ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

আমাদের প্রধানমন্ত্রী সমালোচনার সংস্কৃতি পছন্দ করেন ॥ তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২২:৪১, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০

আমাদের প্রধানমন্ত্রী সমালোচনার সংস্কৃতি পছন্দ করেন ॥ তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাষ্ট্রকে সঠিকভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে গণমাধ্যম। এটি রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। রাষ্ট্রের কোন একটা স্তম্ভ ঠিকমতো কাজ না করলে এর ভিত নষ্ট হয়ে যায়। সেটি মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং এর সঙ্গে যারা যুক্ত আছেন তারা যাতে স্বাধীনভাবে এবং স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারেন সেজন্য কাজ করে যাচ্ছেন। করোনাকালে সবকিছু বন্ধ হয়ে গেলেও সাংবাদিকরা কাজ করে গেছেন। পৃথিবীতে সঙ্কটময় পরিস্থিতি তৈরি হলে একটি মহল ওঁৎ পেতে থাকে সমাজে অস্থিরতা তৈরি করার জন্য। করোনাকালে বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। এর বিপরীতে দেশের মূলধারার গণমাধ্যম বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার কারণে এসব সুবিধাবাদীরা তেমন বেশি সুবিধা করতে পারেনি। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস। যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী। তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা বহুমাত্রিক সমাজব্যবস্থায় বসবাস করি। আমাদের দেশে যেভাবে মানুষ স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারে, সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করতে পারে অন্য কোন খানে সেভাবে করা যায় না। যুক্তরাজ্যে কোন ভুল সংবাদ প্রকাশিত হলে অনেকে আদালতে অভিযোগ করেন এবং অনেক ক্ষেত্রে জরিমানাও গুনতে হয়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমালোচনা করার সংস্কৃতিকে পছন্দ করেন। দায়িত্বে থাকলে সমালোচনা সহ্য করতে হবে। ভাল কাজের প্রশংসা হলে মানুষ ভাল কাজ করতে উৎসাহিত হবেন মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সে কারণে সবার প্রতি অনুরোধ করব সমালোচনার পাশাপাশি ভাল কাজের প্রশংসাও করবেন। না হলে রাষ্ট্র-সমাজ পিছিয়ে পড়বে। করোনাভাইরাস মহামারীর সময়ে পুরো বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ প্রশংসিত হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাকালে পজিটিভ জিডিপি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে ২২ দেশ। তার মধ্যে আমাদের অবস্থান ওপরের দিকে। আশাহীন জাতি সামনের দিকে এগোতে পারে না। রাজনীতিক-সাংবাদিকদের দায়িত্ব ভাল কাজ জানানো। খারাপ সংবাদ প্রচারিত হবে, পাশাপাশি ভাল সংবাদ জানানোর মাধ্যমে আশাও তৈরি করতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার এবং এতে সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ড. হাছান মাহমুদ চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই প্রেসক্লাবে সব দলমতের মানুষ রয়েছেন। চট্টগ্রামের সব মানুষের কল্যাণে এ প্রেসক্লাব কাজ করে যাচ্ছে। ঢাকা প্রেসক্লাবেও দলাদলি ছিল, এখন যে একদম নেই তা নয়। কিন্তু চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে তা নেই। এ জন্য ক্লাবের নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানাই। আমি কলকাতা প্রেসক্লাবে গিয়েছি। এ জনপদের সবচেয়ে পুরনো প্রেসক্লাব। সেখানে গিয়ে মন ভাল হলেও ক্লাবের কার্যালয় দেখে হতাশ হয়েছিলাম। টিনের চালাঘর। তাদের জায়গার নিজের মালিকানা নেই। আমি সে সময় প্রশংসা করে বলেছিলাম আমাদের চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের নিজস্ব ভবন রয়েছে।
×