ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

৫ মাসে রফতাানি আয় দেড় হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়েছে

প্রকাশিত: ০১:১০, ৪ ডিসেম্বর ২০২০

৫ মাসে রফতাানি আয় দেড় হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এসে গেছে। ইউরোপ আমেরিকার মতো বড় বাজারে রফতানি আয় নিয়ে শঙ্কা বেড়েছে। এর মধ্যেই অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নবেম্বর) বিভিন্ন পণ্য রফতানি কিছুটা বেড়েছে। এ সময়ে এক হাজার ৫৯২ কোটি ৩৫ লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ আয় করেছে বাংলাদেশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে রফতানির পরিমাণ ছিল এক হাজার ৫৭৮ কোটি ডলার। এ হিসাবে রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে বৃদ্ধির হার ১ শতাংশেরও কম। প্রধান পণ্য তৈরি পোশাকসহ বেশকিছু পণ্যের রফতানি কমেছে। তবে পাটসহ কয়েকটি পণ্যের রফতানি বেড়েছে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) বৃহস্পতিবার রফতানির হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। এতে দেখা যায়, এই পাঁচ মাসে তৈরি পোশাক রফতানি থেকে আয় হয়েছে এক হাজার ২৮৯ কোটি ৪৫ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ কম। তবে নিট পোশাক রফতানিতে উল্লম্ফন হয়েছে। মোট পণ্য রফতানির ৪৫ শতাংশই এসেছে নিট পোশাক রফতানি থেকে। ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, এই পাঁচ মাসে ৭১৩ কোটি ৬৩ লাখ ডলারের নিট পোশাক রফতানি হয়েছে, যা লক্ষ্যের চেয়ে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ এবং গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৫ শতাংশ বেশি। জুলাই-নবেম্বর সময়ে নিট পোশাক রফতানির লক্ষ্য ছিল ৬৮০ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে রফতানি হয়েছিল ৬৫৭ কোটি ৮১ লাখ ডলার। এই পাঁচ মাসে উভেন পোশাক রফতানি করে আয় হয়েছে ৫৭৫ কোটি ৮৩ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ কম। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নিট পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, নবেম্বরে রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে নিট পোশাকের ওপর ভর করে। করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দ্রুতই চলে আসছে বলে মনে হচ্ছে। টিকা আসছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে সবাই আশা করছে। আমরাও সেই আশায় আছি। একক মাসের হিসাবে নবেম্বরে রফতানি বেশি হয়েছে আগের বছরের নবেম্বরের তুলনায় শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ। নবেম্বরে মোট ৩০৯ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। গত বছরের নবেম্বরে যার পরিমাণ ছিল ৩০৬ কোটি ডলার। নবেম্বরের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৩৫ কোটি ডলার।
×