ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ২০:৪৫, ১৩ অক্টোবর ২০২০

ঢাকার দিনরাত

করোনাকালে দ্বিতীয় দফা ভূমিকম্প হলো ঢাকায় গত শনিবার মধ্যরাতে। মাত্র ১৫ সেকেন্ডের জন্য। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল কম। তাই ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, বেশির ভাগ নাগরিক টেরই পাননি। ভূমিকম্প হলে স্বাভাবিকভাবেই ভবনের শক্তির বিষয়টিই প্রথমে মনে আসে। আমাদের জনকণ্ঠ ভবন বেশ মজবুত। কয়েক বছর আগে দিনের বেলায় কেঁপে উঠেছিল ভবনটি ভূমিকম্পে। একজন তখন বলেছিলেন এই মজবুত ভবন শক্তিশালী ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। ঢাকায় বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে ভবনগুলোর কী দশা হবে ভেবে শঙ্কিত হন বহুজন। এতে কোন সন্দেহ রাখি না যে প্রয়োজন অনুযায়ী আমরা ঢাকায় বহু বহুতল ভবন নির্মাণ করে ফেলেছি। মহানগরটি ভবন এবং মানুষের চাপে ভারাক্রান্ত। ধানম-িতে এখন সর্বোচ্চ ১৪ তলা পর্যন্ত আবাসিক ভবন নির্মাণ করা যায়। গণপরিসর বা সাধারণ মানুষের জন্য জায়গা না ছাড়লে ব্যক্তি পর্যায়ে এই এলাকায় ৮ তলার ওপর আর ভবন নির্মাণ করা যাবে না। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা রাজউকের নতুন বিশদ পরিকল্পনায় (ড্যাপ-২০১৬-২০৩৫) এই প্রস্তাব করা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে এটি চূড়ান্ত হওয়ার কথা। নতুন ড্যাপের মেয়াদ হবে ২০ বছর। আগের বিধিমালায় (১৯৯৬ সালের) ধানম-িতে যে জমিতে ৬ তলা ভবন নির্মাণ করা যেত, ২০০৮ সালের বিধিমালায় সেই জমিতে ১৪ তলা ভবন হচ্ছে। যা ক্ষতি হয়েছে তা যথেষ্ট, এখন কঠোর হয়ে কেবল মহাক্ষতি থেকে বাঁচতে পারি। অভূতপূর্ব প্রতিবাদ ধর্ষণের বিরুদ্ধে অভূতপূর্ব প্রতিবাদ দেখল ঢাকাবাসী। আসছি সে কথায়। আমরা যারা সংবাদপত্রের সম্পাদকীয় বিভাগে কাজ করি তাদের দায়িত্বের মধ্যে থাকে সম্পাদকীয়-উপসম্পাদকীয় রচনা এবং কলামগুলো সম্পাদনা করা। জনকণ্ঠে পাবলিক ওপিনিয়ন পেজ চালু হয়েছে ছ’বছর হলো। যেটির বিজ্ঞাপন প্রতিদিন শেষের পাতায় ছাপা হয়। সারাদেশ এমনকি দেশের বাইরে বিভিন্ন দেশ থেকে বাঙালীরা এই ‘সমাজ ভাবনা’ বিভাগের জন্য লেখা পাঠান। সেগুলো জড়ো করে তার থেকে প্রকাশযোগ্য লেখা নির্বাচন করা প্রাথমিক কাজ। এরপর রয়েছে একপাতায় যে কয়টি লেখা আঁটবে তার দ্বিগুণসংখ্যক লেখা আলাদা ফোল্ডারে বাছাই করে রাখা। প্রুফ সেকশন থেকে বানান সংশোধন করানোর পর লেখাগুলোর বাক্য গঠন, বক্তব্যের যৌক্তিকতা, পুনরাবৃত্তিমূলক লেখাগুলোকে শনাক্ত করাসহ চূড়ান্ত সম্পাদনা সাপেক্ষে পৃষ্ঠাসজ্জার জন্য প্রস্তুত করা। যা হোক, আমাদের সম্পাদকীয় ও চতুরঙ্গ পাতার কাজ যথেষ্ট। করোনাকালে পত্রিকার পৃষ্ঠাসংখ্যা কমানো হলেও সম্পাদকীয় বিভাগের জন্য দুই পাতাই বরাদ্দ রেখেছে জনকণ্ঠসহ হাতেগোনা কয়েকটি পত্রিকা। যা হোক, এত কথা বলার কারণ সম্পাদকীয় বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সম্পাদক/ সাংবাদিকগণ দিনভর অফিসে উপস্থিত থেকেই