ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৪ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

রাজনৈতিক বা সামাজিক সমাবেশ একান্তই এড়াতে না পারলে মাস্ক পরতে হবে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

প্রকাশিত: ১৯:৫৫, ১১ জুন ২০২৫; আপডেট: ১৯:৫৬, ১১ জুন ২০২৫

রাজনৈতিক বা সামাজিক সমাবেশ একান্তই এড়াতে না পারলে মাস্ক পরতে হবে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

ছ‌বি: সংগৃহীত

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আবারও বাড়তে শুরু করেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। শনাক্ত হচ্ছে নতুন নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশেও সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বুধবার (১১ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর জানান, আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে দেশে নতুন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে দেশের বিমানবন্দর, স্থলবন্দর ও নৌবন্দরে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিধিমালার (আইএইচআর) আওতায় পরিচালিত ডেস্কগুলোকে আরও সক্রিয় করা হয়েছে।

তিনি বলেন, “করোনা পরিস্থিতি আগের মতো ভয়াবহ না হলেও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। ঈদের মধ্যেও আমরা তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সভা করেছি, যেখানে সিভিল সার্জন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, বিভাগীয় পরিচালক ও মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তাদের সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “সমাবেশ বা জনসমাগম একেবারে এড়ানো সম্ভব না হলে অবশ্যই মাস্ক পরার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করতে হবে। রাজনৈতিক বা সামাজিক যে কোনো ধরনের গ্যাদারিং জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। কাজেই নিজে সচেতন হতে হবে এবং অন্যদেরও সচেতন করতে হবে।”

সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসাধারণের উদ্দেশ্যে ৭টি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নির্দেশনাগুলো হলো—

১. জনসমাগম এড়িয়ে চলুন। একান্ত প্রয়োজন হলে মাস্ক ব্যবহার করুন।

২. শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে নিয়মিত মাস্ক পরুন।

৩. হাঁচি-কাশির সময় নাক-মুখ ঢেকে রাখুন (কনুই বা টিস্যু ব্যবহার করে)। ৪. ব্যবহৃত টিস্যু ঢাকনাযুক্ত ময়লার ঝুড়িতে ফেলুন।

৫. সাবান ও পানি অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুয়ে ফেলুন।

৬. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন।

৭. আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে অন্তত ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, করোনা শনাক্তে আবারও আরটি-পিসিআর এবং র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু করা হচ্ছে। একইসঙ্গে করোনার টিকা, প্রয়োজনীয় ওষুধ, অক্সিজেন, হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা, ভেন্টিলেটর, আইসিইউ ও এইচডিইউ সুবিধাসহ কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলো প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্য কেএন-৯৫ মাস্ক, পিপিই ও ফেস শিল্ড নিশ্চিত করার ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, “আমরা চাই না একজন মানুষও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাক। তাই প্রতিরোধে আমাদের সচেতনতা এবং সতর্কতাই প্রধান অস্ত্র।”

ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/mKdDdnZnIS0?si=IxRG_rPrgopzPbMH

এম.কে.

×