ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে “আলোচনায় প্রস্তুত, কিন্তু মরিয়া নয়” - ইসহাক ডার

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:১৮, ৪ জুন ২০২৫

পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে “আলোচনায় প্রস্তুত, কিন্তু মরিয়া নয়” - ইসহাক ডার

ছবি: সংগৃহীত

পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সর্বশেষ কয়েক দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ সামরিক সংঘর্ষের পরেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে এখনও কোনো গলন বা উত্তাপ কমার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক ডার বলেন, "আমরা আলোচনার জন্য প্রস্তুত, কিন্তু মরিয়া নই।"

গত মাসে টানা চারদিন দুই দেশের মধ্যে বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও গোলন্দাজ বাহিনীর মাধ্যমে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ মে এক অস্ত্রবিরতি কার্যকর হয় বলে ওয়াশিংটন দাবি করলেও, ভারত এই অস্ত্রবিরতিতে কোনো তৃতীয় পক্ষের ভূমিকা থাকার কথা অস্বীকার করেছে।

ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসহাক ডার বলেন, “যখনই তারা (ভারত) কোনো পর্যায়ে আলোচনার আগ্রহ দেখাবে, আমরা প্রস্তুত। কিন্তু আমরা মরিয়া নই।”

উত্তপ্ত শুরু: কাশ্মীরে হামলা

এই সামরিক উত্তেজনার সূত্রপাত হয় ২২ এপ্রিল। সেদিন ভারতের কাশ্মীরে এক হামলায় ২৬ জন নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই পর্যটক। নয়াদিল্লি দাবি করে, পাকিস্তানের মদদপুষ্ট "সন্ত্রাসীরা" এই হামলা চালায়, যদিও ইসলামাবাদ এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে।

ডার জানান, পাকিস্তান জলবণ্টনের বিস্তৃত বিষয়ে আলোচনা চায়, কিন্তু ভারত শুধু সন্ত্রাসবাদ বিষয়েই আলাপ করতে চায়। তিনি বলেন,“ওটা হতে পারে না। আমাদের চেয়ে কেউ বেশি আন্তরিক নয়। আলোচনার জন্য দুই পক্ষেরই প্রস্তুতি থাকতে হয়।”

এই মন্তব্য ছিল ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্করের ওই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া, যেখানে জয়শঙ্কর বলেছিলেন, আলোচনায় শুধু সন্ত্রাসবাদ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত।ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ডারের বক্তব্যের বিষয়ে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

কাশ্মীর প্রশ্ন ও জলসন্ধি নিয়ে উদ্বেগ

ভারত আগে থেকেই বলে আসছে, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার একমাত্র বিষয় হতে পারে কাশ্মীরের পাকিস্তান-অধিকৃত অংশ খালি করা, যেটি ভারত নিজের ভূখণ্ড বলে দাবি করে। কাশ্মীর একটি বিতর্কিত পার্বত্য অঞ্চল, যার উপর দুই দেশই পূর্ণ দাবি করে, কিন্তু আংশিকভাবে শাসন করে।

এদিকে পাকিস্তান জলসন্ধি নিয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কারণ, ২২ এপ্রিলের হামলার পর ভারত ইন্দাস জলচুক্তি ‘স্থগিত করে’ রেখেছে, যা পাকিস্তানের কৃষির ৮০ শতাংশ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করে। এই পানি আসে ভারতের দিক থেকে প্রবাহিত তিনটি প্রধান নদী থেকে।

Mily

×