এবার ইসরায়েলের পারমাণবিক স্থাপনা উড়িয়ে দেবে ইরান!

ইসরায়েলের গোপন পারমাণবিক স্থাপনার নকশা, গবেষণাগারগুলোর বিস্তারিত তথ্য, নিরাপত্তা ব্যবস্থার গঠন এবং বোমা তৈরির পদ্ধতি— সবকিছু এখন ইরানের হাতে। এমন বিস্ময়কর ও ভয়ংকর তথ্য সম্প্রতি প্রকাশ করেছে ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম আইআরআইবি।

জানা গেছে, ইরানি গোয়েন্দারা ইসরায়েলের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে বিশাল এক গোপন নথির ভাণ্ডার নিজেদের দখলে এনেছে। এসব নথিতে রয়েছে হাজার হাজার কাগজপত্র, ভিডিও, ছবি এবং অতি গোপনীয় ডকুমেন্ট, যেগুলোর অনেকগুলোর অস্তিত্ব সম্পর্কে ইসরায়েলের কর্মকর্তারাই জানতেন না।

এই অপারেশনটি এক রাতের মধ্যে সম্পন্ন হয়নি। বরং, বহুদিন আগেই নথিগুলো সংগ্রহ করা হলেও সেগুলো নিরাপদে ইরানে পৌঁছাতে এবং কোনো তথ্য যেন ফাঁস না হয়, সেজন্য এক দীর্ঘ সময় ধরে ছিল সম্পূর্ণ নীরবতা ও সংবাদ ব্ল্যাকআউট।

নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, এত বিপুল পরিমাণ তথ্য যাচাই করে বুঝতে ইরানি গোয়েন্দাদের সপ্তাহের পর সপ্তাহ লেগেছে। তারা মনে করছে, এটি শুধু একটি গোয়েন্দা সাফল্য নয়, বরং এটি ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বুদ্ধিবৃত্তিক লঙ্ঘন।

ঘটনার পর ইসরায়েল হুলস্থূল শুরু করে। দুই সপ্তাহ পর ইসরায়েলি পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেত জানায়, তারা দুজন যুবককে আটক করেছে যারা নাকি ইরানের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তি করছিল। তাদের নাম রইমি ইজরাহি ও আলমোখ আতিয়াস, দুজনেরই বয়স ২৪। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা ধরা পড়ার অনেক আগেই মূল নথিগুলো ইরানে পৌঁছে গিয়েছে।

এই ঘটনার মাধ্যমে তেহরান শুধু একটি সফল গোয়েন্দা অভিযান চালায়নি, বরং কূটনৈতিকভাবে একটি বার্তা দিয়েছে। ইসরায়েল যেখানে দীর্ঘদিন ধরে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বকে সতর্ক করে এসেছে, এবার তেহরান উল্টো ইসরায়েলকে চাপে ফেলেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি শুধু একটি গোপন নথি চুরির ঘটনা নয়, বরং পুরো মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষমতার ভারসাম্য বদলে দেওয়ার মতো ঘটনা। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ইসরায়েলের সমর্থন কমতে থাকা এবং ইরান, রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক তৈরি হওয়ায় তেহরানের কৌশল এখন আরও শক্তিশালী।

ইরান এখন প্রমাণ করতে চাইছে যে, যুদ্ধ শুধু মিসাইল দিয়ে হয় না, তথ্যও হতে পারে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অস্ত্র। তেহরান এখন সেই তথ্য-মিসাইল হাতে নিয়ে প্রস্তুত, আর ইসরায়েল প্রতিটি পদক্ষেপে শঙ্কিত।

ভিডিও দেখুন: https://www.youtube.com/watch?v=O1W4KaEIfdY