ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

৬ গুণীকে সম্মাননা দিল ঋষিজ

প্রকাশিত: ১১:২৬, ২৪ নভেম্বর ২০১৯

৬ গুণীকে সম্মাননা দিল ঋষিজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশজ সংস্কৃতির লালন ও বিকাশের প্রত্যয়ে জোট বাঁধে একঝাঁক তরুণ। সংস্কৃতির শক্তিতে সম্প্রীতির রূপরেখা বিনির্মাণের প্রত্যয়ে গড়ে ওঠে ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী। স্বাধীন দেশে পথচলা শুরু করা সংগঠনটি সময়ের ¯্রােতধারায় পূর্ণ করেছে প্রতিষ্ঠার ৪৩ বছর। সাফল্যের সেই উদযাপনে শনিবার সংগঠনের পক্ষ থেকে আনন্দ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার সঙ্গে সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় সাজানো সে অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা প্রদান করা হয় ছয় গুণীজনকে। আজীবন সম্মাননা জানানো সংবাদ-সাহিত্যের বরপুত্র খ্যাত আবদুল গাফ্্ফার চৌধুরীকে। সাহিত্য-সংস্কৃতিতে সম্মাননা পেয়েছেন ইমদাদুল হক মিলন। চলচ্চিত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে কোহিনূর আক্তার সুচন্দাকে। এছাড়া সঙ্গীত ও অভিনয় শাখায় সম্মাননা পেয়েছেন কুমার বিশ্বজিৎ ও মাহমুদ সাজ্জাদ। অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয় প্রয়াত সঙ্গীতজ্ঞ ওস্তাদ মতিউল হক খান ও সঙ্গীতশিল্পী সুবীর নন্দীকে। শনিবার বিকেলে শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সম্মেলক কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত ও ‘আমরা ঋষিজ করি’ শীর্ষক ঋষিজের সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন তথ্য সচিব আব্দুলক মালেক ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি বিশিষ্ট গণসঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীর। সম্মাননাপ্রাপ্তদের হাতে স্মারক ও সনদপত্র তুলে দেয়ার পাশাপাশি উত্তরীয় পরিয়ে দেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী। আবদুল গাফ্্ফার চৌধুরী বিদেশ থাকায় তার পক্ষে এ পদক গ্রহণ করেন কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কে এম খালিদ বলেন, দীর্ঘ একটা সময় ধরে একই ধারাবাহিকতায় একটা সংগঠনকে টেনে নেয়া খুব কঠিন কাজ। সেই কঠিন কাজটিই ঋষিজ করে আসছে। দেশের যে কোন ক্রান্তিকালে ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠী তাদের গান নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে। গণসঙ্গীতকে অবলম্বন করে তারা ৪৩ বছর ধরে মানুষের বঞ্চনার কথা বলেছে। গানে গানে শুনিয়েছে মানুষের মুক্তির প্রেরণা। অনুভূতি প্রকাশ করে ইমদাদুল হক মিলন বলেন, ফকির আলমগীর ৪৩ বছর ধরে নিজ প্রচেষ্টায় একটি সংগঠন পরিচালনা করছেন, সেটা চাট্টিখানি কথা নয়। বাংলাদেশের গণসঙ্গীতের ধারা সমৃদ্ধ করতে ঋষিজের অপরিসীম অবদান রয়েছে। তারা সময়ের দাবি মিটিয়েছে। একইসঙ্গে বাঙালী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে লালন করেছে। সেই প্রতিষ্ঠান থেকে আমাকে যে সম্মাননা জানানো হলো, তাতে আমি গর্বিত ও আনন্দিত। আলোচনা শেষে ছিল নৃত্য-গীত ও আবৃত্তিতে সজ্জিত সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, ক্রান্তি, স্বভূমি, আন্দন, আলতাফ মাহমুদ সঙ্গীত বিদ্যানিকেতন ও ঋষিজের শিল্পীরা।
×