ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

অনলাইনে কোর্ট পরিচালনা বিষয়ে সেমিনার

প্রকাশিত: ১০:২৪, ২১ এপ্রিল ২০২০

অনলাইনে কোর্ট পরিচালনা বিষয়ে সেমিনার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিশ্বব্যপী চলমান করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে কিভাবে অনলাইনে কোর্ট পরিচালনা করা যায় সে বিষয়ে অনলাইন সেমিনার করেছেন সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবীগণ। ‘ভার্চুয়াল অপারেশন অব জুডিশিয়ারি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনলাইনে করা এ সেমিনারে সুপ্রীমকোর্টের ৫ আইনজীবী অংশ নেন। এর আগে জরুরী বিষয়ে শুনানি ও নিষ্পত্তি করতে অনলাইনে এক বা একাধিক হাইকোর্ট বেঞ্চ গঠন করতে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করেছেন সুপ্রীমকোর্টের দুই আইনজীবী। সুপ্রীমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে ই- মেলযোগে প্রধান বিচারপতির কাছে এ আবেদন করা হয়। চিলড্রেন’স চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের (সিসিবি) পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মোঃ আব্দুল হালিম ও পরিচালক এ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান এ আবেদন করেন। এদিকে ওনলাইন সেমিনারে আলোচনায় অংশ নেন সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার অনীক আর হক, ব্যারিস্টার জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী, ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম ও ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব। সেমিনারটি পরিচালনা করেন আনাম হোসেন। ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছি, আমি ওনাকে আমার এই ধরনের ভার্চুয়াল জুডিশিয়ারি সিস্টেম চালু করার জন্য যেসব প্রতিবন্ধকতা আছে সে বিষয়ে তুলে ধরেছি। আমরা যা কিছু বলি না কেন এটা কার্যকর হবে প্রধান বিচারপতির মাধ্যমে কিংবা সুপ্রীমকোর্ট প্রশাসনের মাধ্যমে। এখানে কতগুলো প্রতিবন্ধকতার কথা উনি আমাকে বলেছেন। সেগুলো হলো হাইকোর্ট রুলসে আছে কোন মামলা করতে গেলে তা হবে লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে। আমরা যে ভার্চুয়াল সিস্টেম চাচ্ছি তার বড় বাধা হাইকোর্ট রুলস। ভার্চুয়াল কোর্ট পরিচালনায় অন্য দেশের উদাহরণ তুলে ধরে সুপ্রীমকোর্ট বারের সম্পাদক বলেন, ইতোমধ্যে ভারত ও পাকিস্তান এটা করেছে। এরা আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ। উন্নত বিশ্বের যুক্তরাজ্য নিউজিল্যান্ড ইউএসএও করেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এটা করার পক্ষে। দীর্ঘদিন ধরে কোর্ট বন্ধ থাকায় আইনজীবীরা পেশাগতভাবে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তেমনি সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এখন তার মধ্য থেকে একটা ওয়ে আউট বের করতে হবে।
×