ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

মাসুমা রুমা

দুর্ঘটনা রোধে একটি প্রস্তাব

প্রকাশিত: ০৩:৪০, ১০ নভেম্বর ২০১৬

দুর্ঘটনা রোধে একটি প্রস্তাব

সড়ক দুর্ঘটনা বর্তমানে বাংলাদেশে দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে প্রতিদিন পত্র-পত্রিকায় প্রচুর লেখালেখি হচ্ছে অথচ কোন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। কমে আসছে না দুর্ঘটনার সংখ্যা, টনক নড়ছে না প্রশাসনের। আর কত নিরীহ প্রাণ ঝরে গেলে আইনের সঠিক প্রয়োগ ঘটবে? প্রশাসন মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে? জানি এসব প্রশ্নের কোন সদুত্তর মিলবে না। তবুও হাল ছেড়ে দেয়া যাবে না কারণ এ বিষয়টির সঙ্গে আমাদের প্রত্যেকের প্রাণ সংশয়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। যখন-তখন যে কেউ আমরা এ ভয়াবহতার বলি হতে পারি। আমার মতে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে যেসব উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে তার মধ্যে সময়োপযোগী উদ্যোগ হলো প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু বিকেন্দ্রীকরণ। বাংলাদেশের প্রায় অধিকাংশ জরুরী প্রশাসনিক ভবন রাজধানী ঢাকার আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। প্রতিদিন বিভিন্ন প্রশাসনিক প্রয়োজনে দেশের সব অঞ্চল থেকে অসংখ্য মানুষ ঢাকার বুকে পাড়ি জমায়। ফলে ঢাকামুখী যানবাহনের চাহিদা অন্যসব যানবাহনের চেয়ে বহুগুণ বেড়ে যায়। একই রাস্তায় অধিক যানবাহনের চাপ সড়ক দুর্ঘটনা সৃষ্টির অন্যতম প্রধান কারণ। মনস্তাত্ত্বিক বিষয় পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে যে- অধিকাংশ মানুষের চিন্তা থাকে তিনি সকালে গিয়ে কাজ শেষ করে রাতের মধ্যেই ফিরে আসবেন। ফলে সাধারণ যাত্রীরা চালককে দ্রুত গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে মানসিক চাপ প্রয়োগ করে। অন্যদিকে যেহেতু ঢাকামুখী যাত্রীর সংখ্যা বেশি তাই যানবাহন মালিক, চালককে দ্রুত পৌঁছানোর তাগিদ দিয়ে থাকেন। তাছাড়া দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চালক গাড়ি থেকে পালিয়ে বেঁচে যান। সাধারণ যাত্রীরা মৃত্যুর কবলে পড়ে। অধিক যানবাহন চলার কারণে রাস্তার ওপর চাপ তৈরি হয় বলে রাস্তার দশা বেহাল হয়ে পড়ে। ভাঙ্গা রাস্তা অনেক সময় দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। প্রশাসনিক ভবনগুলো যদি দেশের বিভাগীয় পর্যায়ে, পর্যায়ক্রমে জেলা পর্যায়ে স্থানান্তর করে রাজধানীতে মানুষের চাপ কমানো যায় তাহলে অদূর ভবিষ্যতে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সুফল পাওয়া যাবে। মানুষ শুধু ঢাকামুখী না ছুটে দেশের সকল প্রান্তেই ছুটবে। এতে নির্দিষ্ট পথে যানবাহনের আধিক্য কমে যাবে। রাস্তাঘাটে জ্যামের পরিমাণ কমে গিয়ে মানুষ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলবে। হাট পাঙ্গাসী, সিরাজগঞ্জ থেকে
×