হাবিপ্রবির ‘মুক্তিযুদ্ধ কর্নার’

মুক্তিযুদ্ধ কোন রূপকথা নয়। লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত এক ইতিহাস। বর্তমান তরুণ প্রজন্ম ৪৪ বছর পূর্বের ইতিহাসের সাক্ষী হতে পারেনি। সেজন্য কি মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতেই পারবে না? আসলে তা নয়, দেশের উচ্চশিক্ষার বিদ্যাপীঠ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্য স্থাপন করল ‘মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার’। এ কর্ণারে শুধুমাত্র মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রায় সাড়ে তিনশ টাইটেলে সহস্রাধিক বই সংরক্ষিত আছে। মুক্তিযুদ্ধের বই পড়ার জন্য সকলের জন্য উন্মুক্ত অত্যাধুনিক ও নয়নাভিরাম এ কর্ণার। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির তৃতীয় তলায় স্থাপিত এ কর্ণারে ভাষা আন্দোলনসহ দেশ স্বাধীনের সব আন্দোলনের বই রয়েছে। দেশ স্বাধীনের দলিল, দুর্লভ ছবি, বিদেশীদের যুদ্ধের ইতিহাসের বইও রয়েছে এ কর্ণারে। সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত সকলেই বিচরণ করতে পারবে এবং বই সংগ্রহও করতে পারবে। এ ছাড়াও যে কেউ এ কর্ণারে দুর্লভ ও জনপ্রিয় বই উপহারও দিতে পারবে। এ কর্ণারের ধারণক্ষমতা প্রায় দশ হাজার বই। রসায়ন বিভাগের শিক্ষক আতিকুল ইসলাম ও ফাতিহা ফারহানা অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, জন্মেছি যুদ্ধের এক দশক পর। দাদা-দাদির কাছে শুধু শুনেছি যুদ্ধের গল্প। এবার নিজের চোখে মুক্তিযুদ্ধের বই সমৃদ্ধ এ কর্ণার থেকে বিশদ জানতে পারব বলে খুব ভাল লাগছে। কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির লাইব্রেরিয়ান মো. আলাউদ্দিন খান বলেন, এটি মহৎ উদ্দেশ্য। তরুণ প্রজন্ম উদ্বুদ্ধ হবে। এ কর্ণার থেকে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গবেষণাও করা সম্ভব। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ রুহুল আমিন বলেন, বাঙালী জাতির গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় মুক্তিযুদ্ধ। এটি গর্বের বিষয়। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমরা জানলেও নতুনপ্রজন্ম জানে না। তাদের জন্য ওয়ান স্টেপ সার্ভিস হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ কর্ণারের শত শত বই বাংলাদেশ তথা বিশ্বের যুদ্ধগুলোর ইতিহাস জানতে সহজ হবে। শাহীন আলম