
ছবিঃ সংগৃহীত
ইহুদি হত্যা তালিকার শীর্ষে থেকেও আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি আজও রয়েছেন দৃঢ়, অদম্য ও অপরাজেয়।
প্রথমবার খামেনিকে হত্যার চেষ্টা হয় ১৯৮১ সালের ২৭ জুন। তখনও তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হননি, কিন্তু ছিলেন প্রভাবশালী এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। নামাজ শেষে বক্তৃতা দেওয়ার সময় একটি টেপ রেকর্ডারে লুকানো বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তার ডান হাত পঙ্গু হয়ে যায়, কণ্ঠ ও ফুসফুসে মারাত্মক ক্ষতি হয়। সে যাত্রায় প্রাণে বেঁচে যান তিনি। অভিযোগ উঠেছিল বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘মুজাহিদিন-ই খালক’-এর বিরুদ্ধে। এ ঘটনা তার রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অবস্থান আরও দৃঢ় করে তোলে।
এরপর ১৯৮৫ সালে আরেক দফা আত্মঘাতী বিস্ফোরণের শিকার হন তিনি। সেদিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শুক্রবারের নামাজ পড়াচ্ছিলেন খামেনি। বিস্ফোরণের পর মাত্র তিন মিনিটের বিরতিতে আবার মিম্বারে উঠে নামাজ ও ভাষণ চালিয়ে যান, যা তখন বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলে।
সর্বশেষ চেষ্টাটি ঘটে ২০২৫ সালে, যখন ইসরায়েল 'অপারেশন রাইজিং লায়ন' নামে ইরানে বিমান ও ড্রোন হামলা শুরু করে। গোপন লক্ষ্য ছিল খামেনিকে হত্যা করা। তবে তিনি সময়মতো এক গভীর বাঙ্কারে আশ্রয় নেন, বন্ধ করে দেন সমস্ত যোগাযোগ—এমনকি শীর্ষ সামরিক কমান্ডারদের সঙ্গেও। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পরে জানান, “যদি তাকে খুঁজে পেতাম, হত্যা করতাম।” কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি বেঁচে ফেরেন এবং পরে ঘোষণা দেন, “আমরা আমেরিকা ও ইসরায়েলকে থাপ্পর মেরেছি।”
১৯৮১ সালের বিস্ফোরণ, ১৯৮৫ সালের আত্মঘাতী হামলা ও ২০২৫ সালের আধুনিক সামরিক অভিযানের মুখেও বারবার বেঁচে ফেরা এই নেতাকে ইতিহাস মনে রাখবে এক অপ্রতিরোধ্য প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে।
মুমু