
ছবি: সংগৃহীত
সামুদ্রিক কচ্ছপদের চোখের কোণ দিয়ে প্রায়ই পানি ঝরতে দেখা যায়। অনেকেই মনে করেন, ওরা বুঝি কাঁদছে। কিন্তু বাস্তবতা একেবারেই আলাদা। বিজ্ঞান বলছে, এটি আসলে একটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া—সামুদ্রিক কচ্ছপ “কাঁদে” না, বরং লবণ নির্গত করে।
সামুদ্রিক কচ্ছপরা সমুদ্রের পানি পান করে হাইড্রেটেড থাকে। কিন্তু সমুদ্রের পানি উচ্চমাত্রায় লবণযুক্ত হওয়ায় শরীরে অতিরিক্ত লবণের ভারসাম্য রক্ষা করতে হয়। কচ্ছপদের কিডনি হলেও তা স্তন্যপায়ী প্রাণীর মতো নয়—অর্থাৎ তারা প্রস্রাবের মাধ্যমে অতিরিক্ত লবণ সহজে বের করতে পারে না।
এই সীমাবদ্ধতা কাটাতে কচ্ছপদের শরীরে বিবর্তনের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে বিশেষ এক ধরনের গ্রন্থি—ল্যাক্রাইমাল গ্রন্থি। এই গ্রন্থিটি তাদের চোখের কোণে অবস্থান করে এবং অতিরিক্ত লবণ শরীর থেকে বের করে দেয় তরল আকারে। এই তরল দেখতে অনেকটা মানুষের অশ্রুর মতো, তাই একে চোখের জল বলে মনে হয়।
এই কারণে অনেকেই ভুল করে মনে করেন, সামুদ্রিক কচ্ছপ হয়তো কষ্টে কাঁদছে। কিন্তু বাস্তবে, এটা কচ্ছপের একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযোজন—যা তাকে সমুদ্রের লবণাক্ত পরিবেশে টিকে থাকতে সাহায্য করে।
মুমু ২