ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

তিস্তার কিছামত গ্রামটির অস্তিত্ব নিয়ে চিন্তিত গ্রামবাসী

প্রকাশিত: ২১:৩৬, ৩ জুলাই ২০২০

তিস্তার কিছামত গ্রামটির অস্তিত্ব নিয়ে চিন্তিত গ্রামবাসী

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর তিস্তা পাড়ের মানুষের নতুন দুর্ভোগ নদী ভাঙ্গন। নদী গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে বসতবাড়ি, আবাদি জমি। উজানের ঢল কমে আসায় বন্যার পর ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার তিস্তা অববাহিকার বিভিন্ন এলাকা। এরমধ্যে খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের কিছামত ছাতনাই চর গ্রামটির অস্তিত্ব এবার থাকবে কিনা এ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে চরবাসী। মানুষজন গাছ কেটে নদীতে ফেলে ভাঙ্গন রোধে চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হচ্ছে। বুধবার এলাকাবাসী জানায় কিছামত চরের ইতোমধ্যে ২৩টি বসতভিটা বিলীন হয়েছে। যে হারে নদী ভাঙ্গছে এতে চরটি সম্পূর্ণ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ওই চরে প্রায় তিন শ’ পরিবারের বসবাস। তারা আরও জানায় কিছামত চর গ্রামটি ভারতের ফোকরতের চরের সঙ্গে একীভূত। তিস্তার নদীর বন্যা ও ভাঙ্গনে ফোকরতের চরটি বিলিন হয়েছে। পাশাপাশি বিলিন হয়েছে ভারতীয় বিএসএফের শিংপাড়া ক্যাম্পটিও । নদী ভাঙ্গনে এখন কিছামত ছাতনাই গ্রামে এগিয়ে আসছে। ২৩টি বাড়ি ভেঙ্গেছে আরও ৫০ বাড়ি ভাঙ্গনের মুখে চলে এসেছে। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিথন নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করা হলেও তাদের পক্ষে ভাঙ্গনরোধে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় জানান, ঝুঁকি নিয়ে নৌকা যোগে ওই চর পরিদর্শন করেছি। সেখানে অসংখ্য বড় নদী ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। অপরদিকে একই উপজেলার ঝুঁনাগাছচাপানী ইউনিয়নের ছাতুনামা ও ভেন্ডাবাড়ি গ্রামে নতুন করে ৬ বসতঘর বিলীন হয় তিস্তায়। এর আগে একই এলাকায় ৩৭ বসতঘর বিলীন হয়। এদিকে টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ির ক্রসবাঁধটির ৫০ মিটার ধসে গেছে। বিলীন হয় ৮ বসতঘর।
×