
ছবি: সংগৃহীত
গাজা শহরের পশ্চিমাঞ্চলে আল-শিফা হাসপাতাল কম্পাউন্ডের কাছাকাছি আল-নাসের স্ট্রিটে ইসরায়েলের ভয়াবহ বিমান হামলায় অন্তত তিনজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।
ঘটনার সময় নিজের তাবুতে বসে ছিলেন এলাকার বাসিন্দা ফাদি আল-হিন্দি। হঠাৎ বোমার শব্দ শুনে ছুটে যান নিজের সন্তানদের খোঁজে। তিনি আল জাজিরাকে বলেন, ‘আমি বাইরে বেরিয়ে দেখি, এক ব্যক্তির শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে আছে—তিনি সাইকেল চালাচ্ছিলেন, কিন্তু তার শরীরের নিচের অংশটাই আর নেই। পুরো রাস্তা জুড়ে শুধু আহত আর রক্ত। আমরা রক্তাক্তদের শরীরের টুকরোগুলো একত্র করার চেষ্টা করছিলাম। এখানে সবাই আহত, আর বেশিরভাগই শহীদ হয়ে গেছে, কারণ এটি ছিল একটি ভয়ঙ্কর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা।’
আল-হিন্দি আরও জানান, ‘প্রতিদিন যখন আমি রাস্তায় হাঁটি, মনে হয় যেন আমি-ই পরবর্তী টার্গেট—এই পাশেই মৃত্যু অপেক্ষা করছে।’
আরেক বাসিন্দা নামান আল-কাফারনা জানান, হামলার সময় ওই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রচুর মানুষ ছিলেন। তিনি বলেন, ‘যারা তখন সেখানে ছিল, তারা হয় আহত, নয়তো ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। অনেকেই শহীদ হয়েছেন।’
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো একাধিকবার গাজায় বেসামরিক এলাকাগুলোতে হামলার বিষয়ে উদ্বেগ জানালেও, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বারবারই বলছে, তারা ‘নির্বাচিত লক্ষ্যবস্তুর’ উপরেই হামলা চালাচ্ছে। তবে বাস্তব চিত্র ভিন্ন—দিনের পর দিন রক্তে ভাসছে গাজার রাস্তা, ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে নিরীহ মানুষের জীবন।
সূত্র: আল জাজিরা।
রাকিব