ছবিঃ সংগৃহীত
সরকার দেশের প্রায় ৫ লাখ ৫০ হাজার এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে এই স্কিম কার্যকর করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে শিক্ষা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে ১৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের (মাধ্যমিক-২) অতিরিক্ত সচিব মো. রবিউল ইসলামকে। কমিটিতে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধি রয়েছেন।
কমিটির দায়িত্ব হবে পেনশন বাস্তবায়নে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করা এবং তার সমাধানে সুপারিশ প্রদান করা। প্রথম সভা বসেছে আজ রবিবার, যেখানে প্রাথমিক কর্মপরিধি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম।
বর্তমানে দেশে ২৯ হাজার ১৬৪টি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার মধ্যে ২০ হাজার ৪৩৭টি স্কুল ও কলেজ এবং বাকিগুলো কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসা। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে অবসরের পর আর্থিক সুবিধা পেতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। অর্থ সংকটে অনেকে তিন-চার বছর অপেক্ষার পর প্রাপ্য অর্থ পান।
এই প্রেক্ষাপটে হাইকোর্ট ২০২৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি এক রায়ে অবসরের ছয় মাসের মধ্যে আর্থিক সুবিধা প্রদানের নির্দেশ দেয়। এরপর থেকেই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী গত মে মাসে গঠিত এই কমিটি দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেবে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সরকার সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। স্কিম চালু হলে বর্তমানে প্রচলিত অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্ট বিলুপ্ত হবে বলেও জানা গেছে।
পৃথী
