
ফারিনা মাহমুদ।
অস্ট্রেলিয়ায় মেলবোর্ন শো গ্রাউন্ডে রয়্যাল মেলবোর্ন শো গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে। এতে
‘ভিন্টেজ চ্যালেঞ্জ বার্থডে কেক’ বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশি ফারিনা মাহমুদ। ফারিনা মাহমুদ পেশায় একজন তথ্য প্রযুক্তিবিদ। একান্তই শখের বসে কেক বানান। এই প্রতিযোগিতায় ফারিনার বানানো গায়ে হলুদ থিমের কাপকেক বিচারকদের প্রশংসা অর্জন করে। ভিক্টোরিয়ার সবচেয়ে বড় এই প্রদর্শনীটি চলবে আগামী রবিবার (১ অক্টোবর) পর্যন্ত।
রয়্যাল এগ্রিকালচারাল সোসাইটি ভিক্টোরিয়ার উদ্যোগে ১৮৪৮ সাল থেকে প্রতিবছর কৃষিপণ্য, গবাদিপশু, হস্ত ও কারুপণ্য, ঐতিহ্যবাহী খাবার, বিভিন্নরকম জ্যাম বিস্কুট রুটি কেক ইত্যাদির প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। সাত দিন ব্যাপী এই আয়োজনকে ঘিরে থাকে মেলা ও কনসার্ট।
ফারিনা মাহমুদ বলেন, ‘শখের বশে টুকটাক কেক বানাই। খুব আনন্দ হচ্ছে এটা ভেবে, যে আমার বানানো একটা কেক এ বছর রয়াল মেলবোর্ন শো-২০২৩ এ প্রথম পুরষ্কার পেয়েছে। ‘ভিন্টেজ চ্যালেঞ্জ বার্থডে কেক’ ক্যাটাগরি তে স্প্রিং ফ্লাওয়ার থিম এ বানানো এই কেকটা র বিশেষত্ব ছিল কোনো ধরনের বাটারক্রিম, গানাস বা ফ্রেশ ক্রিম ব্যবহার না করে সাজাতে হবে। এই কষ্টসাধ্য কাজটা করা চ্যালেঞ্জিং। একই সাথে দেখতে সুন্দর এবং খেতে মজা এমন একটা কেক কী করে গাইডলাইন মেনে তৈরি করবো সেটা ভেবেই আমি সারা!’তিনি বলেন, ‘মজার ব্যাপার হচ্ছে কেক দুটোতে আমি কিছু মজার জিনিস ব্যবহার করেছিলাম, যার মধ্যে অন্যতম ছিল দেশি গুড় দিয়ে জ্বাল দেওয়া ফ্রেশ নারকেল! আরো মজার বিষয় হচ্ছে, কেক বানিয়েছিলাম দেশ থেকে আনা একটা কেকের বাটিতে। ইচ্ছে করেই দেশের পণ্য ও খাবারের ছোঁয়া রাখতে চেয়েছিলাম।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা আমার পরিবারের প্রতি। একটা একটা করে কেকের ডেকোরেশন বানাই যখন, ওরা বিরক্ত না হয়ে উৎসাহ দেয়। ঘরের মানুষের বাইরেও যারা আমার পরিবারের সদস্য আছেন তারাও ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করেন।’
এম হাসান