ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

কানাকানি

প্রকাশিত: ০৭:০২, ১৪ জানুয়ারি ২০১৬

কানাকানি

মৌসুমীকে ঘিরে রণক্ষেত্র! চিত্রনায়িকা মৌসুমীকে কেন্দ্র করে মুসল্লি, পুলিশ ও মৌসুমী ভক্তদের মধ্যে ত্রিমুখী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে কিশোরগঞ্জে। রবিবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শহরের প্রাণকেন্দ্র শহীদি মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। জানা গেছে, রবিবার দুপুরে চিত্রনায়িকা মৌসুমী কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পুরান থানা এলাকায় শহীদি মসজিদের পাশে একটি প্লাস্টিক কোম্পানির শোরুম উদ্বোধন করতে আসার কথা। সেজন্য সন্ধ্যায় মৌসুমীর হাজারো ভক্ত শহীদি মসজিদের সামনে ভিড় করতে থাকে। মৌসুমী শোরুমে আসার আগে অপেক্ষমাণ ভক্তদের বিনোদনের উদ্দেশ্যে আয়োজকরা প্রজেক্টরের মাধ্যমে মৌসুমীর বিজ্ঞাপন প্রচার শুরু করলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে মুসল্লি ও মাদ্রাসার ছাত্ররা। এরই সূত্র ধরে তারা লাঠিসোটা নিয়ে ভক্তদের ধাওয়া দেয়। এ সময় তাদের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ, মুসল্লি ও ভক্তদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়নের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ খবর শুনে মৌসুমী তাঁর গাড়ি নিয়ে পুলিশের হেফাজতে থানায় আশ্রয় নেন। পরে থানা থেকে রাত ৮টার দিকে তিনি ঢাকায় ফিরে যান। মত পাল্টালেন সাবিলা নূর! বিভিন্ন রকম কথা বলে আলোচনায় আসা যেন ট্রেন্ডে পরিণত হচ্ছে দিনকে দিন। সাবিলা নূর নিয়মিত অভিনয় করেন নাটকে, মডেলিং করেন বিজ্ঞাপনে। কিন্তু পড়ালেখার চাপের কারণে নতুন করে আর কোন ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় না করারই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। এরই মধ্যে বেশকিছু প্রস্তাব ফিরিয়েও দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষমেশ মত পাল্টেছেন ছোটপর্দার এই অভিনেত্রী। কিন্তু কেন! ‘নতুন করে আমার ক্লাসের রুটিনটা সাজিয়ে নিয়েছি। এখন সপ্তাহে দুদিন ক্লাস করতে হবে। বাকি দিনগুলোতে নাটকের জন্য সময় দেয়া যাবে।’ নতুন দুটি ধারাবাহিক নাটকে কাজ করার জন্য কথাবার্তা চূড়ান্ত করে ফেলেছেন সাবিলা। একটি নাটক পরিচালনা করছেন নাজনীন চুমকি, অন্যটি পরিচালনা করবেন রেদওয়ান রনি। নাটক দুটির নাম এখনও ঠিক করা হয়নি। সাবিলা জানালেন, ‘৮ জানুয়ারি থেকে নাজনীন চুমকি পরিচালিত নাটকটির শূটিং শুরু হবে। ফেব্রুয়ারি থেকে রেদওয়ান রনির নাটকের কাজটি শুরু হওয়ার কথা আছে।’ এ কী পরিণতি শখ-নিলয়ের প্রেমের! নায়ক-নায়িকার দেখা হলো, তারা প্রেমে পড়লেন, সম্পর্কে দেখা দিল টানাপড়েন, দুজনের পথ দুদিকে গেল বেঁকে। এমনই হয় সাধারণত। কিন্তু, শখ-নিলয়ের ক্ষেত্রে এ কী হলো! বিয়েই করে ফেললেন তাঁরা! সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও দুজনেরই সম্পর্কের সমীকরণটা বদলে গেছে। স্পষ্ট হরফে লেখা রয়েছে শখ বিবাহিত। নিলয়েরটাও তাই। অবশেষে একে অপরকেই জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিলেন এই দুই তরুণ মডেল ও অভিনয়শিল্পী। গল্পের শুরুটা অবশ্য হয়েছিল ২০১১ সালে। একটি বিজ্ঞাপন চিত্রে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে পরিচয় ও বন্ধুত্ব, যা গড়িয়েছিল প্রেমে। তাদের সম্পর্কের কথাটা অজানাও ছিল না কারও কাছে। একসঙ্গে শুরু করলেন, ‘অল্প অল্প প্রেমের গল্প’ সিনেমাটির কাজ। তারপর আলোচিত এই জুটির সম্পর্ক ভেঙে যায়। আর এরপর থেকে একে অন্যকে এড়িয়েই চলতে শুরু করেন তাঁরা। মানামের সুরে আসিফ-রমা ‘ভালো লাগে না’, ‘এক মুঠো রোদ’, ‘স্বপ্নের দিগন্ত ছুঁয়ে’সহ বেশকটি গানের সাফল্যের পর আবারও জনপ্রিয় সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক মানাম আহমেদ ফিচারিংয়ে শিল্পী আসিফ আকবরের সঙ্গে গাইলেন রমা। ‘কি চাও তুমি’ শিরোনামের এই গানটির কথা লিখেছেন কবির বকুল। এ সপ্তাহেই আর্ব ব্যানার থেকে রিলিজ পাওয়া মিউজিক ভিডিওটি ইতেমাধ্যেই বেশ প্রশংসিতও হয়েছে। বিভিন্ন টিভি চ্যানেল এবং অনলাইনে প্রকাশিত ভিডিওটি পরিচালনা করেছে স্টার মেকার বিডি। এ প্রসঙ্গে মাইলসের অনেক জনপ্রিয় গানের সুরকার মানাম আহমেদ বলেন, গানটি সুর করার সময়ই আমার মনে হচ্ছিল, এর কথা ও সুরের যে বিন্যাস, তাতে আসিফ ও রমার কণ্ঠ খুব ভাল মানাবে। দুজনেই অসাধারণ গেয়েছে। নতুন এই গানটি থাকবে আসিফের আগামী এ্যালবামে। আসিফ বললেন, মানাম ভাই আমার জন্য গান তৈরি করেছেন, এজন্য ভাল লাগছে। নতুন এবং আলাদা কিছু মনে হবে শ্রোতাদের। অন্যদিকে, রমা বলেন, বরাবরের মতোই দারুণ একটি গান করেছেন মানাম আহমেদ। আর আসিফ ভাইয়ের সঙ্গে প্লে-ব্যাকের সুযোগ হলেও এই প্রথম এমন একটি দ্বৈত করতে পেরে ভাল লাগছে। আশা করি গানটি সকলে উপভোগ করবেন। মানাম আহমেদ ফিচারিং রমা এ্যালবামে ‘দৃষ্টির সীমানায়’ শিরোনামের এ গানটির কথা লিখেছেন রবিউল ইসলাম জীবন। সাতদিন ধরে গোসল করেননি ওম! ‘অঙ্গার’-এর সূত্র ধরে কলকাতার নায়ক ওম প্রকাশ সাহানির প্রসঙ্গে যখন কথা হচ্ছিল, তখনই উঠে এলো এ ‘ভয়ঙ্কর’ তথ্য! সাতদিন ধরে গোসল করেননি, সেকি! সঙ্গে এ তথ্যও যোগ হলো- যখনকার ঘটনা এটি, তখন শীত তো দূরে থাক, রোদে-গরমে জীবন বিপর্যস্ত প্রায়। শীতকাল হলে না হয় কথা ছিল। এ কান্ড অনেকেই করেন। যাদের ঠা-াভাব একটু বেশি, সঙ্গে আলসেমিও, তাদের অনেকেই শীতকালে অতো প্রতিদিন গোসলের ধার-টার ধারেন না। তাই বলে ঘোর গরমের দিনে এমন কা-! কী ব্যাপার ওম? ভরা হাটে হাঁড়ি ভেঙ্গে পড়ায় ওম লজ্জায় লাল প্রায়। রেহাই নেই, খোলাসা করতেই হবে- ভেবে তিনি নড়েচড়ে বসেন। তারপর ফিরে যান ‘অঙ্গার’-এর দৃশ্যধারণের দিনগুলোতে। পাহাড়ী এলাকায় কাজ চলছে। প্রচ- রোদ-গরম। কয়েকঘণ্টার জার্নি করে তবেই শূটিং লোকেশন। সারাদিন কাজ করে আবার ফিরে আসা। এভাবেই নিয়মিত। ‘অঙ্গার’ ছবিতে ওমের যে চরিত্র, একপর্যায়ে এসে ঘটনা এমন অবস্থায় পৌঁছাবে যে, গোসল করবে না প্রায় একমাস! মানে, পাগলপ্রায় অবস্থা। ওই লুকটি ঠিকঠাক ফুটিয়ে তোলার জন্য ওম এই ঘটনা ঘটিয়ে বসলেন। পুরো একসপ্তাহ ধরে গোসল না করেই থাকলেন।
×