ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

নিরঞ্জন রায়

বঙ্গবন্ধু- আন্তর্জাতিক গবেষণার বিষয়

প্রকাশিত: ০৮:১৩, ২১ মার্চ ২০২০

 বঙ্গবন্ধু- আন্তর্জাতিক গবেষণার বিষয়

আমার বড় মেয়ের তার দ্বাদশ শ্রেণীর চূড়ান্ত পরীক্ষার আবশ্যিক পাঠ্যসূচীর অংশ হিসেবে স্বল্প পরিসরের একটি গবেষণাপত্র জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল। সে নিজে থেকেই আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধকে তার গবেষণার বিষয় হিসেবে নির্বাচন করে। বিষয়টি নিয়ে সে আমার সঙ্গে আলোচনা করলে আমি প্রথমে তাকে কিছুটা নিরুৎসাহিত করেছিলাম এই ভেবে যে জানার জন্য নিজের দেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাসের চেয়ে ভাল কিছু হতে পারে না। তবে পশ্চিমা বিশ্বের একাডেমিক কারিকুলামের অধীনে লেখাপড়া করে এমন একটি বিষয় নিয়ে কাজ করে ভাল নম্বর নাও পাওয়া যেতে পারে। তাছাড়া এখানকার শিক্ষার মাধ্যম ইংরেজী, অথচ আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের ওপর ইংরেজীতে লেখা ইতিহাসের সংখ্যা তেমন বেশি নেই। গুরুত্বপূর্ণ সব দলিল এবং প্রকাশানা বাংলায়। যাই হোক সে এমনভাবে যুক্তিতর্ক দিয়ে আমার কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করল যে তার কাছে আমাদের দেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ ছাড়া ভাল কোন বিষয় এই মুহূর্তে নেই। ফলে আমি আর তাকে বারন করতে পারলাম না। উল্লেখ্য, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার একজন অভিযুক্ত এবং বঙ্গবন্ধুর একজন স্নেহের মানুষ মাহফুজুল বারি, যাকে সবাই বারি ভাই বলে জানে। সেই বারি ভাই বেঁচে থাকাকালে নিয়মিত আমাদের টরনটোর বাসায় আসতেন এবং আমার মেয়েকে অসম্ভব স্নেহ করতেন। বারি ভাইয়ের একান্ত ইচ্ছা এবং অনুপ্রেরণায়ই আমার মেয়ে এখানকার এক স্বনামধন্য স্কুলের বিশেষ আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামে অধ্যয়নের সিদ্ধান্ত নেয়। বারি ভাইয়ের কাছ থেকে সে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছে। তা ছাড়া আমার বাসায় মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকের নিয়মিত আসা-যাওয়া এবং এ বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কারণে এই পশ্চিমা সংস্কৃতিতে বেড়ে ওঠা সত্ত্বে¡ও আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে তার ভাল ধারণা যেমন আছে, তেমনি এ বিষয়ে তার জানার আগ্রহও অনেক বেশি। তার আগ্রহের কারণে সে প্রায়ই বাংলাদেশে যেতে চায় এবং কয়েক বছর আগে তাকে বাংলাদেশে নিয়ে যখন শহীদ মিনার, স্মৃতিসৌধসহ অনেক ঐতিহাসিক স্থান দেখিয়েছিলাম তখন সে সেগুলো খুব মনোযোগ সহকারে পর্যবেক্ষণ করেছিল। যাই হোক আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের ওপর ছোট মাপের একটি গবেষণার অনুমতি চেয়ে সেই বিষয়ের ওপর একটি সারসংক্ষেপ তৈরি করে তার শিক্ষকের কাছে অনুমোদনের জন্য জমা দেয়। তার সেই শিক্ষক উক্ত সারসংক্ষেপটি পাঠ করার পর তা অনুমোদন না করে তাকে বিষয়বস্তু কিছুটা পরিবর্তন করে স্বাধীনতাযুদ্ধের পরিবর্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বের ওপর কাজ করার নির্দেশ দেন। এই প্রসঙ্গে আমার মেয়ের সেই শিক্ষক উল্লেখ করেন যে পৃথিবীতে এটিই মনে হয় এমন একটি সংগ্রাম ও যুদ্ধ যেখানে যুদ্ধের গুরুত্বের চেয়ে যুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতার গুরুত্ব মোটেই কম নয়। যেহেতু বিষয়টি আমাদের দেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে, তাই সে তার শিক্ষকের কথায় সম্মতি দেয়ার আগে আমার সঙ্গে কথা বলে। আমি তাকে বললাম, ‘তোমার শিক্ষক যথার্থই বলেছে। কিন্তু তুমি এত অল্প বয়সে সামান্য জ্ঞান নিয়ে এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গবেষণাই বা করবে কিভাবে, আর এর ওপর মানসম্পন্ন লেখাই বা তৈরি করবে কিভাবে?’ প্রতিউত্তরে সে আমাকে আশ্বস্ত করল এই বলে যে, ‘বাবা চিন্তা কর না, আমি ঠিকই পারব।’ দীর্ঘ এক বছর এই বিষয়ে কাজ করে এবং এ সংক্রান্ত বিভিন্ন বই ও প্রকাশনা পাঠ করে অবশেষে সে তার গবেষণাপত্রটি লিখেছে। তার কাজের অংশ হিসেবে সে আমাকে একবার তাকে দূরের একটি গ্রন্থাগারে নিয়ে যেতে বলেছিল, কারণ সেখানে জেনারেল নিয়াজীর লেখা ‘পূর্ব পাকিস্তানের বিশ্বাসঘাতকতা’ শিরোনামে একটি বই পাওয়া যায় এবং সেই বইটি সে পাঠ করবে। শুনেই আমি রেগে যাই এবং তাকে সেই বই পড়তে নিষেধ করি এই কারণে যে নিয়াজী বাঙালী জাতির ওপর বর্বরোচিত নির্যাতনকারী এবং শোচনীয়ভাবে পরাজিত এক কমান্ডার। তাই পরাজিত ব্যক্তির মন্তব্য গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। কিন্তু সে মানতে রাজি না এবং তার যুক্তি হলো পক্ষের মানুষ বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ভাল কথা বলবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রতিপক্ষ বঙ্গবন্ধুকে কতটা খারাপ বলেছে সেটাও তার জানা প্রয়োজন। তার এমন পিড়াপীড়িতে আমি তাকে সেই গ্রন্থাগারে নিয়ে যাই। সে নিয়াজীর লেখা সেই বইটা পাঠ করে আমাকে বলে যে, ‘দেখ বাবা, বঙ্গবন্ধু এমন বড় মাপের নেতা যে শত্রু পক্ষও তার প্রশংসা করতে বাধ্য হয়েছে।’ এই বলে সে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নিয়াজীর লেখা একটি মন্তব্য আমাকে দেখাল যেখানে নিয়াজী লিখেছে, ‘শেখ মুজিবুর রহমান একজন অসাধারণ সফল রাজনৈতিক নেতা যিনি চমৎকারভাবে আবেগপ্রবণ বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে জনগণকে মুহূর্তের মধ্যে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন (মুজিব ওয়াজ এন একমপ্লিশড পলিটিশিয়ান এ্যান্ড এন ওরেটার পার এক্সেচেলেন্স হু কুড আরোজ দি মেসেস বাই হিজ ইমোশনাল স্পিচ)।’ সে খসড়া লেখাটি প্রস্তুত করে তার শিক্ষকের কাছে জমা দেয়ার পূর্বে আমাকে একবার পড়ে দেখতে বলল। আমি লেখাটি পাঠ করে অভিভূত হয়ে যাই এবং কিছুটা গর্বিত হই এই ভেবে যে এই পাশ্চাত্য সংস্কৃতিতে বেড়ে ওঠা মেয়েদের কিছুটা হলেও আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছি। লেখাটি তার শিক্ষক পাঠ করে খুবই প্রশংসা করে এবং একবাক্যে চূড়ান্ত মূল্যায়নের জন্য উপস্থাপন করতে বলে। চূড়ান্ত মূল্যায়নে তার এই লেখা কত নম্বর পাবে তা আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। তবে এটি অন্তত নিশ্চিত করে বলতে পারি যে আমাকে যদি এ বিষয়ে লিখতে বলা হতো তা হলে আমি আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের ওপর এ রকম সমৃদ্ধ ও উন্নতমানের কোন লেখা লিখতে পারতাম কিনা যথেষ্ট সন্দেহ আছে। ইচ্ছা আছে যে আমার মেয়ের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের পর পূর্বানুমতি নিয়ে লেখাটি বাংলাদেশের কোন ইংরেজী পত্রিকায় ছাপানোর উদ্যোগ নেব। কেননা লেখাটি সম্পূর্ণ ইংরেজীতে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের ওপর এত সুন্দর একটি লেখা তৈরি করার জন্য তাকে আশীর্বাদ করে বললাম যে, ‘বাবা, বড় হয়ে যদি পার তাহলে এ বিষয়ে বৃহৎ পরিসরে গবেষণা কর।’ কারণ বঙ্গবন্ধু আসলেই এখন আন্তর্জাতিকভাবে গবেষণার বিষয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত করার পর তাঁর নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলে দেয়ার অপচেষ্টা হয়েছিল দীর্ঘদিন। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এবং অনেক প্রতিকূলতা কাটিয়ে সেই কালো অধ্যায়ের পতন ঘটানো সম্ভব হয়েছে। বঙ্গবন্ধু এখন সেই ’৭১-এর মতোই সমান জনপ্রিয় এবং সকলের আদর্শ। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তিনি খুবই পরিচিত এবং আলোচিত নাম। বিশেষ করে ইউনেস্কো কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক সেই কালজয়ী ভাষণকে স্বীকৃতি দেয়ায় বঙ্গবন্ধু এখন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নেতা। