ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা নীতি ও গবেষণা তহবিলের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা বিকল্প গন্তব্য খুঁজতে শুরু করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসনের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়সহ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ সীমিত করা হয়েছে। যদিও আদালত সাময়িকভাবে এই সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে, তবে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা শিক্ষার্থীদের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এশিয়া ও ইউরোপের কিছু দেশ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে:
-
জাপান: ২০৩৩ সালের মধ্যে ৪০ লাখ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী আনার লক্ষ্য নিয়ে ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণ ও ইংরেজি ভাষায় প্রোগ্রাম বৃদ্ধি করেছে।
-
দক্ষিণ কোরিয়া: "স্টাডি কোরিয়া ৩০০কে" প্রকল্পের আওতায় ২০২৭ সালের মধ্যে ৩ লাখ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী আনার পরিকল্পনা নিয়েছে।
-
হংকং: আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ বৃদ্ধি ও ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণ করেছে।
-
মালয়েশিয়া: ২০২৫ সালের মধ্যে ২৫০,০০০ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী আনার লক্ষ্যে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নীতি পরিবর্তনের পর, অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রধান নির্বাহী লুক শিহি বলেন, "আমরা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত এবং তাদের সমর্থনে প্রস্তুত।"
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার জন্য নতুন গন্তব্য খুঁজতে শুরু করেছেন। এশিয়া ও ইউরোপের দেশগুলো তাদের শিক্ষাব্যবস্থা ও নীতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করছে। শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি নতুন সুযোগ, যেখানে তারা মানসম্মত শিক্ষা ও ভবিষ্যতের কর্মসংস্থানের সুযোগ পেতে পারেন।
শিহাব
