাস ব্যবহার করুন।
-
চিকিৎসকের পরামর্শ: যদি চোখের ব্যথা বা জ্বালা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে অবশ্যই একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
চোখের যত্ন নেওয়া শুধু দৃষ্টিশক্তি রক্ষাই নয়, সামগ্রিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই চোখের সমস্যাগুলোকে অবহেলা না করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
রাজু