
ছবি: সংগৃহীত
করোনাভাইরাসের একটি নতুন ও উদ্বেগজনক সাবভ্যারিয়েন্ট NB.1.8.1 যুক্তরাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা। অন্যান্য ধরনগুলোর তুলনায় এই নতুন ধরনটি বেশি সংক্রামক এবং টিকার প্রতিরোধ ক্ষমতা ভেঙে দিতে সক্ষম, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য নতুন হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (NHS) জানায়, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে ইতোমধ্যে অন্তত ৭ জন এনবি.১.৮.১ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটিতে উদ্বেগ বাড়ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বলছে, NB.1.8.1 এখন পর্যন্ত চিহ্নিত করোনাভাইরাসের তুলনায় চারগুণ দ্রুত ছড়ায় এবং এটিকে তারা "Variant Under Monitoring" (নজরদারির তালিকাভুক্ত ধরন) হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। এর বিপক্ষে বর্তমানে প্রচলিত টিকাগুলোর কার্যকারিতা সীমিত, বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই সাবভ্যারিয়েন্ট কেবল যুক্তরাজ্যেই নয়, হংকং, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড, মিসর এবং মালদ্বীপেও শনাক্ত হয়েছে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সূত্রে জানা গেছে।
অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজিস্ট ড. লারা হেরেরো ব্রিটিশ দৈনিক দ্য মিররকে বলেন,
"NB.1.8.1 অন্যান্য সাবভ্যারিয়েন্টের মতোই ছড়ায়, তবে এটি আরও দ্রুত সংক্রমিত হয় এবং টিকা-উৎপন্ন রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এড়িয়ে যেতে পারে।"
এই ভাইরাসের লক্ষণগুলো: দীর্ঘ সময় ধরে কাশি, যা এক ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হতে পারে, দিনে তিনবার বা তার বেশি কাশির দমক, স্বাদ ও ঘ্রাণশক্তি লোপ, শ্বাসকষ্ট ও ক্লান্তি, গা ও মাথাব্যথা, গলা ব্যথা, নাক বন্ধ হওয়া
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণ এড়াতে এখনও মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। নতুন এই ধরন বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যব্যবস্থার জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
সূত্র: দ্যা মিরর
ফারুক