ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী

স্বাস্থ্য ও ব্যাংকিং খাত পর্যালোচনা করা হোক

প্রকাশিত: ২০:৫৫, ১১ ডিসেম্বর ২০২০

স্বাস্থ্য ও ব্যাংকিং খাত পর্যালোচনা করা হোক

দেশে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য খাতের পর্যালোচনা হলেও সঠিক ব্যবস্থাপনার কারণে মানুষ স্বাস্থ্যসেবা কাক্সিক্ষত মাত্রায় পাচ্ছে না। গত শুক্রবার বেশ ক’টি হাসপাতালে জরুরী প্রয়োজনে চক্ষু বিভাগে গিয়েও কোন চোখের ডাক্তার পেলাম না। এমনকি ইন্টারনেটে যে হাসপাতালকে খোলা দেখাচ্ছে তার মেইন গেটে দুটো বড় তালা ঝুলছিল। অথচ বিদেশে রোস্টার পদ্ধতিতে হাসপাতালে চিকিৎসক-নার্সরা ছুটি কাটান। করোনা ছাড়াও অন্যান্য স্বাস্থ্য খাতে নজর বহু বছর আগেই দেয়া হলেও কোন ধরনের হেরফের নেই। খোদ রাজধানী শহরেই যদি এমনটি ঘটে তবে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কি হচ্ছে একমাত্র ভুক্তভোগীরাই জানেন। ফলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আবশ্যক হয়ে পড়েছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কমিউনিটি ক্লিনিক জননেত্রী শেখ হাসিনা চালু করেছেন। কিন্তু সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা দরকার সেগুলোতে ডাক্তার-নার্সরা কাজ করছে কি না! টেলিমিডিসিন এবং স্যাটেলাইট ক্লিনিকের অনেক কথা শুনেছি। বাস্তবতার আদলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী হয়ে পড়েছে। মানুষের স্বাস্থ্যসেবা মৌলিক অধিকার। বাংলাদেশ ব্যাংক সিডিউল ব্যাংকগুলোকে ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত নতুন করে খেলাপী ঋণ চিহ্নিত না করার নির্দেশনা দিয়েছে। এ নির্দেশনা ব্যাংকিং সেক্টরের জন্য সুফল বয়ে আনবে বলে মনে হয় না। কারণ, নির্দেশনার ফলে যারা ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করেছেন তাদের অনেকেই ঋণের কিস্তি ফেরত প্রদানের ব্যাপারে অনিচ্ছুক হয়ে পড়তে পারেন। এই নির্দেশনা ব্যাংক ব্যবস্থাপনার ওপর এক ধরনের আঘাত বয়ে আনতে পারে। বর্তমান সরকারের আমলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হচ্ছে। সেই উন্নয়ন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার জন্য ব্যাংকিং সেক্টরকেও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোন কারণে যদি ব্যাংকিং সেক্টর তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয় তা হলে সরকারের উন্নয়ন প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা কঠিন হবে। ব্যাংক থেকে ইতোপূর্বে যে ঋণ প্রদান করা হয়েছে, কিন্তু ঋণের কিস্তি আদায় হচ্ছে না, সেই ঋণের অর্থ আদায়ের জন্য কার্যকর পদ্ধতি উদ্ভাবন করা দরকার। তারা সাধারণ আমানতকারীদের নিকট থেকে নির্ধারিত হারে সুদ প্রদানের শর্তে আমানত সংগ্রহ করে তা ঋণ গ্রহীতাদের নিকট বিনিয়োগ করে থাকে। সেই অর্থ যদি নির্ধারিত সময়ে সঠিকভাবে আদায় না হয় তা হলে ব্যাংক ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হতে বাধ্য। আমানতকারীদের অর্থের সুরক্ষা দেয়া ব্যাংকের নৈতিক দায়িত্ব। কোনভাবেই কারও নিকট ব্যাংকের ঋণ আটকে থাকতে দেয়া যায় না। এখনই যদি খেলাপী ঋণ আদায়ের জন্য কঠোর এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয় তা হলে ঋণ খেলাপীরা প্রশ্রয় পাবে। ঋণ খেলাপীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না গেলে যারা নিয়মিত ঋণের কিস্তি পরিশোধ করে চলেছেন সেইসব ভাল গ্রাহক হতাশ হবেন। তারাও ঋণের কিস্তি আটকে রাখার ব্যাপারে উৎসাহিত হতে পারেন। যদি খেলাপী ঋণ আদায় করা না যায় তা হলে ব্যাংকগুলো দেউলিয়া হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পাবে। জাতীয় স্বার্থে ঋণ খেলাপীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ব্যাংকগুলোর সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করে জরুরীভাবে বাংলাদেশ ব্যাংককে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংককে তাদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আরও সচেতন হতে হবে। অন্যথায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপর থেকে মানুষের আস্থা হারিয়ে যেতে পারে। বর্তমান সরকার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে যেভাবে অবদান রেখে চলেছে, ব্যাংকিং সেক্টর বরং কোন কোন ক্ষেত্রে তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক হচ্ছে দেশের ব্যাংকিং সেক্টরের নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। দেশের জনগণ বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে দেশের ব্যাংকিং সেক্টরের সুষ্ঠু নিয়ন্ত্রণ দেখতে চায়। বঙ্গবন্ধু যে উদ্দেশ্য নিয়ে ১৯৭২ সালের ২৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংক পুরোপুরি সফল হয়নি। দেশের ব্যাংকিং সেক্টর কিছু সংখ্যক বিত্তবান মানুষের পৃষ্ঠপোষকতা করে চলেছে। ব্যাংকের সহায়তা নিয়ে সাধারণ মানুষের পক্ষে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখা সম্ভব হচ্ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা এবং দৃষ্টিভঙ্গিতে আমূল পরিবর্তন আনা দরকার। সরকার সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকে দু’জন ডেপুটি গবর্নর নিয়োগ দিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন বাণিজ্যিক ব্যাংকিংয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। তারা এমন সব নীতিমালা প্রণয়ন করবেন যাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সঠিকভাবে পরিচালিত হতে পারে। বহুদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছি সব ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় কেন্দ্রীভূত না করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে দেয়া হোক। ৬০টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যে রাকাব ছাড়া ৩-৪টি ব্যাংকের হেড অফিস ঢাকায় রেখে অবশিষ্ট ব্যাংকগুলোর হেড অফিস দেশের বিভিন্ন জেলায় স্থানান্তর করা হোক। এটা করা গেলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সুষম উন্নয়নে সহায়ক হবে। কিন্তু বর্তমানে ব্যাংকগুলো অতিমাত্রায় রাজধানীকেন্দ্রিক হওয়ার ফলে অঞ্চলভিত্তিক উন্নয়ন কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। ব্যাংক এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় রাজধানীকেন্দ্রিক হওয়ার ফলে প্রধানমন্ত্রী দেশের সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়ন যেভাবে চাচ্ছেন ঠিক সেভাবে হচ্ছে না। অনেকেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তার দায়িত্ব পাওয়ার পর ক্ষমতা প্রদর্শনের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হন। কিন্তু কার কি ক্ষমতা সে সম্পর্কেও তাদের সঠিক ধারণা নেই। এদিকে বাংলাদেশ উন্নয়ন ব্যাংককে মাঝারি ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার আওতায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শিল্প ও কল-কারখানা স্থাপনে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। এজন্য এখন থেকেই অঞ্চলভিত্তিক প্রস্তুতি নিতে হবে। সরকার সিএসএমই (ঈঝগঊ) খাতের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। সরকার যখন সিএসএমই খাতে আর্থিক প্রণোদনা প্রদানের ঘোষণা করে তখন সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছিল মোট সিএসএমই ঋণের অন্তত ১৫ শতাংশ পল্লী এলাকার উদ্যোক্তাদের দিতে হবে। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংক এই সার্কুলার পরিবর্তন করে বলেছে, এটা শহরাঞ্চলে দিলেও চলবে। বর্তমান সরকার নানাভাবে গ্রামীণ অর্থনীতির ওপর বিশেষ জোর দিয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতিতে বর্তমান সরকারের আমলে এক ধরনের চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই এখন কৃষির পাশাপাশি কৃষিভিত্তিক কাঁচামালনির্ভর ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। ফলে ব্যাপকভিত্তিক কর্মসংস্থানের সঙ্গে সঙ্গে দারিদ্র্য বিমোচনেও তা সহায়কা ভূমিকা পালন করছে। যারা বিদেশে কর্মসংস্থান উপলক্ষে গমন করছেন তাদের বেশিরভাগই গ্রামীণ জনপদ থেকে আসা। বর্তমান সরকারের অন্যতম নির্বাচনী অঙ্গীকার হচ্ছে প্রতিটি গ্রামে শহরের সৃবিধা পৌঁছে দেয়া। ইতোমধ্যেই দেশের বেশিরভাগ গ্রামে শহুরে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা এবং ডিজিটাল উপকরণ সম্প্রসারিত হয়েছে। দেশের অর্থনীতিতে সিএসএমই সেক্টরের ভূমিকা কোনভাবেই অস্বীকার করা যাবে না। এসব সিএসএমই শিল্পের বেশিরভাগই গ্রামাঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত। সিএসএমই শিল্পগুলো যদি গ্রামে প্রতিষ্ঠিত না হয়ে শহরে স্থাপিত হতো তাহলে শহরের জনঘনত্ব আরও বৃদ্ধি পেত। নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতো। কিন্তু এগুলো গ্রামে স্থাপিত হওয়ার কারণে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হওয়ার পাশাপাশি মানুষ গ্রামে থেকেই কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছে। বড় শিল্পে ঋণ দানের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর কোন আপত্তি নেই। কিন্তু সিএসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের ঋণদানের ক্ষেত্রেই যত