
ছবি: সংগৃহীত
ডোনাল্ড ট্রাম্প পরিবারবান্ধব নীতি ও ‘শিশু বুম’-এর কথা বললেও, বাস্তবে তার প্রশাসনের নীতিগুলো শিশুদের—বিশেষত অভিবাসী পরিবারের সন্তানদের—উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ট্রাম্প এবং তার ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জেডি ভ্যান্স “আরও সুখী শিশু” চাইছেন বললেও, শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা ও খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করা প্রাথমিক কর্মসূচিগুলোতে ব্যাপক বাজেট কর্তন করা হয়েছে। মার্কিন শিশুদের প্রায় ৪০ শতাংশ এই সহায়তার উপর নির্ভরশীল। শিশু সুরক্ষা এবং শিশু সহায়তা আদায় সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলোর জনবল কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা বিভাগের কাঠামো ভেঙে ফেলার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল, যা আপাতত আদালতের হস্তক্ষেপে স্থগিত।
অভিবাসী শিশুদের অবস্থা আরও করুণ। চার বছর বয়সী শিশুরাও আদালতে আইনজীবী ছাড়াই হাজির হচ্ছে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যারা মা–বাবা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছিল, তাদের মধ্যে ১,৩৬০ জনকে এখনও পুনরায় একত্র করা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫৬ লাখ শিশু অন্তত একজন অনিবন্ধিত অভিভাবকের সঙ্গে বসবাস করে। গণগ্রেফতার হলে প্রায় ৪ শতাংশ শিশু বাবা–মা হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে। জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের চেষ্টাও চালাচ্ছেন ট্রাম্প, যা স্পষ্টতই এসব শিশুদের “যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৃত নাগরিক” হিসেবে অস্বীকার করার সামিল।
শ্রম ঘাটতির সুযোগে অনেক শিশু—বিশেষ করে অভিবাসী পরিবারের—কে কম মজুরিতে, ঝুঁকিপূর্ণ কাজেও নিয়োজিত করা হচ্ছে। ১৬টি রাজ্যে শিশু শ্রম আইন আরও শিথিল করা হয়েছে। ফ্লোরিডার একটি প্রস্তাবনায় ১৪ বছর বয়সীদের রাতের পালায় বিরতিহীন কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, যদিও তা পরে বাতিল হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসূচি ‘হেড স্টার্ট’ বাতিলের সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। তবে বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিতে একটি অমানবিক দৃষ্টিভঙ্গি ফুটে উঠেছে—যেখানে শুধুমাত্র কিছু নির্দিষ্ট শিশু যত্ন ও সম্মান পাওয়ার যোগ্য, বাকিদের জন্য রয়ে গেছে অনিশ্চয়তা আর অবহেলা।
সূত্র: https://www.theguardian.com/commentisfree/2025/jun/01/the-guardian-view-on-trump-and-children-protect-the-innocent-from-this-dark-vision-of-the-us-soul
আবির