
ছবিঃ সংগৃহীত
ভারতের বিমানবাহিনী বুধবার সকালে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী শিবির, প্রশিক্ষণ ক্যাম্প ও লঞ্চপ্যাড লক্ষ্য করে হামলা চালায় বলে দাবি ভারতের। এই হামলায় বহু সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে, এবং এটি ২২ এপ্রিলের পহলগাঁও হামলার প্রতিশোধ হিসেবে দেখা হচ্ছে বলে ভারতীয় মিডিয়ায় জানানো হয়।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, খাওজা আসিফ, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন যে, পাকিস্তানের বাহিনী ভারতীয় পাঁচটি যুদ্ধবিমান—এমনকি রাফালও—ভূপাতিত করেছে, তবে তার এই দাবি ছিল সোশ্যাল মিডিয়ার রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে।
সিএনএন-এ এক সাক্ষাৎকারে সাংবাদিক যখন তার কাছে প্রমাণ দাবি করেন, তখন আসিফ বলেন, "এটা সব সোশ্যাল মিডিয়ায় আছে, কিন্তু আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় না, ভারতীয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিমানের ধ্বংসাবশেষ ভারতীয় ভূখণ্ডে পড়েছে। সব কিছু ভারতীয় মিডিয়ায় রয়েছে।"
এই বক্তব্যের পর, ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর ফ্যাক্ট-চেকিং ইউনিট জানায় যে, পাকিস্তানি সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলগুলি পুরোনো একটি বিমান দুর্ঘটনার ছবি শেয়ার করছে এবং তা বর্তমানে ঘটে যাওয়া ভূপাতিত রাফাল বিমানের ছবি হিসেবে প্রচার করছে। এই ছবি আসলে ২০২১ সালে মোগা, পাঞ্জাবে একটি ভারতীয় মিগ-২১ বিমানের দুর্ঘটনার ছবি।
সাক্ষাৎকারে আসিফ আরও বলেন যে, পাকিস্তান যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যেতে চায় না, তবে যদি পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়, তাহলে তারা প্রস্তুত রয়েছে। "আমরা পুরোপুরি যুদ্ধের দিকে যেতে চাই না, কিন্তু যদি ভারত আরও আক্রমণ করে, তবে আমাদের পাল্টা প্রতিক্রিয়া থাকবে," আসিফ বলেন।
তিনি বলেন, "এই হামলা একটি স্পষ্ট লঙ্ঘন, এবং এটি পরিস্থিতিকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে, যা পুরো অঞ্চলকে আরও বিপজ্জনক করে তুলবে।"
তবে, আসিফ তার আগের মন্তব্যে বলেন, পাকিস্তান ভারতের প্রতি কিছু hostile পদক্ষেপ নিবে না, কিন্তু যদি ভারত পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য এগিয়ে আসে, তাহলে পাকিস্তানও এই উত্তেজনা শেষ করতে প্রস্তুত।
এদিকে, ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, ভারতের বাহিনী অত্যন্ত নিখুঁত, সঠিক ও মানবিকতার সাথে সন্ত্রাসী ক্যাম্পগুলি ধ্বংস করেছে।
মারিয়া