ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

তিন ডায়েরি এখন টক অব দ্যা কান্ট্রি

অবিবাহিত পরিচয়ে সাবলেট থাকতেন সেই ঝর্ণা

প্রকাশিত: ২২:৪৯, ১১ এপ্রিল ২০২১

অবিবাহিত পরিচয়ে সাবলেট থাকতেন সেই ঝর্ণা

শংকর কুমার দে ॥ হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা নর্থ সার্কুলার রোডের যেই বাড়িতে সাবলেট থাকতেন সেটা ভাড়া নিয়েছিলেন ‘অবিবাহিত পরিচয়ে’। মামুনুলের নারীলোভী ফাঁস করে দেয়া ঝর্ণার ‘তিন ডায়েরি এখন টক অব দ্যা কান্ট্রি’। এদিকে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে ডিজিটাল আইনে গ্রেফতারের পর গাজীপুর জেলা কারাগার থেকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামুনুল হক নারী সঙ্গী ঝর্ণাকে নিয়ে সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে ধরা পড়ার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসেও স্ট্যাটাস দিয়েছেন। আরও ফোনালাপে অডিও উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এসব ফোনালাপের যেসব অসঙ্গতি রয়েছে বা মিথ্যাচার করা হয়েছে তার উত্তর খুঁজছে তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ। হেফাজত নেতা মামুনুলের কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর নর্থ সার্কুলার রোডের একটি বাসার চতুর্থ তলায় সাবলেট থাকতেন। অবিবাহিত পরিচয়ে জান্নাত আট-নয় মাস ধরে তাদের বাসায় সাবলেট রয়েছেন। সর্বশেষ প্রায় আট দিন আগে গত শনিবারের আগের শনিবার তিনি বাসায় ছিলেন। আগে পার্লারে চাকরি করতেন ঝর্ণা। তবে কিছুদিন আগে হঠাৎ চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন। ঝর্ণা বাড়ির মূল ভাড়াটিয়া সালমা খানমের কাছ থেকে সাবলেট নিয়েছিলেন। তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন। জান্নাত ঝর্ণার প্রথম স্বামীর ঘরের বড় ছেলে আবদুর রহমান জামি নিশ্চিত করেছেন, তিনি প্রায়ই নর্থ সার্কুলার রোডের ওই বাসায় যেতেন। তার মা নিয়মিত ডায়েরি লিখতেন। ডায়েরিতে যে হাতের লেখা আছে, তা তার মায়ের। আলোচনায় তিন ডায়েরি ॥ মামুনুলের কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা নিয়মিত ডায়েরি লিখতেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তার তিনটি ডায়েরি জব্দ করেছে। এ ডায়েরিতে মামুনুলের সঙ্গে জান্নাতের বিয়ের কোন তথ্য না থাকলেও মামুনুল হকের সঙ্গে ৩০ মাসের সম্পর্কের উল্লেখ রয়েছে। ২০১৮ সালের ১০ আগস্ট খুলনার মাদ্রাসা শিক্ষক শহীদুল ইসলামের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় জান্নাত আরা ঝর্ণার। সংসারে তখন দুই ছেলে। কিছুদিন বাবার বাড়িতে থাকার পর হেফাজত নেতা মামুনুল হকের জিম্মায় অবিবাহিতা উল্লেখ করে ঢাকার নর্থ সার্কুলার সড়কের একটির বাড়ির চতুর্থ তলায় সাবলেট ভাড়া নেন জান্নাত। ২০১৮ সালের আগস্ট মাস থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত জান্নাতের জীবনে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা তিনি উল্লেখ করেন তিনটি ডয়েরিতে। প্রথম ডায়েরিতে জান্নাত লিখেছেন, ‘আমাকে নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই, শরীরের দাবিদার আছে।’ এরপর লিখেছেন, ‘মামুন সাহেব আমার শরীরটা কিনেছে কেন আল্লাহ সব জেনে মামুন সাহেব যা করেছেন আমি শুধু তার টাকা ফেরত দিতে চাই, আল্লাহ কবুল করো।’ দ্বিতীয় ডায়েরিতে জান্নাত লিখেছেন, ‘আমার প্রতি কখনও কারো মায়া জন্মায়নি। শুধু প্রেমে পড়ে ছিল, কেউ কখনও সত্যিকারে ভালবাসেনি। আমাদের সঙ্গে শুধু প্রেম হয়েছিল। কোন ভালবাসা ছিল না, ছিল শুধু ক্ষণিকের আবদার পূরণের আমেজ।’ এরপর জান্নাত লিখেছেন, সাদা সাদা জামা পরলে আর বড় মাওলানা হলেই মানুষ হয় না। মুখোশধারীও হয়। মামুন সাহেব আমার শরীরটা কিনেছে কেন আল্লাহ’? চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি জান্নাত লিখেছেন, ‘টাকা দিয়ে আমার দেহ কিনেছিলেন। আজ আপনার টাকা আমি ফেরত দিতে চাই। শুধু আমার সময় ফেরত চাই। কেন করেছিলেন এমন। আপনার অনেক টাকা ছিল, পাওয়ার ছিল তাই?’ অর্থাৎ দুই বছর আগে মামুনুল বিয়ের কথা বললেও গণমাধ্যমের কাছে আসা জান্নাতের তিনটি ডায়েরির তথ্য বলছে, এ বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাদের বিয়ে হয়নি। ডায়েরির বর্ণনায় মামুনুল শারীরিক সম্পর্ক করেছেন : জান্নাত আরা ঝর্ণা তার ডায়েরিতে লিখেছেন আমার জীবনে ঘৃণিত ব্যক্তি হলো মামুন। ঝর্ণা স্পষ্টভাবে বলেছেন মামুনুল একজন প্রতারক, নরপশু এবং ভ-। মামুনুল হক ঝর্ণাকে বিয়ে না করেই তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন এবং প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছেন। ঝর্ণা তার ডায়েরিতে উল্লেখ করেছেন যে, মামুনুল হক তার জীবনটাকে নরক বানিয়ে ফেলেছে। প্রশ্নবিদ্ধ মামুনের ফোনালাপ, ফেসবুকের স্ট্যাটস ॥ হেফাজত নেতা মামুনুলের ফোনালাপ, ফেসবুকের স্ট্যাটাসসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভে এসে যেসব বক্তব্য দিয়েছেন তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মামুনুলের দাবি করা দ্বিতীয় স্ত্রী ঝর্ণাকে নিয়ে মিথ্যাচারের বিষয়গুলোর প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হচ্ছে। মামুনুল দাবি করেছেন, জান্নাত আরা ঝর্ণা তার বৈধ স্ত্রী। তার কথায় স্পষ্ট যে, তার প্রথম স্ত্রী কিছু জানেন না। কিন্তু তার পরিবার ও ঘনিষ্ঠজনরা বিষয়টা জানে। স্ত্রীকে ‘খুশি’ করতে সীমিত পরিসরে মিথ্যা বলা ইসলামে জায়েয। (তাই তিনি নিজ দায়িত্বে স্ত্রীকে ফোন করে মিথ্যা বলেছেন এবং স্ত্রীকেও মানুষের কাছে মিথ্যা বলতে শিখিয়ে দিয়েছেন।) এখন, তার ফাঁস হওয়া ফোনকলগুলোর কয়েকটা ধরে ধরে, তার এই ‘বৈধ বিয়ে’ ও ‘সীমিত পরিসরের মিথ্যা’ নিয়ে আমি কিছু প্রশ্ন তুলেছে তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ। একটি অডিওতে ২ মিনিট ২০ সেকেন্ড থেকে শুনলে দেখা যাবে, জান্নাত আরা বলছেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাকে বারবার প্রশ্ন করা হয়েছে যে, মামুনুল হকের সঙ্গে তার বিয়ে কোথায় হয়েছে। তিনি আমতা আমতা করে ফোনে বলছেন, ‘এখন আমি শরীফ ভাইকে জিজ্ঞেস করতেসি, এইটা আমি