গাজায় খাদ্যসংকট তুলে ধরতে এবং সেখানে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে ইতালি থেকে রওনা হওয়া নৌযান ম্যাডলিন–এ ছিল সুইডিশ জলবায়ুকর্মী গ্রেটা থানবার্গসহ একদল মানবাধিকারকর্মী। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইসরায়েলি বাহিনী নৌকাটি “জোরপূর্বক বাধা” দেয় বলে জানিয়েছে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, “নৌকাটি অবৈধভাবে আটকানো হয়েছে, নিরস্ত্র বেসামরিক কর্মীদের অপহরণ করা হয়েছে, এবং শিশু খাদ্য, খাবার, ওষুধসহ জীবনরক্ষাকারী ত্রাণসামগ্রী জব্দ করা হয়েছে।”
১ জুন ইতালির উপকূল থেকে যাত্রা শুরু করে ম্যাডলিন, যার লক্ষ্য ছিল অবরুদ্ধ গাজায় খাদ্য ও ওষুধ পৌঁছে দেওয়া। জাতিসংঘ গাজাকে বর্তমানে “পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুধার্ত স্থান” হিসেবে বর্ণনা করেছে।
স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ২ মিনিটে (গ্রিনউইচ সময় ০১:০২) ইসরায়েলি সেনারা নৌকাটিকে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আটক করে। এর আগেই এক ভিডিও বার্তায় গ্রেটা থানবার্গ বলেন, “যদি আপনারা এই ভিডিও দেখেন, তাহলে বুঝবেন আমরা আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে আটক এবং অপহৃত হয়েছি।” ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন >
থানবার্গ আরও বলেন, “আমি আমার বন্ধু, পরিবার এবং সহকর্মীদের অনুরোধ করছি যেন তারা সুইডিশ সরকারের ওপর আমাদের মুক্তির দাবিতে চাপ সৃষ্টি করে।”
নৌকাটিতে থাকা কর্মীদের কেউ আহত হননি বলে জানায় সংগঠনটি।
এদিকে, ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ঘটনাকে ব্যঙ্গ করে টুইট করে লিখেছে, “‘সেলফি ইয়ট’-এর সব যাত্রী নিরাপদ ও অক্ষত আছেন। আমরা আশা করছি, তারা তাদের নিজ নিজ দেশে ফিরে যাবেন।”
তুরস্ক এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে একে “আন্তর্জাতিক জলসীমায় ঘৃণ্য হামলা” বলে অভিহিত করে। ইরানও এটিকে “জলদস্যুতা” বলে অভিহিত করেছে।
গত মে মাসে ফ্রিডম ফ্লোটিলার আরেকটি জাহাজ কনসায়েন্স ড্রোন হামলার শিকার হয়েছিল বলে জানায় সংগঠনটি। তারা সেই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০১০ সালে তুরস্কের জাহাজ মাভি মারমারা-তে ইসরায়েলি কমান্ডো হামলায় ১০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছিলেন।
সানজানা
