
ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আমেরিকার ভোটারদের মধ্যে এখন যে আলোচনা তুঙ্গে তা হলো আমেরিকা কি তার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পেতে যাচ্ছে? নাকি আবারও ক্ষমতায় আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প?
নির্বাচনী প্রচারে বেশ আগে থেকেই যুক্ত আছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে সময় কম পেয়েছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস।
সবশেষ এবিসি নিউজের জরিপ বলছে, ৪৮ শতাংশ সমর্থন নিয়ে এগিয়ে আছেন কমলা। বিপরীতে ১ শতাংশ কম সমর্থন পেয়েছেন ট্রাম্প।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট কে হবেন, তা মূলত নির্ভর করে ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটের ওপর। ফলে পপুলার ভোট বেশি পেয়েও নির্বাচিত না হওয়ার বহু ইতিহাস আছে।
এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মূল লড়াইয়ের কেন্দ্র ৭টি সুইং স্টেট। সাম্প্রতিক জরিপগুলোতে এই রাজ্যেগুলোতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। সেক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে দুই প্রার্থীর নীতি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, নেভাডা ও নর্থ ক্যারোলাইনায় সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। আর মিশিগান ও উইসকনসিনে এগিয়ে আছেন কমলা।
পেনসিলভানিয়ায় দুই প্রার্থীর মধ্যে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া গেছে। ট্রাম্প এখানে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে আছেন। সুইং স্টেটগুলোর মধ্যে পেনসিলভানিয়ার ইলেক্টোরাল পয়েন্ট সবচেয়ে বেশি, ১৯। নির্বাচনী প্রচারের সময় এই রাজ্যে বন্দুক হামলার মুখে পড়েছিলেন ট্রাম্প। শেতাঙ্গ অধ্যুষিত এই রাজ্যে ট্রাম্পের অভিবাসননীতি বড় প্রভাব রাখতে পারে।
জর্জিয়া ও নর্থ ক্যারোলাইনা দুই রাজ্যেই ভোটারদের ৫১ শতাংশ নারী। এর বাইরে নর্থ ক্যারোলাইনায় আছে ৬১ শতাংশ হিসপানিক শেতাঙ্গ, আর জর্জিয়ায় আছেন ৩০ শতাংশ অশ্বেতাঙ্গ ভোটার। ট্রাম্পের নারী ও অভিবাসননীতি এক্ষেত্রে ভোটারদের ওপর বড় প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। দুই রাজ্যেই ইলেক্টোরাল ভোট আছে ১৬টি করে।
অন্যদিকে মিশিগানকে বলা হচ্ছে গেম চেঞ্জার সুইং স্টেট। এই রাজ্যটিতে আছে ১৫ ইলেক্টোরাল ভোট। আমেরিকার মোট আরব-আমেরিকান জনগোষ্ঠীর সিংহভাগের বাস এখানে। এই ভোটাররা আগেই জানিয়েছে, গাজা ইস্যুতে বাইডেনের অবস্থানে তারা সন্তুষ্ট নয়। এই ইস্যুটিই ভোটের ফল নির্ধারণের জন্য যথেষ্ট বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এর আগে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতে রেকর্ড গড়ার মতো পরিস্থিতিতে ছিলেন হিলারি ক্লিনটন। ওই সময় শেষদিকে এসে তাঁর প্রভাব কিছুটা কমে যায়। পরে এই ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছেই হেরে যান হিলারি। নারী প্রেসিডেন্ট দেখেনি আমেরিকা। এবার সেই পথ তৈরি হবে কিনা তা সময়ই বলে দেবে।
তাসমিম