
ছবি: সংগৃহীত
ইউরোপে গ্রীষ্মকালীন পর্যটন মৌসুমে এবার কঠোরভাবে লাগাম টানছে বিভিন্ন দেশ। সমুদ্রসৈকত থেকে বিমানযাত্রা, যে কোনো অসচেতন বা বিরক্তিকর আচরণে পর্যটকদের জন্য অপেক্ষা করছে মোটা অঙ্কের জরিমানা। কর্তৃপক্ষের দাবি, এসব নিয়ম শুধুমাত্র শাস্তির জন্য নয়, বরং স্থানীয় বাসিন্দা ও দায়িত্বশীল পর্যটকদের সুরক্ষার জন্য।
তুরস্কের আনতালিয়ায় বিমানের সিটবেল্ট খোলার বা প্লেন পুরোপুরি থামার আগে দাঁড়িয়ে পড়লে জরিমানা ৬২ ইউরো (প্রায় ৬,৫০০ টাকা)। স্পেন, গ্রিস, ইতালি, ফ্রান্স ও পর্তুগালে ফ্লিপ-ফ্লপ, স্যান্ডেল বা খালি পায়ে গাড়ি চালালে জরিমানা সর্বোচ্চ ৩০০ ইউরো (প্রায় ২৬,০০০ টাকা)। পর্তুগালের আলবুফেইরা ও স্পেনের বার্সেলোনা সহ কয়েকটি শহরে সৈকতের বাইরে সাঁতারের পোশাক পরে ঘুরলে জরিমানা ১,৫০০ ইউরো (প্রায় ১.৩ লাখ টাকা)।
মায়োর্কা, ইবিজা, মাগালুফ ও ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে প্রকাশ্যে মদপান করলে জরিমানা সর্বোচ্চ ৩,০০০ ইউরো (প্রায় ২.৬ লাখ টাকা)। গ্রিসের সৈকত থেকে ঝিনুক বা পাথর নেওয়া নিষিদ্ধ, জরিমানা ১,০০০ ইউরো (প্রায় ৮৭,০০০ টাকা)। এছাড়া ভেনিসের খালে সাঁতার কাটলে ৩৫০ ইউরো, ইতালির চিনকুয়ে তের্রে হাইকিংয়ে অনুপযুক্ত জুতো পরে গেলে ২,৫০০ ইউরো, ফ্রান্সের পাবলিক বিচে ধূমপান করলে ৯০ ইউরো জরিমানা করা হবে। এমনকি সৈকতে সানবেড রিজার্ভ করে ফাঁকা রেখে গেলেও জরিমানা গুনতে হবে।
স্পেন ও পর্তুগালের পর্যটন দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসব আইন দায়িত্বশীল নিশ্চিত করার জন্য। স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে বিরক্তিকর আচরণে অতিষ্ঠ, আর এখন সময় এসেছে পরিবেশ ও সংস্কৃতি রক্ষার। তাই আলবুফেইরায় রাতের বেলায় পুলিশ সরাসরি পর্যটকদের জরিমানা করছে। স্পেনের মালাগায় ‘ইমপ্রুভ ইয়োর স্টে’ ক্যাম্পেইন চালু হয়েছে, যেখানে আচরণবিধি মেনে চলার জন্য জনসচেতনতা বাড়ানো হচ্ছে।
মুমু ২