স্টাফ রিপোর্টার ॥ এটিএন বাংলায় ঈদের সপ্তম দিন রাত ১১-৫০ মিনিটে প্রচার হবে বিশেষ টেলিফিল্ম ‘ওরা বখাটে’। মানস পালের রচনায় টেলিফিল্মটি পরিচালনা করেছেন মুজিবুল হক খোকন। টেলিফিল্মের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাদিয়া, আনিসুর রহমান মিলন, সাঈদ বাবু, তানিয়া বৃষ্টি, আহসানুল হক মিনু, অভিত রায়হান প্রমুখ। টেলিফিল্মের কাহিনীতে দেখা যায় মজনু, ফরহাদ ও জাফর ঢাকার ছেলে। তিনজনই হরিহর আত্মা। অন্য বন্ধুদের নিয়ে মহলায় সারাক্ষণ তাদের আড্ডাবাজিতে কাটে। বিভিন্ন অপরাধে একে কান ধরে শাস্তি দেয়া, কারো দোকানের শার্টার নামানো, কিছু না কিছু প্রতিদিন তারা ঘটিয়েই থাকে। মহলার অনেকেই তাদের বখাটে ছেলে বলেই জানে। এ নিয়ে অবশ্য কখনও তাদের খুব বেশি মাথা ব্যথা নেই। হঠাৎ লাইলী ও শিরিন নামে নতুন দুইটা মেয়ের আগমন ঘটে মহলায়। সম্পর্কে তারা আপন দুই বোন। দুই বোনই অসাধারণ সুন্দরী। প্রথম দেখাতেই মজনুর ভাল লাগে লাইলীকে। মজনু লাইলীর মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করে কিন্তু বার বারই সে অপমানিত হয়। লাইলীর বোন শিরিনকে মনে মনে পছন্দ করতে শুরু করে ফরহাদ কিন্তু জাফরের ঈর্ষা হয়। দুই বন্ধুর মধ্যে চলতে থাকে শিরিনকে পাওয়ার ঠা-া লড়াই। মজনু সিদ্ধান্ত নেয় লাইলীকে পাওয়ার জন্যে সে আর কোন চেষ্টা করবে না কিন্তু ফরহাদ ও জাফরের অতি উৎসাহে লাইলীর বাসায় তার মন গলাতে তারই পোষা টিয়া পাখির জন্যে মজনুর পোষা টিয়া পাখির বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যায়। ভদ্রতার সীমার চরম লঙ্ঘন ভেবে লাইলী চরম অপমান করে মজনু ও তার বন্ধুদের বাসা থেকে বের করে দেয়। লাইলীর আরও বেশি চোখের বালি হয়ে উঠে মজনু। যেভাবেই হোক মজনুকে শায়েস্তা করার প্রতিজ্ঞা করে লাইলী। একদিন হঠাৎ মহলায় ছিনতায়ের কবলে পড়ে লাইলী। মজনু ও ফরহাদের নামে সে থানায় ছিনতায়ের অভিযোগ করে। মজনু ও ফরহাদকে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলতে হয়। এর মধ্যে একদিন দরজার নিচ দিয়ে ঢোকানো একটা লিফলেট হাতে পায় লাইলী। সেখানে লেখা থাকে ‘আপনার বাড়ির বাড়তি খাবার ফেলে না দিয়ে আমাদের রাস্তার পাশে রাখা ফ্রিজে রেখে আসুন। একজন অনাহারীর হলেও ক্ষুধা নিবারণ হবে’। লাইলীকে খুব নাড়া দেয় লিফলেটটি। শিরির সাথে বিষয়টা শেয়ার করে সে। শিরিকেও বিষয়টা নাড়া দেয়। লাইলী জানতে পারে কিছু ছেলে নিজ উদ্যেগে মহলার কয়েক স্থানে ফুটপাতে বিদ্যুত সংযোগ দিয়ে কয়েকটা ফ্রিজ রেখেছে হোটেল বা গৃহের বাড়তি খাবার ফেলে না দিয়ে তাদের ফ্রিজে রাখতে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: