ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপনির্বাচন আজ

প্রকাশিত: ১১:১২, ১৩ জানুয়ারি ২০২০

   চট্টগ্রাম-৮ আসনে  উপনির্বাচন আজ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে উপনির্বাচন আজ। নির্বাচনী এলাকার ১৭০ কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ও প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রার্থী ছয়জন থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগের মোছলেম উদ্দিন আহমদ ও ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির আবু সুফিয়ানের মধ্যে। উভয় প্রার্থীই জয় লাভের ব্যাপারে আশাবাদী। তবে বিজয়ের হাসি কে হাসবেন, তা পরিষ্কার হয়ে যাবে রাতের মধ্যেই। রবিবার রাত ১২টা থেকে ২৪ ঘণ্টার জন্য এই নির্বাচনী এলাকায় ইসি এবং জরুরী সেবা-সংস্থা ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। কেন্দ্রভিত্তিক বিভিন্ন এলাকায় ইতোমধ্যে বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের টহল শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম-৮ আসনটি মহানগরীর একাংশ ও বোয়ালখালী উপজেলা নিয়ে গঠিত। মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৯৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪১ হাজার ৯২২ এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৩৪ হাজার ৭৪ জন। বোয়ালখালী উপজেলার ভোটার ১ লাখ ৬৪ হাজার ১৩১ জন। আর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকায় ভোটার ৩ লাখ ১১ হাজার ৮৬৫ জন। মোট ১৭০ কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ভোটাররা। এসব কেন্দ্রে বুথের সংখ্যা ১১৯৬। কোন কেন্দ্রে যদি যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা যায় সে জন্য অতিরিক্ত ইভিএম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নির্বাচন সুন্দর ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলে এরই মধ্যে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা। আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ও সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। চট্টগ্রাম নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মোট ১৭০টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো ১৯ জন ও সাধারণ কেন্দ্রগুলোর প্রতিটিতে ১৮ জন করে পুলিশ, র‌্যাব, এপিবিএন ও আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে ১৪টি বিশেষ ফোর্স, ছয়টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, ছয়টি র‌্যাবের টহল দল এবং ৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন মোট ছয়জন। প্রধান দুই প্রার্থী বাদে অন্য প্রার্থীরা হলেন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) চেয়ারম্যান এসএম আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের সৈয়দ মোঃ ফরিদ, ন্যাপের বাপন দাশগুপ্ত এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ এমদাদুল হক। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন। গত ৭ নবেম্বর সংসদ সদস্য জাসদ নেতা মইনউদ্দিন খান বাদলের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।
×