সমস্যা সৃষ্টি করা হচ্ছে। ব্যাংকগুলো এমন সব শিল্পে ঋণ দিচ্ছে জাতীয় অর্থনীতিতে যাদের মূল্য সংযোজনের হার তুলনামূলকভাবে কম। বড় শিল্পের মালিকগণ উন্নত বিশ্বের অনুকরণে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব সাধন করে চলেছে। এতে দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ কর্মসংস্থানের সুযোগ হারাচ্ছে। বিশেষ করে করোনা সংক্রমণের কারণে দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বিপুলসংখ্যক নারী শ্রমিক ইতোমধ্যেই কর্মচ্যুত হয়েছেন। এডিবি মাইক্রো এন্ট্রি প্রিনিউরদের কোভিডের কারণে পঞ্চাশ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়নের সুযোগ দিয়েছে। তা দ্রুত টার্গেট গ্রুপের কাছে পিকেএসএফ এবং বিএনএফের মাধ্যমে বিতরণ করা দরকার। যেসব মহিলা শ্রমিক কর্মচ্যুত হয়েছেন তাদের পুনর্বাসনের জন্য কোন তরফ থেকেই কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। অথচ এক সময় তাদের শ্রমেই আমাদের তৈরি পোশাক বিশ্বব্যাপী বাজার দখল করে নিতে সক্ষম হয়েছিল। ব্যাংকগুলো সিএসএমই সেক্টরের উদ্যোক্তাদের খণদানের ক্ষেত্রে নানা ধরনের ডকুমেন্ট চায়। কিন্তু বেশিরভাগ সময় তারা ব্যাংকের চাহিদা মতো ডকুমেন্ট দিতে পারে না। প্রতিটি এলাকা থেকে সম্ভাবনাময় সিএসএমই উদ্যোক্তাদের খুঁজে বের করে খণদানের ব্যবস্থা করা হোক। প্রয়োজনে তাদের ক্ষেত্রে ডকুমেন্ট গ্রহণের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড়ও দেয়া যেতে পারে। আগামীতে করোনা-উত্তর অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে সিএসএমই খাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। যাদের খণ দিলে মানুষ বাঁচবে, সবার জন্য খাদ্য নিশ্চিত করা যাবে এবং গ্রামীণ এলাকায় ২৪/৭ স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থার জন্য তাদের ঋণ দিতে হবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের কার্যক্রমে পরিবর্তন সাধন করতে হবে। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে যে লক্ষ্য নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক স্থাপন করেছিলেন সেই উদ্দেশ্য সাধনে এই ব্যাংকটিকে ভূমিকা রাখতে হবে। কৃষি ব্যাংক এখন ট্রেড ফাইন্যান্সিং করছে। এটা কৃষি ব্যাংকের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত নয়। কৃষি ব্যাংকের একমাত্র কাজ হবে দেশের কৃষক ও কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নে অবদান রাখা। বাংলাদেশের কৃষি ব্যবস্থা সম্পর্কে অভিজ্ঞ এমন ব্যক্তিকেই কৃষি ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীর দায়িত্ব প্রদান করা যেতে পারে। কৃষি ব্যাংক কোন সাধারণ ব্যাংক নয়। এটি কৃষি খাতের উন্নয়নের জন্য স্থাপিত একটি বিশেষায়িত ব্যাংক। কাজেই তাকে মূল উদ্দেশ্য সাধনে ব্যাপৃত থাকতে হবে। দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। আমরা করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে কোন অর্থনীতিবিদকে সরকারের সঙ্গে প্রকাশ্যে কাজ করতে দেখছি না, যা কিছুটা হলেও শঙ্কিত করছে। বিশেষ করে কৃষি খাত তথা গ্রামীণ অর্থনীতি কিভাবে আগের মতো চাঙ্গা করা যায় তা নিয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। করোনাকালীন একটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, আমাদের স্থানীয় অর্থনীতির ওপর জোর দিতে হবে। স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে কিভাবে ব্যাপকভিত্তিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা যায়, কিভাবে দারিদ্র্য বিমোচন কার্যক্রম আরও ত্বরান্বিত করা যায়, তা নিয়ে ভাবতে হবে। উন্নত দেশগুলোতে করোনাভাইরাস মোকাবেলা করার জন্য উৎপাদক শ্রেণী তাদের লাইন অব প্রোডাকশন পরিবর্তন করেছে। অস্ট্রেলিয়ার একটি কোম্পানির কথাই বলা যায়, যারা বিয়ার তৈরি করত। কিন্তু করোনার সময় তারা আগের মতো বিয়ার তৈরি না করে রাতারাতি হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন শুরু করে। গতানুগতিক পণ্য উৎপাদনের চেয়ে সময়ের চাহিদা পূরণে সক্ষম এমন সব পণ্য তৈরি করতে হবে। তৈরি পোশাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে গতানুগতিক পণ্য উৎপাদনের পাশাপাশি পিপিই এবং মাস্ক উৎপাদন করতে পারে। এতে স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রফতানিও সম্ভব হবে। মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে স্বাস্থ্যসেবা এবং ব্যাংকিং সেবা খাতের মান ও ব্যবস্থাপনার মান উন্নতকরণ অত্যাবশক হয়ে পড়েছে। লেখক : ম্যাক্রো ও ফিন্যান্সিয়াল ইকোনমিস্ট এবং আইটি এক্সপার্ট [email protected]
×