ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশ সঠিক পথে রয়েছে ॥ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১১:১৪, ১৬ জানুয়ারি ২০২০

এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশ সঠিক পথে রয়েছে ॥ প্রধানমন্ত্রী

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য সাফল্যের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ এখন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস (এসডিজি) অর্জনের পথে রয়েছে। মঙ্গলবার ‘ফিউচার সাসটেইনেবিলিটি সামিট’-এর ইন্টারভিউ সেশনে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। আবুধাবি ন্যাশনাল এক্সিবিশন সেন্টারে ওই ইন্টারভিউ সেশন অনুষ্ঠিত হয়। খবর বাসসর। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমডিজি অর্জনে আমরা চমৎকার সাফল্য অর্জন করেছি এবং ইতোমধ্যে আমরা এসডিজি অর্জনের পথে রয়েছি। অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এসডিজি উন্নয়নে জাতিসংঘে বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের মানুষের জন্য সকল দেশের গৃহীত এটি একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত বলে আমরা বিবেচনা করি। দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন যদি দৃশ্যমান না হয় তাহলে বৈষম্য সৃষ্টি হবে এবং অসমতা দেখা দেবে। এতে প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হবে। প্রধানমন্ত্রী এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এসডিজির অনেক আগেই আমরা রূপকল্প-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ ঘোষণা করেছি। এতে সাসটেইনেবলিটির বিষয়টি আমরা অন্তর্ভুক্ত করেছি। আমরা জানি উন্নয়নের পথে সবসময় সম্পদের স্বল্পতাই মূল কারণ নয়, সম্পদের সমবণ্টনের সমস্যাও আরেকটি কারণ। তার সরকার প্রান্তিক জনগণকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে চিহ্নিত করেছে। নারী ও শিশু, সাধারণ দরিদ্র মানুষ, প্রতিবন্ধী এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের প্রতি বিশেষ নজর দেয়ার জন্য এ ক্যাটাগরি করা হয়েছে। প্রান্তিক জনগণের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি শিক্ষা দিয়ে শুরু করেছি এবং সরকার ২৬ হাজার ১৯৩ বেসরকারী প্রাথমিক স্কুল ও ৬৮৫ মাধ্যমিক স্কুলকে জাতীয়করণ করেছে। দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত মেয়েদের লেখাপড়া অবৈতনিক করা হয়েছে এবং অটিস্টিকসহ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করার জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন সারাদেশে ‘আমার বাড়ি, আমার খামার’ প্রকল্পের আওতায় এক লাখ ৪২ হাজার সমবায় সমিতির মাধ্যমে ৬০ লাখ দরিদ্র পরিবারকে সংগঠিত করা হচ্ছে। দেশের প্রায় এক-চতুর্থাংশ পরিবার সামাজিক নিরাপত্তাবলয়ের কর্মসূচীর আওতায় এসেছে। তার সরকার মুক্তিযোদ্ধা, বিধবা ও সামাজিক নির্যাতনের শিকার, ব্যক্তি ও শিক্ষার্থী, প্রতিবন্ধী, ভবঘুরে এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, চা বাগানের শ্রমিক, দরিদ্র ও স্তন্যদানকারী মা এবং তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিবর্গকে বিভিন্ন পর্যায়ে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করে আসছে। রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের খাদ্য, আবাসন, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য জরুরী সেবাসহ প্রয়োজনীয় সকল ধরনের পরিসেবা প্রদান করে আসছে। জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যু সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যদিও কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী নয়, কিন্তু কার্বন নিঃসরণের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত একটি দেশ। আমরা শুধু বসে না থেকে এটি মোকাবেলায় নিজস্ব সম্পদ দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছি।
×