
ছবি:সংগৃহীত
ইরানজুড়ে ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলায় কেঁপে উঠেছে তেহরান, তাবরিজ, ইসফাহান, কেরমানসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শহর। মধ্যরাত ৩টায় ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামক বিশাল অভিযানে অংশ নেয় ইসরায়েলের দুই শতাধিক যুদ্ধবিমান। লক্ষ্য ছিলো ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাগুলো।
সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আলোচিত নাতাঞ্জ পারমাণবিক কেন্দ্রে, যেখানে একের পর এক বিস্ফোরণে ধ্বংস হয় মূল স্থাপনার বড় একটি অংশ। একইসঙ্গে তাবরিজ এয়ারপোর্ট ও আশেপাশের এলাকায় ব্যাপক বিমান হামলায় ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, যা ভিডিও ফুটেজে প্রকাশিত হয়েছে।
ইসরায়েলি বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে ইরানের রাজধানী তেহরান, ইসফাহান, তাবরিজ, আরাক, ও কেরমানে। লক্ষ্যবস্তু ছিলো পারমাণবিক কেন্দ্র, সামরিক ঘাঁটি ও তেল শোধনাগার। বিস্ফোরণের তীব্রতায় রাজধানীতে নয় দফা শক্তিশালী সোকওয়েভ অনুভূত হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র *জর্ডান ও ইরাকের আকাশসীমা* ব্যবহার করে ইরানে প্রবেশ করে। এই অভিযানে ব্যবহৃত হয়েছে অত্যাধুনিক *F-35 লাইটনিং জেট, রিফুয়েলিং ট্যাংকার, এবং গোয়েন্দা বিমান।
ইসরায়েলের আগ্রাসনের পরপরই তেহরান থেকে শতাধিক ড্রোন ছোঁড়া হয় ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে। তেলআবিবসহ বিভিন্ন শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, বেসামরিক নাগরিকরা বাংকার ও বোম শেল্টারে আশ্রয় নেন। যদিও আইডিএফ (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) দাবি করেছে, “সব ড্রোন আকাশেই ধ্বংস করা হয়েছে।”
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি তীব্র প্রতিক্রিয়ায় বলেন,“ইসরায়েল এই বর্বর হামলার বেদনাদায়ক মূল্য দেবে। যারা এই হামলার পক্ষে রয়েছে, তারা বিভ্রান্ত হবেন না। দাঁতভাঙা জবাব আসবে।”
এদিকে ইসরায়েলের এই আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব, রাশিয়া এবং চীন।
সংযুক্ত আরব আমিরাত আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চায় বলে জানিয়েছে।
ইউরোপীয় কমিশন* দু’পক্ষকেই সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে। ইরান স্পষ্ট করে জানিয়েছে, এই হামলা তাদের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে সরাসরি আগ্রাসন। তেহরান জবাব দিতেই থাকবে।
আর ইসরায়েল বলছে, “আমাদের অস্তিত্বের হুমকি না মিটা পর্যন্ত এই অপারেশন চলবে।”
ছামিয়া