
ছবিঃ সংগৃহীত
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান পাল্টাপাল্টি হামলার প্রেক্ষাপটে আবারো সামনে এসেছে দুই দেশের সামরিক শক্তির তুলনামূলক বিশ্লেষণ। গবেষণা, প্রযুক্তি ও আধুনিক অস্ত্র ব্যবহারে ইসরায়েল অনেকটাই এগিয়ে থাকলেও, সেনা সংখ্যা, স্থল ও নৌ শক্তিতে পিছিয়ে নেই ইরানও। সামরিক শক্তির র্যাংকিং থেকে শুরু করে অস্ত্রভাণ্ডার, সব মিলিয়ে চিরবৈরী এই দুই দেশের ক্ষমতার পাল্লা যেন সমানে সমান। তবে যুদ্ধক্ষেত্রে কে কাকে ছাড়িয়ে যাবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতোই ইরানের আকাশে অপারেশন রাইজিং লায়ন চালায় ইসরায়েল। তবে চুপ করে বসে নেই ইরান। ইতিমধ্যে তেল আবিবে পালটা হামলা চালিয়ে জবাব দিয়েছে তেহরান। এই অবস্থায় আবারো আলোচনায় চিরবৈরী দুই দেশের সামরিক সক্ষমতা। গ্লোবাল পাওয়ার র্যাংকিং এর তথ্য বলছে সামরিক শক্তিতে প্রায় একই ভাবে সমান টক্কর দিচ্ছে ইরান-ইজরায়েল।
২০২৫ সালের ডেটা অনুযায়ী, ১৪৫ টি দেশের মধ্যে সামরিক শক্তিতে ইসরায়েলের অবস্থান ১৫ তম। মাত্র এক ধাপ পিছিয়ে ১৬ তম অবস্থানে রয়েছে ইরান। তবে সমরাস্ত্র বিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তিতে ইসরায়েলের ধারের কাছেও নেই ইরান।
সেনা সংখ্যায় ইরানের থেকে বেশ পিছিয়ে আছে ইসরায়েল। এই মুহূর্তে দেশটির এক্টিভ সেনা রয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার। রিজার্ভে আছে আরো সাড়ে ৪ লাখ। অপরদিকে ইরানের এক্টিভ সেনা সদস্য রয়েছেন ৬ লাখ ১০ হাজার জন। যুদ্ধ বাধলে রিজার্ভ থেকে যোগ দেবে আরো ৩ লাখ সামরিক সদস্য।
স্থলপথের শক্তিতে ইরান বেশ সমৃদ্ধ। দেশটির সংগ্রহে রয়েছে ১৭'শর বেশি ট্যাংক ও ৬৫ হাজার ৯শত সাজোয়া যান। অপরদিকে তেল আবিবের বহরে রয়েছে ১৩শ ট্যাংক ও প্রায় ৩৬ হাজার সাজোয়া যান। বিভিন্ন ধরনের কামান আর রকেট প্রজেক্টরের দিক থেকেও এগিয়ে তেহরান।
নৌ শক্তিতেও ইসরায়েলের থেকে এগিয়ে রয়েছে ইরান। দেশটির নৌবহরে ২৫ টি সাবমেরিন সহ মোট রয়েছে একশোটির বেশি যুদ্ধ জাহাজ। অপরদিকে তেল আবিবের ঝুলিতে উল্লেখযোগ্য কেবল পাঁচটি সাবমেরিন।
তবে ইরানের তুলনায় ইসরায়েলের বিমান বাহিনী বেশ শক্তিশালী। দেশটির বিমান বহরে রয়েছে মোট ৬১১ টি বিমান। যার মধ্যে ২৪০ টি ফাইটার জেট। রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের এফ-১৫, এফ-১৬ আর এফ-৩৫ এর মতো অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান। অপরদিকে ইরানে বিমানের সংখ্যা ৫৫১ টি। যার মধ্যে ১৮৮ টি ফাইটার জেট৷ এসব যুদ্ধ বিমানের বেশির ভাগই পুরোনো মডেলের।
নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি সল্প, মধ্যম, দুরপাল্লার ক্রজ ও ব্যালেস্টিক দুই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রেরই মালিক ইরান। তবে আকাশ প্রতিরক্ষায় অনন্য ইসরায়েলের আইরন ডম ও প্যাট্রিয়ট। যদিও ইরানেরও আছে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
নোভা