ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

কটিয়াদী সড়কে হাঁটুপানি ॥ দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ২১:০৮, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

কটিয়াদী সড়কে হাঁটুপানি ॥ দুর্ভোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ২২ সেপ্টেম্বর ॥ কটিয়াদী পৌরসভার রাস্তাগুলোতে চলতে গিয়ে হোঁচট খাওয়া নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে সাধারণ মানুষের কাছে। প্রতিদিন চলাফেরা করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় শিকার হচ্ছেন পথচারীরা। পৌরসভার উদাসীনতা, সংস্কারের অভাবসহ একাধিক কারণে সদরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলোর হাল এখন নিতান্তই খারাপ। স্থানীয়দের অভিযোগ, পৌর কর্তৃপক্ষ বারবার সংস্কারের দাবি জানিয়ে শুধু আশ্বাস দিয়েছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করেনি। সব থেকে খারাপ অবস্থা কটিয়াদী আব্দুল মান্নান মহিলা কলেজ সড়কের। অথচ শহরের প্রাণকেন্দ্রে থাকা এই রাস্তার উপরেই রয়েছে একাধিক স্কুল ও কলেজ। কিন্তু কয়েক যুগ ধরে রাস্তাটি সংস্কার না করায় পিচ উঠে গিয়ে এখন ছোট আকারের পুকুরে পরিণত হয়েছে। বৃষ্টির পানি গর্তগুলোতে জমে থাকায় প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটছে। শুধু যান চলাচলই নয়, যাতায়াতের ক্ষেত্রেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে স্থানীয়দের। প্রতিদিনের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে কলেজ ছাত্রী জেবা রহমান জানান, প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয়। সড়কে বড় বড় গর্তে পানি জমে থাকায় চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আমাদের। অথরিটি যেন সড়কটি দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা নেন সেই দাবি জানাই। স্থানীয় বাসিন্দা জগরুল হোসেন আকাশ জানান, এই সড়কটি দিয়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ মুমূর্ষু রোগীরা চলাচল করতেন। কিন্তু সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় পানি জমে থাকায় এখন পুকুরে পরিণত হয়েছে।’ অটোচালক কাশেম মিয়া জানান, ‘পৌরসভার হনেক সড়কই ভাইঙা গেছে। আমাদের চলাচল করতে হনেক সমস্যা হয়। গাড়িরও অনেক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। এই সড়কগুলো দ্রুত ঠিকঠাক করে দেয়ার দাবি জানাই।’ কটিয়াদী পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, ‘মহিলা কলেজের সড়কটি আমাদের স্কিনে আপাতত নেই। সড়কটি এখনও টেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। আপাতত সড়কটি চলাচলের উপযোগী করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানান তিনি।’ কটিয়াদী পৌরসভার মেয়র মোঃ শওকত উসমান বলেন, টেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় সড়কটি সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। জনগণের সুবিধার্থে সড়কটি দ্রুত চলাচলের ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।’ বরিশাল স্টাফ রিপোর্টার বরিশাল থেকে জানান, দীর্ঘদিনেও সংস্কার না করায় জেলার জনগুরুত্বপূর্ণ গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর-সরিকল সাত কিলোমিটারের সড়কটি খানাখন্দকে ভরে গেছে। বর্তমানে সড়কের মধ্যে ছোট-বড় অসংখ্য ডোবার সৃষ্টি হয়ে লোকাল বাসসহ ছোট যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বেকার হয়ে পড়েছে সংশ্লিষ্ট কয়েকশ’ পরিবার। এছাড়া প্রতিনিয়ত এ সড়ক দিয়ে চলাচলরত বাবুগঞ্জের আগরপুর ও গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ সড়ক দিয়েই প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষকে বরিশাল জেলা শহর ও গৌরনদী উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে হয়। বিশেষ প্রয়োজনে সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় অসংখ্য দুর্ঘটনা। মরণফাঁদে পরিণত হওয়া সড়কটিতে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। বাটাজোর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রব হাওলাদার দ্রুত সড়কটি মেরামতের দাবি জানিয়ে বলেন, সড়কটির বেহাল অবস্থার কারণে মানুষের দুর্ভোগের সীমা নেই। বাটাজোর-সরিকল সড়কের বেহাল দশার কথা স্বীকার করে গৌরনদী উপজেলা এলজিইডি অফিসের প্রকৌশলী মোঃ অহেদুর রহমান বলেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য প্রকল্প তৈরি করে অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে প্রেরণ করা হয়েছে। আগামী মাসে দরপত্র আহ্বানের পর সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তিরা অভিযোগ করে বলেন, গত পাঁচ বছর পূর্বে সড়কটি সংস্কার করা হয়। স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের এক প্রভাবশালী ঠিকাদার সংস্কারের সময় নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় কয়েক মাসের মধ্যেই পুরো সড়কটি চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। পরে আর কোন সংস্কার কাজ করা হয়নি। বর্তমানে ওই ঠিকাদারই পুনরায় সংস্কার কাজ বাগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন। স্থানীয়রা তদন্ত করে দুদক কর্মকর্তাদের কাছে ওই দুর্নীতিবাজ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি করেছেন।
×