স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর দক্ষিণখানে এলাকার একটি বাসা থেকে গণধর্ষনের শিকার ফাতেমা বেগম (২৬) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানায়, তিন মাস আগে ওই গৃহবধূ গণধর্ষনের শিকার হয়েছে। এই কারনে পারিবারিক অশান্তির জেরে ফাতেমা আত্মহত্যা করতে থাকতে পারেন। দক্ষিনখান থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মোঃ জয়নুল আবেদীন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, শুক্রবার রাতে দক্ষিনখান ফায়দাবাদ ছাপরা মসজিদ এলাকার একটি বাসা থেকে ফাতেমার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে। শনিবার দুপুরে তার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এসআই মোঃ জয়নুল আবেদীন জানান, গত জুন মাসে মৃত ফাতেমা ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় তিনি নিজে বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে। সেই মামলায় দুই আসামি কারাগারে আছে। তিনি জানান, এসব বিষয় ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হতো। গত পরশুদিন তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এই কারণেই ফাতেমা আত্মহত্যা করতে থাকতে পারেন। তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে আসল ঘটনা জানা যাবে।
নিহতের স্বামী মোঃ সোহেল শেখ জানান, দক্ষিনখান ফায়দাবাদ ছাপরা মসজিদ এলাকায় থাকেন তারা। ফাতেমা বেগম তার তৃতীয় স্ত্রী। গত জুন মাসেই ফাতেমাকে বিয়ে করেছেন তিনি। সোহেল জানান, বিয়ের কয়েক দিনের মাথায় তাদের বাড়িওয়ালা আলী আহমদসহ রানা, আলমগীর, নাজমুল তার স্ত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষন করে। তাদের ভয়ে এ কথা কাউকে বলেননি ফাতেমা বেগম। চলতি মাসে সোহেল ওই ঘটনার ব্যাপারে জানতে পারে। পরে ৪ অক্টোবর দক্ষিণখান থানায় চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষন মামলা দায়ের করেন তারা। সেই মামলায় গ্রেফতারকৃত আলী আহমেদ ও রানা বর্তমানে কারাগারে আছে।
গত দু’দিন আগে মামলার বিষয় ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এর জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ফাতেমা ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেচিঁয়ে আত্মহত্যা করেছে।