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পালন করার কারণে বঙ্গবন্ধুর নাম এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষভাবে আলোচিত এবং প্রশংসিত। তবে বঙ্গবন্ধুর এই স্বীকৃতিকে দীর্ঘস্থায়ীভাবে বিশ্ব ইতিহাসের অংশ করার উদ্যোগ প্রয়োজন। এই উদ্দেশ্যে বিশ্বের নামী-দামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ওপর গবেষণা চালু করা প্রয়োজন। বিশেষ করে হার্ভার্ড, ইয়েল, ব্রাউন, টরনটো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বা রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে কিছু অনুদান বা স্কলারশিপ চালু করার মাধ্যমে খুব সহজেই এই গবেষণা কোর্স চালু করা যায়। এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু ট্রাস্টের ফান্ডে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ জমা দিয়ে বা অনুদান হিসেবে সংগ্রহ করে সেই তহবিল লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করা যেতে পারে। আর সেই বিনিয়োগ থেকে যে আয় হবে তা দিয়েই এই গবেষণার অর্থের যোগান দেয়া সম্ভব। কাজটি মোটেই কঠিন নয়। তবে এ জন্য প্রয়োজন যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করা। সেইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি বিশ্বের বিভিন্ন নগরে অবস্থিত মাদাম তুসো মিউজিয়ামে স্থাপন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। ওয়াশিংটন, নিউইয়র্ক, লন্ডনসহ বিশ্বের প্রায় চব্বিশটি শহরে এই মিউজিয়াম আছে যেখানে বিশ্বের বিখ্যাত ব্যক্তিদের প্রতিকৃতি সংক্ষিপ্ত বিবরণসহ স্থাপিত আছে। প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ এসব মিউজিয়াম দর্শন করে এবং বিশ্বের বিখ্যাত ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানতে পারে। বিশ্বের এ রকম কোন মিউজিয়ামে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি স্থাপিত আছে কিনা আমার জানা নেই। তবে বছর দুয়েক আগে আমি ওয়াশিংটনে অবস্থিত মাদাম তুসো মিউজিয়ামে গিয়েছিলাম এবং সেখানে এশিয়ার, এমনকি ভারতের অনেক বিখ্যাত ব্যক্তির প্রতিকৃতি দেখলেও, বঙ্গবন্ধুর কোন প্রতিকৃতি দেখিনি। তাই সরকার এবং আওয়ামী লীগ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে পারে। এসব মিউজিয়ামের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি স্থাপন করার উদ্যোগ গ্রহণ মোটেই কঠিন কোন বিষয় নয়। এখনও পশ্চিমা বিশ্বের মানুষের তথ্যসূত্র এখানকার লাইব্রেরিগুলো। মানুষের কোন বিষয়ে বিস্তারিত জানার প্রয়োজন হলে তারা এখানকার লাইব্রেরিতে যায়। এসব লাইব্রেরিতে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুর ওপর রচিত প্রকাশনা তেমনটা নেই বললেই চলে। সামান্য কিছু প্রকাশনা দেখা যায় তাও সেগুলো মূলত পঁচাত্তর পরবর্তী সরকারের সময় সরবরাহ করা হয়েছে। ফলে সেসব প্রকাশনায় পর্যাপ্ত তথ্য যেমন নেই, তেমনই কোন কোন ক্ষেত্রে বিকৃত ও বিভ্রান্তকর তথ্যও দেখা যায়। এখন আমাদের অনেক প্রকাশনা আছে এবং সেগুলো ইংরেজীতে। এমনকি বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী এবং কারাগারের রোজনামচা ইংরেজীতে অনুবাদ করা হয়েছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও কর্তৃপক্ষের উচিত হলো ইংরেজীতে প্রকাশিত আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর ওপর বই ও প্রকাশনা পর্যাপ্ত পরিমাণে আমেরিকা-কানাডাসহ উন্নত বিশ্বের অনেক দেশের লাইব্রেরিগুলোতে সরবরাহ করা। এ ব্যাপারে একটি বিষয় সকলেরই জানা থাকা প্রয়োজন যে এখন কোন লাইব্রেরি আর নিজেদের অর্থ দিয়ে বই কিনে পাঠকদের জন্য সংগ্রহ করে না। বিভিন্ন দেশের প্রকাশক ও সরকার অনুদান হিসেবে তাদের বই ও প্রকাশনা সামগ্রী এসব লাইব্রেরিতে দিয়ে থাকে এবং সেগুলোই পাঠকদের জন্য সংগ্রহ করা হয়। আমাদের সরকারও বিষয়টি বিবেচনা করে এখানকার লাইব্রেরিগুলোতে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর ওপর ইংরেজীতে প্রকাশিত বই অনুদান হিসেবে প্রদান করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে। অনেক অপপ্রচার এবং সকল প্রকার বৈরী প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধ বিশ্ব ইতিহাসে এক বিরল ঘটনা হিসেবে আজ সর্বজনবিদিত। তেমনি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বও আজ বিশ্বস্বীকৃত এবং তিনি আজ আন্তর্জাতিকভাবে গবেষণার বিষয়। এই স্বীকৃতিকে ধরে রাখা এবং স্থায়ী রূপ দেয়ার ক্ষেত্রে যে সকল পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন তার সবকিছুই গ্রহণ করার এখনই উপযুক্ত সময়। মার্চ ১৫, ২০২০ লেখক : ব্যাংকার, টরন্টো, কানাডা [email protected]
×