ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২

উৎপাদনে ফিরেছে দারোয়ানী টেক্সটাইল মিলস

প্রকাশিত: ০৪:২১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

উৎপাদনে ফিরেছে দারোয়ানী টেক্সটাইল মিলস

তাহমিন হক ববী, নীলফামারী ॥ দীর্ঘ সাড়ে তিনবছর পর উৎপাদনে ফিরেছে প্রসিদ্ধ নীলফামারীর দারোয়ানী টেক্সটাইল মিল। মিলের চাকা ঘোরার সঙ্গে সঙ্গে তাঁতীরা পেতে শুরু করেছে মানসম্মত সুতা। মিল চালু হওয়ায় শুধু রংপুর বিভাগের তাঁতীরা নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানের তাঁতীরা এখানের সুতা ক্রয় করতেও ছুটে আসছেন। মহাব্যবস্থাপক মোজাফফর হোসেন জানান, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুরের সিলভী জিনিং ফ্যাক্টরি সার্ভিস চার্জের মাধ্যমে সুতা উৎপাদন শুরু করা হয়। সাড়ে তিন বছর বন্ধ থাকার পর তিন শ’ জন শ্রমিক দিয়ে মিলের চাকা সচল করা হয়। মিলে গড়ে প্রতিদিন আট বেল করে সুতা উৎপাদন হচ্ছে। সুতা ক্রেতা শাহ আলম বলেন, আমরা তাঁতীরা সুতা পাচ্ছিলাম না। সরকারের কাছে বিভিন্ন সময় আবেদন করে আসছিলাম। এক পর্যায়ে সরকার দারোয়ানী টেক্সটাইল মিলের উৎপাদিত সুতা দিতে মিল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। মিলের মহাব্যবস্থাপক মোজাফফর হোসেন আরও জানান, প্রসিদ্ধ দারোয়ানী টেক্সটাইল মিলের ঐতিহ্য এখনো অটুট রয়েছে। মিলের উৎপাদিত সুতা সারাদেশে সমাদৃত। সরকারী নির্দেশ মোতাবেক মিলের উৎপাদিত সুতা আমরা সরাসরি তাঁতীদের কাছে বিক্রি করছি। সরকারী নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে আগামীতে তাঁতীদের কাছে সরাসরি সুতা বিক্রি আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে বুধবার দুপুরে মিল চত্বরে সুতা বিক্রির কার্যক্রম অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন দারোয়ানী টেক্সটাইল মিলের মহাব্যবস্থাপক মোজাফ্ফর হোসেন। অনুষ্ঠানে মিলের বাণিজ্যিক বিভাগের কর্মকর্তা শামসুল আলম শেখ, ¯িপনিং মাস্টার আবুল হাশেম, কারিগরি বিভাগীয় প্রধান সবদার আলী, সিলভি জিনিং ফ্যাক্টরি প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান হাবিব। বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করছে কোকা-কোলা অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করছে কোমল পানীয় প্রস্তুতকারক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান কোকা-কোলা। এরই অংশ হিসেবে প্রথম ধাপে জামালপুরে ১০ হাজার নারীকে বিভিন্ন ধরনের কাজের মাধ্যমে ক্ষমতায়িত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আগামী মাসে খুলনা ও বাগেরহাটে এই কার্যক্রম শুরু করবে বহুজাতির এ প্রতিষ্ঠানটি। বিশ্বব্যাপী ৫০ লাখ নারীর ক্ষমতায়নে আগামী ২০২০ সাল পর্যন্ত চলবে এই বিশেষ কর্মসূচী। বুধবার রাজধানীর লেকশোর হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এই নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্ব কর্মসূচীর দ্বিতীয় ধাপ ঘোষণা করা হয়। এ সময় কোকাকোলার পাবলিক এ্যাফেয়ার্স ও কমিউনিকেশন বিভাগের সহ-সভাপতি ইশতিয়াক আমজাদ, অপারেশন্স ও কাস্টমার লিডারশিপ বিভাগের সহ-সভাপতি সুমন্ত দত্ত, কর্মসূচি বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান কনসার্ন ইউনিভার্সাল ইন্টারন্যাশনালের প্রোগাম ও পলিসি ম্যানেজার ট্রেজার-ইভান্স, ঢাকায় কোকা-কোলার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাদাব আহমেদসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জামালপুরে কর্মসূচীর সুফলভোগী তিন নারী উদ্যোক্তা বিলকিস বেগম, নীলিমা নাজনিন এবং আয়েশা সিদ্দিকা। এ সময় সুমন্ত দত্ত বলেন, কোকা-কোলা সমাজের জন্য কাজ করে। সমাজের অর্ধেক নারী। আমরা বিশ্বাস করি, প্রকৃত ক্ষমতায়ন করতে হলে নারীকে ক্ষমতায়িত করতে হবে। তাই কোকা-কোলা ২০২০ সালের মধ্যে ৫০ লাখ নারীর ক্ষমতায়নে কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। আমরা বাংলাদেশেও এই কর্মসূচী শুরু করেছি। লাখো নারীর ক্ষমতায়ন করা হবে এর মাধ্যমে। আমরা দ্বিতীয় পর্যায়ে খুলনা ও বাগেরহাটের জন্য কর্মসূচী আজ শুরুর ঘোষণা করছি।
×