
ছবি: সংগৃহীত
মধ্যপ্রাচ্যে ফের উত্তপ্ত পরিস্থিতি। নজিরবিহীন এক হামলার শিকার হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা জবাব দিয়েছে ইরান। ইসরাইলের বিরুদ্ধে ছোড়া হয়েছে একসঙ্গে প্রায় ১০০টি ড্রোন, যার ফলে পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে যুদ্ধের আতঙ্ক।
ইসরাইলের আগ্রাসী অভিযান
শুক্রবার ভোররাত ৪টার পর ইসরাইল ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের একটি সামরিক অভিযান চালায়। এর লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা এবং সামরিক কমান্ড কেন্দ্রগুলো।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফিডেফরিনের বরাতে জানা যায়, আকাশপথে প্রায় ২০০টি যুদ্ধবিমান ইরানের আকাশসীমায় প্রবেশ করে এবং প্রায় ১০০টি নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়।
এই হামলায় নিহত হন:
-
ইরানের সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ
-
ইসলামিক রেভুলিউনারি গার্ডের প্রধান
-
জরুরি কমান্ড বিভাগের প্রধান
-
সাবেক পারমাণবিক প্রধান ও বিজ্ঞানী ফ্রেদু আব্বাসী
-
আরেক পারমাণবিক বিজ্ঞানী মোহাম্মদ মাহাদী তেহরানচি
নিহতের খবর ইতোমধ্যে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম নিশ্চিত করেছে।
ইরানের পাল্টা জবাব
ইসরাইলি হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইরান পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ইসরাইলের ভূখণ্ডের দিকে ছুড়ে দেয় প্রায় ১০০টি ড্রোন। ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ জানিয়েছে, তারা একাধিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করে ড্রোনগুলো ভূপাতিত করার চেষ্টা চালায়।
তবে ইসরাইলের ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত চিত্র এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
৫ ধাপের অভিযানে কাঁপলো ইরান
টাইমস অব ইসরাইলকে একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরাইলি সামরিক কর্মকর্তা জানান, পুরো হামলা পরিচালিত হয় পাঁচটি ধাপে এবং ইরানের আটটি শহরকে টার্গেট করা হয়।
ধর্মীয় প্রতিক্রিয়া ও হুঁশিয়ারি
এই হামলার তীব্র প্রতিক্রিয়ায় ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এক বিবৃতিতে বলেন,
“এই হামলার মাধ্যমে ইসরাইল নিজেই নিজের জন্য করুণ পরিণতির পথ তৈরি করেছে। এর ফল তারা নিশ্চিতভাবে ভোগ করবে।”
আঁখি