ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বোমা হামলার পর ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে উঠছে বড় প্রশ্ন—তবে এর চেয়েও গুরুতর প্রশ্ন হলো, ইরানের ৪০০ কেজির বেশি উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম কোথায় রাখা হয়েছে?
এই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (IAEA) সাবেক উপ-মহাপরিচালক ও পরিদর্শন বিভাগের প্রধান ওল্লি হেইনোনেন। তিনি যুক্তরাজ্যের জনপ্রিয় রেডিও অনুষ্ঠান BBC Radio 4 Today-এ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “ইসরায়েলের হামলায় ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে। নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনাটি এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে তা পুনরুদ্ধারে বছরের পর বছর লেগে যেতে পারে।”
ইরানের আরেকটি গোপন স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান হেইনোনেন। তিনি বলেন, “ফোরদু প্লান্টের অবস্থা খুবই খারাপ। বোমা হামলার পর সেখানে উৎপাদন কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।”
তবে সবচেয়ে গুরুতর উদ্বেগের জায়গাটি হলো—এই মুহূর্তে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ ৪০০ কেজির বেশি ইউরেনিয়াম ইরান কোথায় সংরক্ষণ করছে, সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের কাছে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই।
হেইনোনেন বলেন, “যদি ইরানের কোনো গোপন প্লান্ট থাকে—যেটি বড় না হলেও চলে—তাহলে সেখানেই হয়তো তারা গোপনে অস্ত্র-মানের ইউরেনিয়াম তৈরি করছে। আর সেখানে IAEA-এর কোনো পর্যবেক্ষক নেই। তাহলে এটা আমাদের জন্য একটি বড় সমস্যা।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি এই অনুমান সত্যি হয়, তাহলে বিশ্ব একটি নতুন পরমাণু সংকটের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। কারণ, গোপনভাবে অস্ত্র তৈরির চেষ্টা চললে সেটা শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, গোটা বিশ্বের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
মুমু ২
