ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২

ট্রাম্পের নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অভিবাসী নির্বাসন অভিযান জোরদার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:৪০, ১৬ জুন ২০২৫

ট্রাম্পের নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অভিবাসী নির্বাসন অভিযান জোরদার

ছবিঃ সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সারা দেশে অভিবাসীদের আটকের পাশাপাশি নির্বাসনের কার্যক্রম সম্প্রসারণের নির্দেশ দিয়েছেন, এমন এক সময় যখন তার অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে দেশব্যাপী প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে।

ট্রুথ সোশালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প ফেডারেল সংস্থাগুলোকে "যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ গণবহিষ্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নে" সর্বশক্তি প্রয়োগের আহ্বান জানান। তিনি লস অ্যাঞ্জেলেস, শিকাগো এবং নিউইয়র্ককে বিশেষ লক্ষ্যবস্তু হিসেবে উল্লেখ করেন।

এই শহরগুলোতে ৬ জুন থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানের প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

বিক্ষোভ দমনে সেনা মোতায়েন করায় ট্রাম্প কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছেন এবং আইনি চ্যালেঞ্জেরও সম্মুখীন হয়েছেন।

ট্রাম্প বলেন, "আমি পুরো প্রশাসনকে এই উদ্যোগে সম্ভব সব ধরনের সম্পদ ব্যয় করার নির্দেশ দিয়েছি।"

তিনি আরও প্রতিশ্রুতি দেন, "যারা যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ শান্তি বিনষ্ট করতে চায়, তাদের দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।"

ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (DEA) এবং ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (ICE) সহ বিভিন্ন ফেডারেল অফিসকে উদ্দেশ্য করে তিনি লেখেন, “আমার নিরঙ্কুশ সমর্থন রয়েছে তোমাদের সঙ্গে। এখন যাও, কাজ শেষ করো!”

এই পোস্ট আসে একদিন পর যখন যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ‘নো কিংস’ আন্দোলনের ব্যানারে ট্রাম্পবিরোধী নতুন বিক্ষোভ দেখা যায়। এই আন্দোলন লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে নিউইয়র্ক পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে আয়োজিত মার্কিন সেনাবাহিনীর ২৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সামরিক প্যারেডের দিনই অনুষ্ঠিত হয়, যা ছিল প্রেসিডেন্টের ৭৯তম জন্মদিনে।

ইউটাহর সল্ট লেক সিটিতে ‘নো কিংস’ মার্চে গুলির ঘটনায় একজন নিহত হন।

ট্রাম্প Sanctuary Cities অর্থাৎ যে শহরগুলো ফেডারেল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে সহায়তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়, সেখানে অভিবাসন কর্তৃপক্ষকে বাড়তি নজর দিতে বলেছেন। এই শহরগুলোতে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে মতবিরোধ তীব্র আকার নিয়েছে।

স্থানীয় কর্মকর্তারা অবৈধ অভিবাসীদের সুরক্ষায় নিজেদের আইনি অধিকার রক্ষার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

ট্রাম্পের এই নির্দেশ তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি "যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অপরাধীদের সবচেয়ে বড় বহিষ্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন" এরই প্রতিফলন।

২০২৪ সালের মার্কিন নির্বাচনের প্রাক্কালে জরিপে দেখা যায়, এই নীতির প্রতি ব্যাপক জনসমর্থন ছিল। তবে বহিষ্কার কর্মসূচি সম্প্রসারিত হওয়ার পর থেকে প্রতিবাদ আরও বেড়েছে।

এই নতুন নির্দেশ আসে একদিন পর যখন ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসন কর্তৃপক্ষকে খামার, হোটেল, রেস্তোরাঁ ও মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় অভিযান সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়, জানিয়েছে রয়টার্স।

মুমু

×