ঠিক কী বলবো, কোন জায়গায় হইসে? আমি জানি না; আপনি হুজুরের কাছ থেকে জেনে নেন’। মানে তার অর্থ দাঁড়ায়, একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী, যিনি দুই সন্তানের মা, নিজের পক্ষের কোন অভিভাবক ছাড়া বিয়ে করছেন, তিনি জানেনই না, তার বিয়ে ঠিক কোথায় হয়েছে। এই কথোপকথনটুকুর পরেই মামুনুল হক বলছেন, ‘তুমিই যে এখানে, এটা শরীফ ভাই জানলো কীভাবে? মানে তোমাকেও দেখা গেছে, না কি?’ জান্নাত আরা উত্তরে বলছেন, ‘তা আমাকে দেখা গেছে না!’ এর মানে কী? তার ‘দ্বিতীয় বিয়ের কথা যদি তার ঘনিষ্ঠজনরা জানেই, তাহলে শরীফ ভাই তো এমনিই বোঝার কথা, ওই নারীকে। চেহারা দেখে বুঝতে হবে কেন? না কি এরকম ‘দ্বিতীয় বউ’ তার আরও আছে; তাই চেহারা না দেখলে ঘনিষ্ঠজনরা বুঝতে পারবে না, এটা ঠিক কোন ‘দ্বিতীয় বউ’? আরও একটি অডিওতে ৩ মিনিট থেকে শোনা যাচ্ছে, মামুনুল হকের বোন তার ভাবিকে পইপই করে শিখিয়ে দিচ্ছে, যেন কেউ জিজ্ঞেস করলে বলে, ‘হ্যাঁ, আমি অনুমতি দিসি; আমার শাশুড়ি থাকতেই করায় গেসেন’। এই সময় স্ত্রী কাতর গলায় জিজ্ঞেস করলেন : ‘এগুলা (দ্বিতীয় বিয়ের কথা) কি সত্যি?’ বোন বলছে, ‘না না! সত্যি তো আর না। কিন্তু আমরা ভাইবোনরা, সবাই এখন সাপোর্ট দিতে হবে’। ৪ মিনিটের সময় বোন বলছে, ‘আমাদের জিজ্ঞাসা করলে আমরা এইটাই বলতেসি যে, হ্যাঁ, আমাদের আম্মাই করায় গেসে। ভাবিও জানে। আমরা এই বিয়ে মানি নাই তাই বাড়িতে উঠাইতে দেই নাই। এইজন্য হয়তো প্রয়োজন মিটাইতে হোটেলে-টোটেলে যায় আর কী। মানে, আমরা পরিবার যে জানি না, এইটা বলার দরকার নাই, বুঝছো?’ তাহলে বোঝা যাচ্ছে, শুধু তার বউই না, তার পরিবারও এরকম কোন বিয়ের কথা জানত না। মামুনুল হক তার ‘মানবিক বিয়ের গল্পে লিখেছেন, যতদিন মেয়েটার ‘অভিভাবকত্ব’ প্রয়োজন হয়, ততদিনের জন্য তিনি বিয়ে করেছেন। তার মানে, এটা তালাকের ইনটেনশন নিয়ে করা, ‘অস্থায়ী বিয়ে’ (যদি আদৌ কলেমা পড়ে বিয়ে করে থাকে)। এরকম বিয়ে মেজরিটি স্কলারই অবৈধ বলেছেন; কারণ কুর’আন ও সুন্নাহর বৈবাহিক সম্পর্কের কনসেপ্টের সঙ্গে এটা কোনভাবেই যায় না। যদিও বা কিছু স্কলার ‘বিশেষ অবস্থায়’ এটাকে ‘অনুমোদনযোগ্য’ বলেছেন, তারপরেও তাঁরা বলেছেন, বিয়েতে অভিভাবকদের লাগবে এবং বিয়ে সামাজিকভাবে ‘এ্যানাউন্স’ করতে হবে। ধর্মীয় বিধান বা হাদিস অনুযায়ী, বিয়ে এ্যানাউন্স না করলে সেটা বৈধ হবে না। হ্যাঁ, বিয়ে খুব অল্প মানুষ নিয়ে, সীমিত পরিসরে হতে পারে। কিন্তু তারা যে স্বামী-স্ত্রী, এটা মানুষের জানতে হবে। কেউ কেউ বলছেন, ‘দেশের মানুষকে ঢোল পিটিয়ে, কিংবা ঘরে ঘরে গিয়ে জানাতে হবে না কি?’ কেন রে ভাই? মামুনুল হকের প্রথম বিয়ের কথা কি তিনি ঢোল পিটিয়ে কিংবা ঘরে ঘরে গিয়ে জানিয়েছিলেন? প্রথম বিয়ের কথা আমরা জানি কীভাবে? প্রথম বিয়ে যেভাবে হয়েছে, দ্বিতীয় বিয়ে সেভাবে হলো না কেন? তাহলে কি ঝর্ণার ডায়েরিতে লেখাগুলোতে যা উল্লেখ করা হয়েছে মামুনুল হক কি সেই ধরনের নারীলোভী ব্যক্তি? প্রশ্ন হচ্ছে, মামুনুল না হয় হাদিস মেনে, নিজ দায়িত্বে ফোন করে, স্ত্রীকে খুশি করতে মিথ্যা বলেছেন। কিন্তু সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টের রেজিস্টারে তার সঙ্গে থাকা জান্নাত আরা ঝর্ণার নাম লিখলেন না কেন? কেন মামুনুল তার প্রথম স্ত্রী আমিনা তৈয়বার নাম লিখেছেন রেজিস্টারে? আমিনা তৈয়বা তো সেদিন রিসোর্টেই ছিলেন না। এ ধরনের মিথ্যাচার কেন করা হয়েছে তা তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে দেখছে। রিসোর্টের রেজিস্ট্রিতে যে তিনি প্রথম স্ত্রীর নাম লিখে আরেকজনকে নিয়ে ঢুকেছিলেন, সেটা তিনি কাকে খুশি করতে কিংবা কোন বিপদে পড়ে করেছিলেন? মামুনুলের মানবিক বিয়ে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ। মামুনুলের স্টেটমেন্ট অনুযায়ী, ‘ইসলামী দৃষ্টিকোণ এবং অভিভাবকত্বের জায়গা থেকে’ তিনি, তালাক হওয়া বিপদগ্রস্ত বন্ধুপতœীর অর্থনৈতিক দায়িত্ব গ্রহণ করেন। অথচ সেই মেয়ের বাবা-মা বেঁচে আছেন। কোন মেয়ের বাবা-মা বর্তমান থাকতে, একজন বেগানা পুরুষ তার অভিভাবক হয় আর অর্থনৈতিক দায়িত্ব গ্রহণ করে, ইসলামের কোন বিধান অনুযায়ী? যা হোক, অভিভাবকত্ব করতে হচ্ছে বলে, তিনি একটি ‘ইসলামসম্মত’, ‘মানবিক বিয়ে’ করেছেন। কিন্তু তিনি দেশের আইন মেনে বিয়ে রেজিস্ট্রি করেননি। হাদিসের বিধান মেনে বিয়ে এ্যানাউন্সও করেননি। মেয়ের বৈধ অভিভাবকরাও কিছুই জানেন না। এসব প্রশ্ন আসছে তদন্তের সামনে। মামুনল হক যদি সত্যিকার অর্থেই মেয়েটাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে চাইতেন, তাহলে এভাবে দলিলবিহীন, সামাজিক স্বীকৃতিবিহীন, চোরামি বিবাহ করতেন না। রিসোর্টে লোকজন হামলা করার পর, শুরুতেই মেয়েটাকে ফেলে দৌড়ে পালাতে চাইতেন না। বৈধ স্ত্রীর নামে হোটেলে রুম বুকিং দিয়ে, অন্য মেয়েটাকে নিয়ে ঢুকতেন না। তিনি হয় এই মেয়েটাকে কোনরকম বিয়েই করেননি, আর যে বিয়ের কথা তিনি বলছেন তা ঠকানোর বিয়ে, অর্থাৎ নারী দেহ ভোগের বিয়ে। সবচেয়ে বিস্ময়কর হচ্ছে, ইসলামে একাধিক বিয়ের যে গুরুত্বপূর্ণ শর্ত : সমান অধিকার ও মর্যাদা, সেটাও তিনি লঙ্ঘন করেছেন। তার প্রথম স্ত্রী স্বামীর বাড়িতে স্ত্রীর পরিচয় ও সম্মান নিয়ে বাস করছেন। বিয়ের পর হিফয করেছেন। আর কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী চোরের মতো, নাম-পরিচয়হীনভাবে, হোটেলে হোটেলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। স্ত্রীর অধিকার অনুযায়ী ভরণপোষণও তিনি ঠিকমতো পাননি। নতুবা এতবড় একজন ইসলামী নেতার স্ত্রীকে কেন পার্লারে কাজ করতে হয়? মামুনুল হকের আরেকটি ফোনালাপে, অপর প্রান্তের নারীটির কণ্ঠ শুনে বোঝা যাচ্ছে, সে জান্নাত আরা নয়। এরকম আরও কয়েকটি ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। সম্ভবত ইনি মামুনুল সাহেবের ৩য়/৪র্থ ‘মানবিক স্ত্রী’। এখানে তিনি নারীটির বাসায় যেতে চাচ্ছেন এবং নারীটি বলছে : ‘আসেন; কিন্তু রাত্রে থাকতে দিতে পারবো না’। আবার বলছে, ‘রাত্রে ১০টার দিকে গেট বন্ধ করে দেয়; তার আগে দিয়ে আসেন’। এবং মামুনুল হক মহিলাটির বাসায় গিয়ে কী খেতে চান, তা ব্যক্ত করছেন। নারী কণ্ঠে শোনা যায়, এত ঝামেলার মধ্যেও এত রস আসে কোথেকে?
×