
ছবি: জনকণ্ঠ
ঢাকার আশপাশের খামারগুলোতে কোরবানির গবাদি পশুর বেচাকেনা জমে উঠেছে। অনেক ক্রেতা আগে-ভাগে গরু কিনে রেখে দিচ্ছেন খামারে। এসব গরু ডেলিভারি নেওয়া হবে কোরবানির দিন সকালে। এই রকম একটি খামার আরমা এগ্রিকালচার লিমিটেড। যেই খামারের মালিক ঢাকার আবাসন ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি জানান, অনেটা শখের বসেই পশু লালন-পালন করা। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় শখের কাজটি এখন বাণিজ্যিকভাবে করা হচ্ছে। এতে করে মানসিক শান্তি যেমন আসছে, ঠিক তেমনি বেশকিছু মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে খামারে। সবচেয়ে বড় কথা কোরবানিতে ভেজালমুক্ত একেবারে দেশি গরু তিনি ক্রেতাদের ন্যায্যমূল্যে সরবরাহ করতে পারছেন।
তিনি জানান, চারাবাগ আশুলিয়া সাভারের এই খামারে প্রতিদিনই অনলাইন এবং অফলাইনে গরু বেচাকেনা করা হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্রেতা ঢাকার। এ কারণে ঢাকার রামপুরা বনশ্রীতে অবস্থিত আরমা কমপ্লেক্সের কর্পোরেট অফিস থেকেও কোরবানির গরুর অর্ডার ও বুকিং নেওয়া হচ্ছে। আব্দুর রাজ্জাক জানান, লাইভ ওয়েট স্কেলে ৫২৫ থেকে ৬০০ টাকা কেজিদরে দরে গরু বিক্রি করা হচ্ছে। এতে করে ক্রেতাদের ঠকা কিংবা প্রতারিত হওয়ার কোন সুযোগ থাকছে না।
তিনি জানান, খামারে সব শ্রেণীর মানুষের জন্য চিন্তা করে গরু লালন পালন করা হচ্ছে। এখানে মধ্যবিত্তদের জন্য যেমন গরু আছে তেমনি ধনাঢ্য ব্যক্তিদের জন্য বড় আকারের গরু আছে। এক লাখ টাকা থেকে শুরু করে আট লাখ টাকা দামের গরু রয়েছে খামারে। গরু বেচাকেনার জন্য আরমা এগ্রিকালচার বেশ কয়েকটি মোবাইল নাম্বার চালু করেছে, এগুলো হচ্ছে- ০১৭১১-০০৩১৭০, ০১৯২৩-৩৩৪২৮৮ এবং ০১৭৫০-৭৫৭০৮৪।
এদিকে, ঢাকার পাশ্ববর্তী সাভার, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ ও নরসিংদীতে গরু-ছাগল লালন-পালনের জন্য অনেক খামার গড়ে উঠেছে। এমনকি রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর, মাদারটেক, মান্ডা ও কাজলার পাড়সহ অনেক জায়গায় বাণিজ্যিকভাবে কোরবানির গবাদি পশু লালন-পালন করা হয়। মোহাম্মদপুর এলাকার একজন খামার ব্যবসায়ী জানান, এ বছর বেশ আগেই কোরবানির গরু-ছাগল বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে আগামী ৭ জুন কোরবানি ঈদ সামনে রেখে এখন বেচাকেনা জমে উঠেছে। অনেকে স্বচক্ষে দেখে গরুর জন্য অগ্রিম বুকিং দিয়ে যাচ্ছেন।
শিহাব