ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

পুতিনকে ‘ক্রেজি’ বলায় ট্রাম্পকে ‘আবেগপ্রবণ’ বলল ক্রেমলিন

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ২৭ মে ২০২৫

পুতিনকে ‘ক্রেজি’ বলায় ট্রাম্পকে ‘আবেগপ্রবণ’ বলল ক্রেমলিন

ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘ক্রেজি’ বলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘আবেগপ্রবণ’ বলে মন্তব্য করেছে ক্রেমলিন। সম্প্রতি ইউক্রেনে মস্কোর সর্ববৃহৎ ড্রোন হামলার পর এই বাকযুদ্ধ শুরু হয়।

রবিবার (২৫ মে) রাতে নিউ জার্সিতে এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি পুতিনকে অনেক দিন ধরে চিনি, সবসময় তাঁর সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল। কিন্তু এখন সে শহরে শহরে রকেট ছুড়ে মানুষ মারছে—এটা আমি একদমই পছন্দ করছি না।’

পরে ট্রুথ সোশ্যাল-এ একটি পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘আমি সবসময় বলেছি, সে পুরো ইউক্রেন চায়, শুধু কিছু অংশ নয়। হয়তো এখন সেটা প্রমাণিত হচ্ছে। তবে সে যদি এটা করে, তাহলে সেটাই হবে রাশিয়ার পতনের শুরু।’

তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করার কথা বিবেচনা করছেন, যা তিনি আগেও একাধিকবার বলেছিলেন।

তবে শুধু পুতিন নয়, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকেও কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেন ট্রাম্প। বলেন, ‘তিনি যেভাবে কথা বলছে, তা দেশের কোনো উপকারে আসছে না। তাঁর মুখ থেকে যা বের হচ্ছে, সবই সমস্যা তৈরি করছে। আমি এটা একেবারেই পছন্দ করছি না, এবং এটা বন্ধ করাই ভালো হবে।’

এদিকে ইউক্রেনের ইউরোপীয় মিত্ররা যখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞার প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, শান্তি আলোচনায় অগ্রগতি না হলে তারা সেই চেষ্টা বন্ধ করে ‘সরে দাঁড়াবে’।

রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সোমবার বলেন, ‘এই শান্তি প্রক্রিয়া শুরু ও বাস্তবায়নে সহায়তার জন্য আমরা আমেরিকার এবং বিশেষভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞ।’

গত সপ্তাহে ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে দুই ঘণ্টার ফোনালাপ হয়, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। ট্রাম্প বলেন, ‘আলোচনাটি খুব ভালো হয়েছে’ এবং রাশিয়া ও ইউক্রেন ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে আলোচনা শুরু করবে’।

ইউক্রেন প্রকাশ্যে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। তবে পুতিন বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনের সঙ্গে একটি ‘সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ শান্তি’ নিয়ে ‘স্মারকলিপি’ তৈরিতে কাজ করবে—যা কিয়েভ ও তার মিত্ররা সময়ক্ষেপণের কৌশল হিসেবে দেখছে।

২০২২ সালের পর গত ১৬ মে প্রথমবারের মতো তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সরাসরি ইউক্রেন-রাশিয়া আলোচনা হয়। এর বাইরে গত সপ্তাহে বন্দি বিনিময়ের একটি বড় চুক্তি ছাড়া যুদ্ধ থামানোর ব্যাপারে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি।

বর্তমানে রাশিয়া ইউক্রেনের প্রায় ২০ শতাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে, যার মধ্যে রয়েছে ২০১৪ সালে দখল করা ক্রিমিয়া উপদ্বীপ।

 

সূত্র: বিবিসি।

রাকিব

×