ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাচ্যনাটের ‘খোয়াবনামা’

প্রকাশিত: ০৭:৩৮, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাচ্যনাটের ‘খোয়াবনামা’

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীন মুক্ত মঞ্চে জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটারের ৪০ বছর পূর্তি নাট্যোৎসবে ১৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার সন্ধ্যা ৬-৩০ মিনিটে মঞ্চস্থ হয় প্রাচ্যনাটের ৩৭তম প্রযোজনা নাটক ‘খোয়াবনামা’। প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক ও গল্পকার আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের বিখ্যাত উপন্যাস। সাতচল্লিশের দেশভাগের পটভূমিতে তৎকালীন জনমানুষের বিস্তৃত জীবন আখ্যান ‘খোয়াবনামা’। এই গল্পের মধ্য দিয়ে সময়ের জীবন ও বাস্তবতাকে ঔপন্যাসিক তুলে ধরেছেন নিপুণ হাতে। ‘খোয়াবনামা’ নাট্যরূপ দিয়েছেন মোঃ শওকত হোসেন সজীব। নির্দেশনা দিয়েছেন কাজী তৌফিকুল ইসলাম ইমন। অভিনয় করেছেন সানজিদা প্রীতি, সাখাওয়াত হোসেন রিজভী, মনিরুল ইসলাম রুবেল, চেতনা রহমান ভাষা, শশাংক সাহা, মোঃ সোহেল রানা, মিতুল রহমান, মোঃ সোহেল রানা, তানজিকুন, সাইদুর রহমান শাহীন, শ্রাবণ শামীম প্রমুখ। গানের সুর রাহুল আনন্দ, সঙ্গীত নীল কামরুল, কোরিওগ্রাফি : স্নাতা শাহরিন, মঞ্চ এবি এস জেম, আলোক ভাবনা ঠান্ডু রায়হান। কাৎলাহার বিলের ধারে ঘন জঙ্গল সাফ করে বাঘের ঘাড়ে জোয়াল চাপিয়ে আবাদ শুরু করার দিনের এক বিকেলে মজনু শাহর অগনতি ফকিরের সঙ্গে মহাস্থানগড়ের দিকে যাওয়ার সময় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেপাই সর্দার টেলারের গুলিতে মারা পড়ে মুনশি বয়তুল্লাহ শাহ। কাৎলাহার বিলের দুই ধারের গিড়িডাঙা ও নিজগিড়িডাঙার মানুষ সবাই জানে, বিলের উত্তরে পাকুড়গাছে আসন নিয়ে রাতভর বিল শাসন করে মুনশি। দূরে কোথাও ভূমিকম্প হলে যমুনা বদলে যায়। বন্যায় ভেঙ্গে পড়ে কাৎলাহারের তীর। মুনশির নিষ্কণ্টক অসিয়তে চাষিরা হয় কাৎলাহার বিলের মাঝি। সময়ের আবর্তনে বিলের মালিকানা চলে যায় জমিদারের হাতে। মুনশির শ্নোকে শ্নোকে মানুষের স্বপ্নের ব্যাখ্যা করে বেড়ায় চেরাগ আলি ফকির। তমিজের বাপ শ্নোক শুনে আর ঘুমের মধ্যে বিলে গিয়ে কাদায় পা ডুবিয়ে দেখতে চায় পাকুড়গাছের মুনশিকে। ভবানী পাঠকের সঙ্গে পূর্বপুরুষের জের টেনে বৈকুণ্ঠনাথ গিরি প্রতীক্ষা করে ভবানীর শুভ আবির্ভাবের। তমিজ দেখে জমির স্বপ্ন। আর চেরাগ আলির নাতনি কুলসুম খোয়াবে কার কায়া যে দেখতে চায়, তার দিশা পায় না। তেভাগার কবি কেরামত শেষ পর্যন্ত আটকে পড়ে শুধুই নিজের কোটরে। সে নাম চায়, বউ চায়, ঘর চায়। কোম্পানির ওয়ারিশ ব্রিটিশের ডান্ডা উঠে আসে দেশী সাহেবদের হাতে। এভাবে এগিয়ে যায় নাটকের গল্প।
×