ছবি: সংগৃহীত
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে আবারও ইসরায়েলি হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ৫১ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, খাদ্যের সন্ধানে জড়ো হওয়া মানুষের ভিড়ে গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
৩৮ বছর বয়সী জীবিত প্রত্যক্ষদর্শী সাঈদ আবু লিবা আল জাজিরাকে বলেন, “হাজার হাজার ক্ষুধার্ত মানুষ ত্রাণের জন্য জড়ো হয়েছিল। ঠিক তাদের মাঝখানে ইসরায়েলি দুটি গোলা নিক্ষেপ করা হয়। এতে বহু সাধারণ মানুষ নিহত হয়, তাদের মধ্যে শিশুরাও ছিল। কেউ কাউকে সাহায্য করতে পারেনি, কাউকে বাঁচানোও সম্ভব হয়নি। আল্লাহ যেন ইসরায়েলিদের এই অপরাধের বিচার করেন।”
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী ইউসুফ নোফাল বলেন, “আমি অনেক মানুষকে মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় নিথর পড়ে থাকতে দেখেছি। এটা ছিল একটি নির্মম হত্যাযজ্ঞ।” তিনি আরও জানান, “যখন মানুষ দৌঁড়ে পালাচ্ছিল, তখনও ইসরায়েলি সেনারা গুলি চালাচ্ছিল।”
মোহাম্মদ আবু কেশফা বলেন, “আমি প্রথমে এক বিশাল বিস্ফোরণের শব্দ শুনি, এরপর টানা গুলির শব্দ এবং ট্যাংকের গোলাবর্ষণ। আমি অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছি।”
গাজা সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি আটা সংগ্রহের জন্য জড়ো হয়েছিলেন, যেখানে ২০০’র বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, “ইসরায়েলি ড্রোন প্রথমে নাগরিকদের ওপর গুলি চালায়। কিছুক্ষণ পর ইসরায়েলি ট্যাংক থেকে একাধিক শেল ছোড়া হয়, যার ফলে ব্যাপকসংখ্যক মানুষ শহীদ ও আহত হন।”
সূত্র: আলজাজিরা
আবির
