ছবিঃ সংগৃহীত
ইরান জুড়ে সামরিক ও পারমাণবিক অবকাঠামোর উপর ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এর পাল্টা জবাবে ইসরায়েলের দিকে শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে মারে ইরান। তবে সেই হামলা পুরোপুরি সফল হয়নি। কারণ, ইরানের ছোড়া ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের একটি বড় অংশ ভূপাতিত করেছে মুসলিম-অধ্যুষিত একটি দেশ—জর্ডান। এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নানা প্রশ্ন উঠেছে—এক মুসলিম দেশ কেন আরেক মুসলিম দেশের প্রতিরোধ ঠেকাল?
ইসরায়েলের ১৩ জুনের হামলায় ইরানের আটটি শহরের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় একযোগে বোমা বর্ষণ করা হয়। এরপরেই খামেনি বাহিনী ইসরায়েলের দিকে শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। এতে ইসরায়েলজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
একইসাথে ইরানের কোম শহরে শত শত মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন এবং নেতানিয়াহুর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার আহ্বান জানান। কোম শহরের একটি মসজিদে উত্তোলন করা হয় “প্রতিশোধের লাল পতাকা”। এটি শিয়া মুসলিমদের কাছে প্রতিশোধ ও শোকের প্রতীক, যা সাধারণত কারবালার ঘটনার স্মরণে মুহাররম মাসে উত্তোলন করা হয়। তবে এবার যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এই পতাকা উত্তোলনের ঘটনা বিরল এবং তা প্রতিশোধের এক কঠিন বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এই উত্তেজনার মধ্যেই ইরানের ছোড়া বেশ কিছু ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র জর্ডানের আকাশসীমায় প্রবেশ করে। ১৩ জুন সকালে জর্ডানের সেনাবাহিনী সেগুলো ভূপাতিত করে। সে সময় রাজধানী আম্মানে সাইরেন বেজে ওঠে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম Middle East Monitor এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। তাদের দাবি, জর্ডান এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে মূলত নিজের ভূখণ্ড রক্ষার স্বার্থে।
অন্যদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, ১২ জুন রাতের বিমান হামলার পর ১৩ জুন সকালে ইরান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে, যা তারা সফলভাবে প্রতিহত করেছে। ইসরায়েলের চ্যানেল-১২ দাবি করেছে, এসব ইউএভি সৌদি আরবের আকাশসীমা ব্যবহার করে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। ইসরায়েলি বিমান বাহিনী সেগুলো আটকাতে তৎপর ছিল।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের উত্তাপ বাড়ছে, এবং মুসলিম বিশ্বের অভ্যন্তরেও ভাঙন ও দ্বিধার স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলছে।
ইমরান
