ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২

ইরানের রাজধানী তেহরানে ঈদুল গাদির পালন, ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

প্রকাশিত: ০১:১৩, ১৫ জুন ২০২৫; আপডেট: ০১:১৩, ১৫ জুন ২০২৫

ইরানের রাজধানী তেহরানে ঈদুল গাদির পালন, ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

ছবি: সংগৃহীত

তেহরানে ইসরায়েলি আগ্রাসনের মাঝেও ঈদুল গাদির উপলক্ষে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ ও সংহতির বার্তা দিয়েছেন। শনিবার রাজধানীজুড়ে আয়োজিত ‘১০ কিলোমিটার গাদির উৎসব’ কর্মসূচিতে জনস্রোত লক্ষ্য করা গেছে।

তেহরানের একটি নির্দিষ্ট সড়কপথে কয়েক শতাধিক অস্থায়ী স্টল স্থাপন করে সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়। এই র‌্যালি ছিল প্রতীকী ঐক্য ও দৃঢ় সংকল্প প্রদর্শনের এক বড় উদাহরণ। এবারের আয়োজন ছিল বিশেষভাবে আবেগময় ও শোকাবহ। অংশগ্রহণকারীরা ইসরায়েলি হামলায় নিহত ইরানি শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানান এবং এককণ্ঠে ইসরায়েলের আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানান।

১৩ জুন মধ্যরাতে ইসরায়েল ইরানের বিভিন্ন স্থানে, এমনকি রাজধানী তেহরানে, ধারাবাহিক হামলা শুরু করে। তেলআবিব সরকার তেহরান ও এর আশেপাশের আবাসিক ভবনগুলোতেও হামলা চালায়। এছাড়া ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ইরানের শীর্ষ সামরিক নেতাদের লক্ষ্য করে নির্দিষ্টভাবে হামলা চালায়।

নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি এবং ইসলামিক রেভ্যুল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)-এর প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি।

এই হামলার পর ইসলামি বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ইসরায়েলি শাসকগোষ্ঠী নিজের জন্য একটি তিক্ত ও বেদনাদায়ক পরিণতি বেছে নিয়েছে।’

এই প্রেক্ষাপটে ঈদুল গাদির পালন কেবল ধর্মীয় অনুষ্ঠানেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং তা পরিণত হয়েছে এক বৃহৎ রাজনৈতিক বার্তা ও জাতীয় প্রতিরোধের বহিঃপ্রকাশে।

 

সূত্র: ইরনা।

রাকিব

×