ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

সোনম কাপুর কাকে 'ট্রাবলমেকার' মনে করে?

প্রকাশিত: ১৯:৫৭, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সোনম কাপুর কাকে 'ট্রাবলমেকার' মনে করে?

অনলাইন ডেস্ক ॥ বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোনম কাপুর। অভিনেত্রী কঙ্গনার সাথে তার সম্পর্ক এমনিতে বেশ ভালো। আগে তার সম্পর্কে ইতিবাচক বেশ কিছু কথাও বলেছিলেন সোনম। সম্প্রতি ফ্যাশন ডিজাইনার অনিতা শ্রফ আদাজানিয়ার ‘চ্যাট শো’তে হাজির হয়েছিলেন অভিনেত্রী সোনম। প্রশ্ন করা হয়েছিল, বলিউডে ‘ট্রাবলমেকার’ কাকে মনে হয়? উত্তরে কাপুরকন্যা মুখে নিলেন কঙ্গনা রানাওয়াতের নাম! বলেন, ঝামেলা পাকাতে ওর জুড়ি নেই। নতুন করে কঙ্গনাকে ‘ট্রাবলমেকার’ বললেও পরক্ষণেই কারণটাও ব্যাখ্যা করলেন, ও আমার মতোই স্পষ্টবাদী। ‘কফি উইথ করণ’-এ গিয়ে করণকে বলেছিল ‘স্বজনপ্রীতির ধারক ও বাহক’, এ নিয়ে কম পানি ঘোলা হয়নি। ‘আপ কি আদালত’-এ গিয়ে হৃতিক রোশান ও আদিত্য পাঞ্চোলির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে নিঃসংকোচে খোলামেলা কথা বলেছিল, এসব নিয়েও ওকে কম ভুগতে হয়নি। ও সব সময় প্রথাবিরোধী কিছু করতে চায়, ও যা-ই বলুক একটা না একটা ঝামেলা হবেই! এটা আমার বেশ ভালো লাগে। আরো আরেকটি মজার প্রশ্ন করা হয়েছিল সোনমকে, কাকে তিনি ‘মেন্টালি মার্ডার’ করতে চান? সোনম নাম নিয়েছেন শহিদ কাপুর ও আয়ুষ্মান খুরানার। কারণটাও জানালেন, 'এরা দুজনই চুল বড় করার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন!’ এদিকে শোনা যায়, অভিনেত্রী সোনম কাপুর নাকি ছোট থেকেই অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগতেন বলে তিনি জানিয়েছেন। সোনমের কথায়, মাত্র ১২ বছর বয়স থেকেই তাঁর ওজন বাড়তে থাকে। ১৫ বছর বয়সে তিনি বুঝতে পারেন তার অনেকটা ওজন বেড়ে গেছে। ১৯ গিয়ে শেষ পর্যন্ত তার ওজন দাঁড়ায় ৮৫ কেজিতে। এমনকি মাত্র ১৭ বয়স থেকেই ডায়াবেটিসে নাকি আক্রান্ত হয়েছিলেন সোনম। পরবর্তীকালে সোনম প্রথম যখন থিয়েটার এবং আর্ট নিয়ে সিঙ্গাপুরে পড়াশোনা করছিলেন তখনও পর্যন্ত তিনি নিজের ওজন নিয়ে এক্কেবারেই সচেতন ছিলেন না। এমনকি অভিনয় করার কোনোও ইচ্ছেই তাঁর ছিল না। পরে সেই সোনমই যখন সঞ্জয়লীলা বনশালির 'সাওয়ারিয়া' ছবিতে রণবীর কাপুরের বিপরীতে অভিনয় করেন তখন তাঁর ওজন কমে দাঁড়িয়েছিল ৩৫ কেজি। যদিও 'সাওয়ারিয়া'তে কাজ করার অনেক আগে থেকেই ওজন কমাতে শুরু করেছিলেন সোনম কাপুর। তাকে ওজন কমাতে সাহায্য করেছিলেন তার মা ও ডায়াটেশিয়ান। আর ওজন কমাতে সোনম সাঁতার কাটা, যোগ ব্যায়াম এবং বিভিন্ন ধরনের শরীরচর্চা শুরু করেন। পাশাপাশি তেল জাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করে দেন। বন্ধ করে দেন শর্করা(কর্বোহাইড্রেট) জাতীয় খাবার খাওয়া। বদলে হাই প্রোটিন খাওয়া শুরু করেন তিনি। তিনি ২-৩ ঘণ্টা অন্তর খাবার খেতেন। খিদে পেলে ড্রাই ফ্রুটস, বাদাম জাতীয় খাবার খেতেন। প্রচুর পরিমানে পানি, ফলের রস, শসা ও ডাবের পানি খেতেন।
×