ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতে ৭৫ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন করোনা শনাক্ত

প্রকাশিত: ২৩:১১, ১৬ জুন ২০২১

ভারতে ৭৫ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন করোনা শনাক্ত

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ভারতে ৭৫ দিনের মধ্যে করোনায় সর্বনিম্ন শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ৭২৬ জনের। এদিকে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে মোট করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা তিন কোটি ৩৪ লাখ ৭৪ হাজার ৭৫৮ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিড-১৯ ড্যাশবোর্ডে দেয়া তথ্যে দেখা গেছে। এদিকে বিশ্বে প্রাণঘাতী করোনায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১৭ কোটি ৭২ লাখ ১ হাজার ২৪৭ জন। মারা গেছে ৩৮ লাখ ৩২ হাজার ৩৫৬ জন। আর ভাইরাসটি থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৬ কোটি ১৬ লাখ ৭ হাজার ৮৪২ জন। খবর বিবিসি, এনডিটিভি ও ওয়ার্ল্ডোমিটারসের। ভারতে উন্নতি হচ্ছে করোনা মহামারী পরিস্থিতির। দেশটিতে দৈনিক করোনা সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৬০ হাজার ৪৭১ জন। যা গত ৭৫ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। মঙ্গলবার এ তথ্য জানায় টাইমস অব ইন্ডিয়া। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ কোটি ৯৫ লাখ ৭০ হাজার ৮৮১। একই সঙ্গে দেশটিতে কমেছে মৃত্যুর সংখ্যাও। বিগত পাঁচ দিন পর দেশটির দৈনিক মৃত্যু ৩ হাজারের নিচে নেমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৭২৬ জনের। এ নিয়ে ভারতে করোনায় মোট প্রাণহানি ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৩১ জন। যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু ৬ লাখ ছাড়াল ॥ করোনা মহামারী শুরু ওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্রের জীবনযাত্রা যে রকম স্বাভাবিক ছিল তেমনটি ফিরে আসতে শুরুর মধ্যেই দেশটিতে কোভিড-১৯ জনিত মৃত্যু ছয় লাখ ছাড়িয়েছে। সোমবার দেশটি মৃত্যুর এই বেদনাদায়ক মাইলফলক পার করেছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে। বিশ্বে করোনায় মৃত্যুর ১৫ শতাংশই হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। বাংলাদেশের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা তিন কোটি ৩৪ লাখ ৭৪ হাজার ৭৫৮ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিড-১৯ ড্যাশবোর্ডে দেয়া তথ্যে দেখা গেছে। হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের কোভিড-১৯ জনিত মৃত্যুর সংখ্যা পাঁচ লাখ ৯৯ হাজার ৯৪৫, যা ছয় লাখ থেকে কিছুটা কম। দেশটির অধিকাংশ নাগরিক টিকার আওতায় আসায় সেখানে গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যুর সংখ্যা নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে। শোক, দীর্ঘায়িত রোগ লক্ষণ, অর্থনৈতিক ক্ষতি ও লকডাউনের মধ্যে বিচ্ছিন্নতার শিকার হলেও এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা অসুস্থতা ও লকডাউন থেকে বের হয়ে আসার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন দেশটির নাগরিকরা। এ্যাস্ট্রাজেনেকার এ্যান্টিবডি থেরাপি উপসর্গ কমাতে ব্যর্থ ॥ এ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯এ্যান্টিবডি থেরাপি আক্রান্তদের শরীরে রোগের উপসর্গ কমাতে ব্যর্থ বলে প্রমাণ হয়েছে। বৃহৎ আকারে ট্রায়ালের পর এ্যাস্ট্রাজেনেকা কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার ব্যর্থতার এ তথ্য জানায়। কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে টিকার বিকল্প খুঁজতে এই পরীক্ষা চালানো হয়। গবেষণায় দুই ধরনের এ্যান্টিবডি মিশিয়ে এই থেরাপি কতটা কার্যকর তা পরীক্ষার জন্য আট দিন আগে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন এমন প্রাপ্তবয়স্কদের ককটেল এ্যান্টিবডি থেরাপি দেয়া হয়। গবেষণার ফলে দেখা গেছে, প্লাসিবোর সঙ্গে তুলনা করলে এজেডডি৭৪৪২ থেরাপি রোগের উপসর্গ ৩৩ শতাংশ কমাতে পারে। কিন্তু পরিসংখ্যানের দিক দিয়ে এই ফল উল্লেখ করার মতো নয়। যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের ১,১২১ জন এই গবেষণায় অংশ নেন। যাদের বেশিরভাগ ট্রায়ালের শুরুতে ভাইরাস মুক্ত হয়েছিলেন। কয়েক ধরনের এ্যান্টিবডি মিশিয়ে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তদের চিকিৎসা করা যায় কিনা বা রোগ প্রতিরোধ করা যায় কিনা তা নিয়ে আরও পাঁচটির বেশি ট্রায়াল চলছে। সেগুলোর মধ্যে একটি ট্রায়াল ওই সব ব্যক্তিদের ওপর চালানো হচ্ছে যাদের ক্যান্সার বা অঙ্গ প্রতিস্থাপনের কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল। এ ধরনের ব্যক্তিদের বেলায় টিকা খুব একটা কার্যকর প্রতিরোধ গড়তে পারে না।
×