কাজ করেন এবং বিকেলের মধ্যে ছাপানোর জন্য প্রস্তুত করে তুলতে হয়। এই সার্বিক কাজ দিনের বেলাতেই সম্পন্ন করতে হয় বলে আমাদের পক্ষে দিনের বেলা অফিসের বাইরে বেরুনো সম্ভব হয় না। আমি যেহেতু ঢাকা মহানগরী বিষয়ক একটি কলাম লিখি প্রতি সপ্তাহে, তাই সরেজমিনে ঢাকার কোন কোন আয়োজন কিংবা ইভেন্টে বা এলাকায় যাওয়ার দরকার পড়ে। অফিসে প্রবেশের আগে কিংবা অফিস থেকে বেরুনোর পরে এবং ছুটির দিনে সাধারণত এই সরেজমিন পরির্দশন করে থাকি । কিন্তু দিনের বেলা কত কিছুই না ঘটে ঢাকা শহরে। যেমন- গত একটি সপ্তাহ ধরে প্রতিদিনই ঢাকার একাধিক স্থানে দিনের বেলা ধর্ষণবিরোধী সমাবেশ মানববন্ধন চলছে। অফিসে আমাদের বিভাগে টেলিভিশন নেই, তাই সংবাদ অবলোকনের সুযোগ নেই। কিন্তু কম্পিউটার তো আছে। সেখানে চাইলে নেট থেকে টিভি দেখা যায়, ফেসবুক দেখা যায়। সর্বোপরি তাৎক্ষণিক সংবাদগুলো পড়ে নেয়া যায়। ফেসবুক যারা ব্যবহার করেন তারা জানেন বন্ধু তালিকায় থাকা কেউ কোন ভিডিও সরাসরি শেয়ার দিলে তার নোটিফিকেশন আসে। আমার আগের অফিসে তরুণ চিত্রশিল্পী ও কার্টুনিস্ট মোরশেদ মিশুকে দিয়ে বেশকিছু কাজ করিয়েছিলাম। ইদানীং মিশু প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকার ধর্ষণবিরোধী মিছিল/সমাবেশের লাইভ ভিডিও প্রচার করছেন। কাজের ফাঁকে তার নোটিফিকেশন পেলে সেইসব সমাবেশ বা মিছিল সরাসরি দেখার দারুণ সুযোগ পাচ্ছি। এতে অফিসে নিজের টেবিলে বসেই একই সময়ে চলমান ইভেন্টের সঙ্গে যুক্ত হওয়া সম্ভব হচ্ছে। দশ-পনেরো মিনিট মন দিয়ে এসব অবলোকন করলে অনেক কিছুই পরিষ্কার হয়ে ওঠে। যেমন আন্দোলনের ভাষা এবং স্লোগানের ভাষা কিভাবে বদলে যাচ্ছে। ধর্ষণবিরোধী মিছিলে বা সমাবেশে পুরুষের পাশাপাশি শিশুদেরও দেখা যাচ্ছে। শাহবাগে ধর্ষণবিরোধী সমাবেশ থেকে এসেছে নয় দফা দাবি। দাবিগুলোর মধ্যে দুটি বিশেষভাবে উল্লেখ করার মতো। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারী-বেসরকারী সব প্রতিষ্ঠানে নারী নির্যাতনবিরোধী সেল কার্যকর করতে হবে। সিডো সনদে স্বাক্ষর ও তার পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে। নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক সব আইন ও প্রথা বিলোপ করতে হবে। এমন কথা আছে দাবীতে। আরো বলা হয়েছে ধর্মীয়সহ সবধরনের সভা-সমাবেশে নারীবিরোধী বক্তব্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে হবে। সাহিত্য, নাটক, সিনেমা, বিজ্ঞাপনে নারীকে পণ্য হিসেবে উপস্থাপন বন্ধ করতে হবে। পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণে বিটিসিএলের কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে। সুস্থ ধারার সাংস্কৃতিক চর্চায় সরকারীভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে। অনেক কিছুই করতে হবে, তাই সূচনা অন্ততো হোক। ফেসবুক লাইভ চলছেই জীবনের সব পথ যেন এসে মিশেছে ফেসবুকে। গায়ক ইউটিউবে গান আপলোড করেই এখানে পোস্ট দিচ্ছেন। কবি বড় কাগজে কবিতা ছাপিয়ে সুখ পাচ্ছেন না, লেখাটি লিংকসহ জানাতেই হবে ফেসবুকে। নবজাতকের মুখ দেখেই সেলফি তুলে বাবা পোস্ট দিচ্ছেন ওই মহামঞ্চেই। ওয়েবিনার মানে ভার্চুয়াল সেমিনার করছে মাথাভারি সংস্থা, মন্ত্রী নাকি প্রতিমন্ত্রী যুক্ত হয়েছেন সেখানে, ব্যস চাই ফেসবুক প্রচারণা। গৃহিণী আহামরি পদ নয়, নতুন কিছু একটা রেঁধেছেন, তারও সচিত্র বিবরণী তুলে ধরতে হবে ওই ফেসবুক-পাত্রেই। বলছি বটে সোশ্যাল মিডিয়া, কিন্তু এটি হয়ে উঠেছে মিডিয়ার সেনসেশনাল বিগ ব্রাদার। দাঙ্গাবাজ থেকে দাতামহসিন, ধর্ষক থেকে ধর্ষণবিরোধী দর্শনের অধ্যাপক, চোরপুলিশ থেকে চারুশিল্পী- কে নেই এখানে সক্রিয়! কিন্তু দানবীয় শক্তিধর এই মাধ্যমটির যথাযথ ব্যবহার জানেন কোটি সুবিধাভোগীর কয় শতাংশ? সন্দেহ রাখি না যে, যৎসামান্যই জানেন সামান্য সংখ্যক ফেসবুকার, তবু প্রতিদিনের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ করে তুলেছেন এটিকে। ভুলিনি দেশে করোনা প্রবেশাধিকার পাবার পর ‘ছুটি’ ঘোষিত হলে ঘরবন্দী দিনগুলোয় স্বজনদের মুখ দেখা আর গল্প করার উপকারী মাধ্যম হয়ে উঠেছিল এটি। টিভির টকশোয়ে কথা বলা যাদের খ-কালীন পেশা, যারা গান করেন, আবৃত্তি করেন তারাও ফেসবুকের শরণ নিলেন। জীবনের স্বাভাবিকতাকে অল্প হলেও ধরে রাখা, জনসংযোগ এবং মৃত্যুভয়ে শঙ্কিত সত্তার সাময়িক মুক্তির জন্য এপ্রিল থেকে জুন প্রাণময় হয়ে উঠেছিল ফেসবুকেরই কল্যাণে, এমন ইতিবাচকতাকে মূল্যহীন ভাবছি না। মানুষের দর্শনক্ষমতা যেন বহুগুণ বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট একটি সময়ে মোবাইলের পর্দায় বা কোন লক্ষ্যবস্তুতে একজোড়া মনুষ্যচোখ কেবল একটি বিষয়ই দর্শনে সক্ষম, এটি আমরা মানতে চাইনি। ‘জুম ক্লাউড মিটিংস’ নামের এ্যাপটি দেখতে দেখতে জনপ্রিয় হয়ে উঠল এই বঙ্গদেশে, এমনকি ‘স্ট্রিম ইয়ার্ড’ও। এসব এ্যাপে ভিডিও কনফারেন্সই চলত আগে, যা কর্পোরেট হাউস জানত, চর্চা করত। এবার জানলেন আমজনতা। লকডাউনের ভেতর ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার ছাড়াও এগুলো ব্যবহার করে চলছে ভিডিও আড্ডা। যা পরে অবধারিতভাবে ফেসবুকেই প্রদর্শিত হয়েছে। ওই যে শুরুতেই বলেছি, সব পথ যেন এসে মিশেছে ফেসবুকে। কয়েকজন বন্ধু ফেসবুকে গ্রুপ খুলে নিজেদের ভেতর ভিডিও আড্ডায় যুক্ত হচ্ছেন, সেগুলো পাবলিক পরিবেশনা নয়। আর দুটি এ্যাপ ব্যবহার করে আটজন বা ততোধিক ব্যক্তির অংশগ্রহণে যা হচ্ছে তাকে ‘টকশো’ বা ‘গানের লাইভ শো’ বলাই বোধহয় যুক্তিযুক্ত হবে। (যদিও ব্যান্ডউইথ হার্টজ-এর হেরফেরে গানের তাল-লয়-সুর ভ-ুল হয়েছে প্রচুর এসব অনলাইন আয়োজনে) আমেরিকা, ফ্রান্সসহ কয়েকটি দেশে অবস্থানকারী বাঙালীর কাছ থেকে এমন আড্ডায় যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছেন ঢাকাবাসী বহুজন। টিভির পর্দায় বা বড় পর্দায় কিছু দেখতে অস্বস্তি হয় না চোখে। কিন্তু মোবাইলের ছোট্ট পর্দায় একসঙ্গে আটজনের মুখ দেখা অস্বস্তিকর। চোখের ওপর চাপ পড়ে। পর্দায় কিছু দেখাতে হলে ফ্রেমিংয়ের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। প্রফেশনাল ক্যামেরাপার্সনরা