
ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বিভাগ (IRS) এবার অবৈধ অভিবাসী সনাক্ত করতে সংবেদনশীল করদাতার তথ্য শেয়ার করা শুরু করেছে অভিবাসন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। সিএনএন জানিয়েছে, বিষয়টি নিশ্চিত করেছে প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ দুই সূত্র।
এ পদক্ষেপ এসেছে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যাপক বহিষ্কার অভিযানের অংশ হিসেবে। গত এপ্রিল মাসে ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট (DHS) একটি চুক্তি সই করে, যাতে চূড়ান্ত বহিষ্কারাদেশ পাওয়া এবং ফেডারেল অপরাধ তদন্তাধীন ব্যক্তিদের তথ্য হস্তান্তরের কথা বলা হয়।
যদিও অতীতে নির্দিষ্ট আইনি কারণে আইআরএস সংবেদনশীল কর তথ্য শেয়ার করেছে, এত বড় পরিসরে শুধুমাত্র অভিবাসন আইন প্রয়োগের জন্য তথ্য দেওয়া এই প্রথম। এসব রেকর্ডে নাম, ঠিকানা এবং কর সংক্রান্ত ব্যক্তিগত তথ্য রয়েছে, যা DHS-কে চূড়ান্ত বহিষ্কারের অপেক্ষায় থাকা বা অপরাধ তদন্তাধীন অভিবাসীদের সঠিক অবস্থান চিহ্নিত করতে সাহায্য করবে।
তথ্য বিনিময়ের প্রক্রিয়া শুরু হয় এই সপ্তাহে। পরিকল্পনা নিয়ে আইআরএসের ভেতরে মাসের পর মাস আইনগত উদ্বেগ ও উত্তেজনা চলেছে। এতে বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন বা পদত্যাগের প্রস্তুতি নেন।
তথ্য শেয়ারের শুরু হওয়ার দিনই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আইআরএস কমিশনার বিলি লং-কে পদ থেকে সরিয়ে দেন বলে সিএনএন জানিয়েছে।
ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (ICE) ১২ লাখ ৩০ হাজার মানুষের তথ্য চেয়েছিল, যাদের তারা অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে থাকার সন্দেহ করে। কিন্তু মিল না পাওয়ায় আইআরএস মাত্র ৫% এরও কম তথ্য সরবরাহ করে। এই সংখ্যা হোয়াইট হাউসকে হতাশ করে এবং তারা পরদিন সকালেই তথ্যের ঘাটতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
আইনজীবীরা বলছেন, এই চুক্তি আইআরএসের করদাতাদের তথ্য সুরক্ষার দায়িত্ব থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দেয়। তারা আশঙ্কা করছেন, এতে ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো আদালতের অনুমতি ছাড়াই সংবেদনশীল করদাতার তথ্য পাবে, যা আইনের পরিপন্থী হতে পারে।
সাধারণত আইআরএস তথ্য গোপন রাখে, তবে কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে—যেমন, কর ছাড়া অন্য ফৌজদারি তদন্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তথ্য দেওয়া। তবে DHS যে ৭ মিলিয়ন ব্যক্তির সন্ধান চায়, তারা সবাই ফৌজদারি তদন্তাধীন বা কর ছাড়া অপরাধে অভিযুক্ত কিনা, তা পরিষ্কার নয়।
অনেক অনিবন্ধিত অভিবাসীকে আইআরএসে নিবন্ধন ও কর প্রদানের জন্য উৎসাহিত করা হয়েছিল, কারণ এটি তাদের আইনি ভাবমূর্তি গঠনে সহায়তা করে এবং অভিবাসন মামলায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। কিন্তু নতুন এই পদক্ষেপ তাদের জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
মুমু ২