
ছবি: সংগৃহীত
ইরানে ইসরাইলের সামরিক হামলার প্রেক্ষাপটে বিশ্ববাজারে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে জ্বালানি তেলের দাম। মধ্যপ্রাচ্যের এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কায় বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে তেলের মজুত ও মূল্যবৃদ্ধির প্রতিযোগিতা।
তেলের দাম বেড়েছে ১০ শতাংশ পর্যন্ত
বাজার বিশ্লেষকদের তথ্য অনুযায়ী, স্পট মার্কেটে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫.০৮ ডলার, যা কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১০ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি নির্দেশ করে। অন্যদিকে, ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (WTI) ক্রুড অয়েলের দাম বেড়ে হয়েছে ৭৩.৯৩ ডলার, যা প্রায় ৯ শতাংশ বৃদ্ধি।
সম্ভাব্য যুদ্ধের প্রভাবে আতঙ্কিত বাজার
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ১৩ জুন ভোর রাতে ইরানে ইসরাইলের চালানো সামরিক হামলার পর থেকেই পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। তাদের আশঙ্কা, এই সংঘর্ষ পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে রূপ নিলে মধ্যপ্রাচ্যে জ্বালানি সরবরাহ চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হবে। এর সরাসরি প্রভাব পড়বে বিশ্বজুড়ে খাদ্য, পরিবহন, শিল্প ও ভোক্তা পর্যায়ে।
বিশ্লেষকদের সতর্ক বার্তা
এশিয়ার জ্বালানি বিশ্লেষক ভান্দনা হারী জানান,
“ইরান-ইসরাইলের মধ্যে অতীতেও সংঘর্ষ হয়েছে, তবে এবারের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। এটি দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধেও রূপ নিতে পারে, ফলে শুধু জ্বালানি নয়, অন্যান্য পণ্যের দামও লাফিয়ে বাড়বে।”
এমএসটি ফাইনান্সিয়ালের প্রধান বিশ্লেষক সাউল কবনিক বলেন,
“তেলের দাম দ্রুত বাড়ায় বাজারে ব্যাপক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। যুদ্ধের শঙ্কা থেকেই মূলত এই প্রতিক্রিয়া। এটি কতদিন স্থায়ী হবে তা নির্ভর করছে কূটনৈতিক ও সামরিক পদক্ষেপের ওপর।”
বিশ্ব অর্থনীতিতে সম্ভাব্য বিপর্যয়
যদি যুদ্ধ সত্যি সত্যিই শুরু হয়, তাহলে বৈশ্বিক অর্থনীতি নতুন এক সংকটে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা। তেলের দামের পাশাপাশি খাদ্যদ্রব্য, ভোগ্যপণ্য এবং রফতানি-আমদানির খরচও আকাশচুম্বী হতে পারে। এর বিরূপ প্রভাব পড়বে উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ করে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়।
আঁখি