এটা যেমন বোঝেন, তেমনি বোঝেন অভ্যস্ত দর্শকও। অনেকেই দেখছি টিভি টক শোয়ের সঙ্গে এসব ভিডিও আড্ডার তুলনা করেছেন। বালখিল্য সে তুলনা। করোনাকালে ঘরবন্দী মানুষ টিভি-ভিডিও বিনোদনের বাইরে নতুন এক ধরনের বিনোদন পেয়েছেন পাচ্ছেন, এটি ঠিক। ফেসবুক নামক মহাবিপণিবিতানে চোখ ঝলসানো মন ভোলানো হরেক রকম মিঠাইম-ার আকর্ষণ এড়ানো সহজ নয়। এই মোহ যে মহাক্ষতিকর তা বুঝতে সক্ষম বুদ্ধিমান বাঙালী, এমন ভরসা পাই না। দেখা ও দেখানোর প্রতিযোগিতায় কেউই পিছিয়ে থাকতে রাজি নন। বাংলা আপনার মাতৃভাষা, তাই বাংলায় বলা ও লেখার সহজাত গুণ আপনার করায়ত্ত। তার মানে যদি ধরেই নেন আপনিও বক্তা এবং লেখক, তাহলে কি ঠিক হবে? গৃহের সবচাইতে ছোট নিভৃত কক্ষটিতে আমরা প্রত্যেকেই গানের কলি ভাজি, তাই বলে সবাই তো আর সঙ্গীতশিল্পী নই। শত-হাজার জনের সামনে গান পরিবেশন করতে হলে প্রয়োজন শিক্ষা, চর্চা, সাধনা। ফেসবুক লাইভে এসে কতজন যে হাস্যস্পদ হয়ে উঠছেন, তার ইয়ত্তা নেই। প্রযুক্তির কাছ থেকে পূর্ণ সুবিধা গ্রহণের জন্য চাই সুপরিকল্পনা, নিজেকে প্রস্তুত করে তোলা। বইয়ের পাঠক কেবল কালো অক্ষরের মধ্যেই থাকেন সন্তুষ্ট। কিন্তু জোড়া চোখের থাকে দুনিয়াজোড়া ক্ষুধা। চোখ-কানের পিপাসা ও প্রয়োজন মিটিয়েই একটি ৫০ মিনিটের লাইভ হয়ে উঠতে পারে গ্রহণীয়, আদৃত। তাই যে কোন লাইভের আগে তার দর্শনযোগ্যতা, প্রত্যাশিত দর্শকশ্রেণী এবং নিজের যোগ্যতা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা চাই। বলাবাহুল্য সমাজসচেতন ভূমিকা রাখার সুযোগ অনেকেই গ্রহণ করছেন পরিকল্পিতভাবেই। সেদিন প্যারিসের জানালা ফেসবুক লাইভে ধর্ষণবিরোধী বক্তব্যের সমান্তরালে কবিতাপাঠেরও আয়োজন ছিল। এটিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখতে চাই। উচ্ছেদ অভিযান অফিসে যাওয়ার পথে বেজায় ভিড় দেখে গাড়ির গতি শ্লথ হলো। উত্তরার সবচাইতে ব্যস্ত সড়কের পাশে একসঙ্গে কয়েকটি গাড়ি দেখলাম সিটি করপোরেশনের। দুটোয় ক্রেন লাগানো। ফুটপাতের ওপরে অবৈধভাবে ফাস্টফুডসহ যেসব দোকান গড়ে উঠেছে সেগুলোর ধ্বংসযজ্ঞ চলছে। আগ্রহীদের ভিড়ে রাস্তাই বন্ধ হয়ে গেছে। ফুটপাত দখল করে স্থাপনা নির্মাণ, নির্মাণসামগ্রী রাখা, বিদ্যুতের খুঁটিতে ডিশ ও ইন্টারনেটের ঝুলন্ত তার, কিংবা অবৈধ সাইনবোর্ড-বিলবোর্ড উচ্ছেদে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরশনের (ডিএনসিসি) একের পর এক অভিযান চলছেই। এটা ভালো। কিন্তু শঙ্কার জায়গাটি হলো কিছুদিন না যেতেই কিভাবে যেন ম্যানেজ করে আবার এসব তুঘলকি কা- শুরু হয়ে যায়। মেয়রের কথা অবশ্য ভালো লাগার মতোই। তিনি বলেন, ‘এই নগরকে নিয়মের মধ্যে আসতে হবে। এ নগরের অভিভাবক আছে। মেয়র ও কাউন্সিলররা জনগণের ভোটে নির্বাচিত। মেয়রের দায়িত্ব জনগণের জন্য একটা বাসযোগ্য শহর বাস্তবায়ন করা। এই যে সাইনবোর্ডগুলো, এটা সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খলা। আমরা যেখানে অনিয়ম দেখব, সেখানেই আইনি ব্যবস্থা নেব।’ ১১ অক্টোবর ২০২০ [email protected]
×